অনুজ্ঞা পদের গঠন:
১. মধ্যম পুরুষের তুচ্ছার্থক বা ঘনিষ্ঠার্থক সর্বনামের অনুজ্ঞায় ক্রিয়াপদে কোনো বিভক্তি যোগ হয় না। মূল ধাতুটিই ক্রিয়াপদ রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন: মধ্যম পুরুষ তুচ্ছার্থক বা ঘনিষ্ঠার্থক তুই (বই) পড়। তোরা (বই) পড়।
কিন্তু অনুরোধ, আদেশ বা অনুরূপ অর্থে সম্ভ্রমাত্মক মধ্যম পুরুষের সর্বনাম ‘আপনি’ বা ‘আপনারা’ এবং সাধারণমধ্যম পুরুষের সর্বনাম ‘তুমি’ বা তোমরা পদের সঙ্গে যে অনুজ্ঞা পদের ব্যবহারহয়, তাতে বিভীক্ত যুক্ত থাকে। যেমন:
সম্ভ্রমাত্মক মধ্যম পুরুষ-আপনি (আপনারা) আসুন (আস্+উন)।
সাধারণ মধ্যম পুরুষ- তুমি (তোমরা) আস (আস্+অ)।
২. প্রাচীন বাংলা রীতিতে মধ্যম পুরুষের অনুজ্ঞায় ক্রিয়ার সঙ্গে ‘হ’ যোগ করার নিয়ম ছিল। এই ‘হ’ যোগ করার নিয়ম ছিল। এই ‘হ’ বর্তমানে অ এবং ও তে রূপান্তরিত হয়েছে। যেমন:
ক) ‘করহ [= কর] আপন কাজ, তাতে কিবা ভয় লাজ।’
খ) ‘অধম সন্তানের মাগো দেহ [দাও] পদচ্ছায়া।’
৩. ক) উত্তম পুরুষের অনুজ্ঞা পদ হতে পারে না। কারণ, কেউ নিজেকে আদেশ করতে পারে না।
খ) অপ্রত্যক্ষ বলে নাম পুরুষের অনুজ্ঞা হয় না। তবে এই মত সকলে সমর্থন করেন না।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।