৬.উদ্ধৃতিচিহ্ন ( ‘-’ অথবা “-”)
ইংরেজীতে একে কোটেশন মার্ক বলে। ইংরেজী ভাষা থেকেই এদের আমদানি করা হয়েছে , কারণ বাংলায় এ-ধরণের চিহ্ন ছিল না। একে উদ্ধৃতিচিহ্ন বা উদ্ধারচিহ্ন বলে , বাংলাতে।
*অন্যের কথা উদ্ধৃত করতে হলে কিংবা কোনো কথায় পাঠকের দাবি করতে হলে উদ্ধৃতিচিহ্নের প্রয়োজন পড়ে।
*উদ্ধতিচিহ্ন দু রকমের হয়ে থাকে : এক-উদ্ধতি ( ‘ ) বা সিঙ্গল কোটেশন এবং জোড় বা দুই উদ্ধৃতি ( “ ) বা ডাবল কোট্ ।
৭.এক-উদ্ধতি ( ‘ ’) বা সিঙ্গেল কোট্ :
*কথোপকথন ও সংলাপে উদ্ধৃতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন – পা টিপে টিপে দুপুরবেলা উকিলউদ্দিন এসে হাজির।
*নির্দিষ্ট শব্দে মনোযোগ আকর্ষণের জন্যে উদ্ধৃতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন – তার নাম ছিল লালু। হিন্দিতে ‘লাল’ শব্দটার অর্থ হচ্ছে ‘প্রিয়’ । সে সকলের প্রিয় ছিল ।
৮.জোড় উদ্ধৃতি ( “ ”) বা ডাবল কোট্
*যেখানে কেবল এক ধরণের উদ্ধৃতিচিহ্নের-ই প্রয়োজন বা দরকার সেখানে এক-উদ্ধৃতিচিহ্ন বা জোড়-উদ্ধৃতিচিহ্ন যেকোন একটি ব্যবহার করলেই চলে। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে দু-জাতীয় উদ্ধৃতিচিহ্ন-ই দরকার পড়ে সে-সব জায়গায় দু-একটি নিয়ম অনুসরণ না করলে চলে না।
নিচের উদাহরণ থেকে এটি বোঝার চেষ্টা করা যাক।
উদাহরণ ১.এই “ভারতবর্ষ” কাগজেই অনেক দিন আগে ডাক্তার শ্রীযুক্ত নরেশবাবু বলিয়াছিলেন ‘না জানিয়া শাস্ত্রের দোহাই দিয়ো না।’
উদাহরণ ২.হৈম ব্যথিত হইয়া প্রশ্ন করিল “কেহ যদি বয়স জিজ্ঞাসা করে কী বলিব “ বাবা বলিলেন, “মিথ্যা বলিবার দরকার নাই, তুমি বলিয়ো, ‘আমি জানি না – আমার শাশুড়ি জানেন’।”
*এক জনের বক্তব্যের ভিতরে যদি ভিন্ন বক্তব্য উদ্ধৃত হয় তা হলে প্রধান বক্তব্যের ক্ষেত্রে জোড়-উদ্ধৃতিচিহ্ন এবং তার অন্তর্গত উদ্ধৃতিতে এক-উদ্ধৃতিচিহ্নে লাগবে। (দ্র: উদাহরণ ২)
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।