নাম দেখেই প্রথম চারটি কারক আপনার বুঝার কথা।
বাক্যের কর্তাই হল কর্তৃকারক। যেমন: সুমন ডাক্তারকে ডাকতে গেল। এখানে সুমন কর্তৃকারক।
কর্তা যাকে/ যারে অবলম্বন করে কিছু করে তা হল কর্ম। যেমন: সুমন ডাক্তারকে ডাকতে গেল। এখানে সুমন কর্তৃকারক আর ডাক্তার কর্ম কারক।
কর্তা যেটি দ্বারা/দিয়ে কাজ করে তা হল করণ কারক। [জেনে রাখুন করণ মানে হল যন্ত্র।] যেমন: সুমন পায়ে হেঁটে ডাক্তারকে ডাকতে গেল। পায়ে করণ কারক।
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে প্রদান করা হয় সে সম্প্রদান কারক। যেমন: ভিক্ষুক কে ভিক্ষা দাও। ভিক্ষুক সম্প্রদান কারক।
যা/যেখান হতে/থেকে -কিছু বিচ্যুত,গৃহীত,জাত,বিরত,দূরিভুত ,রক্ষিত এবং ভীত হয় তা অপাদান কারক। যেমন: তিল থেকে তেল হয়। তিল অপাদান কারক।
ক্রিয়ার আধার(স্থান,কাল পাত্র)কে অধিকরণ কারক বুঝায় । যেমন: বনে বাঘ থাকে। বন অধিকরণ কারক।
বিভক্তি মনে রাখতে পারেন কারক দিয়ে:
সাধারণত কর্তার সাথে কোন শব্দাংশ থাকে না।
যেমন:
-সুমন ডাক্তারকে ডাকতে গেল।
– সে ঘুরতে বের হল।
– মেসি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেল।
– রোনাল্ডো এবার সবচেয়ে বেশি গোল করেছে।
যখন কোন শব্দাংশ থাকে না তা শুন্য বা প্রথমা বিভক্তি।
আবার খেয়াল কর:
-সুমন ডাক্তারকে ডাকতে গেল।
– তাকে ডাক।
– ধোপাকে কাপড় দাও।
কর্ম কারকে সাধারণত কে, রে থাকে। কে, রে দিয়েই দ্বিতীয়া বিভক্তি।
করণ কারক খেয়াল কর:
সে কলম দিয়ে লিখছে।
ডাকাত আমাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করল।
কৃষক লাঙ্গল দিয়ে চাষ করছে।
কলম, লাঠি এবং লাঙ্গল এই তিনটি করণ কারক। এখানে দ্বারা এবং দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বারা এবং দিয়ে হল তৃতীয়া বিভক্তি।
ভিক্ষুক কে ভিক্ষা দাও।
অসহায়কে খাদ্য দাও।
সম্প্রদান কারকে সাধারণত কে, রে থাকে। কে, রে দিয়েই চতুর্থী বিভক্তি।
যা/যেখান হতে/থেকে -কিছু বিচ্যুত,গৃহীত,জাত,বিরত,দূরিভুত ,রক্ষিত এবং ভীত হয় তা অপাদান কারক।
আর এই হতে, থেকে, চেয়ে এ বিভক্তি হল পঞ্চমী বিভক্তি।
ক্রিয়ার আধার(স্থান,কাল পাত্র)কে অধিকরণ কারক বুঝায় । স্থান এবং সময়ের সাথে র, এর,এ, য়, তে বসে।
যেমন: ঘরের মধ্যে কে?
তিনি ঢাকায় থাকেন।
বনে বাঘ থাকে।
পুকুরে মাছ পাওয়া যায়।
র, এর হল ষষ্ঠী বিভক্তি এবং এ, য়, তে হল সপ্তমী বিভক্তি।
দুটি বিষয় ভুলবেন না:
১। বিভক্তি সংখ্যা দিয়ে লিখবেন না। অর্থাৎ ১মা না লিখে প্রথমা লিখবেন।
২। অনেক ব্যাকরণবিদ/বৈয়াকরণ সম্প্রদান কারক কে আলাদা কারক মনে করেন না।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।