নিচে বিভিন্ন প্রকারের কারক সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
১। কর্তৃ কারক : যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃ কারক বলে। আবার, ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তৃ সম্বন্ধযুক্ত পদকে বলা হয় কর্তৃ কারক। যেমন- মিতা মালা গাঁথে। এখানে মিতা কর্তৃ কারক। আবার ক্রিয়াকে কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই কর্তৃ কারক।
২। কর্মকারক : যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে কর্ম কারক বলে। আবার, কর্তা যেটি করে তা কর্ম। যেমন- কাওসার বই পড়ে। এখানে বই কর্ম কারক। সাধারণত: ক্রিয়াকে (কী) দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরটি হবে কর্মকারক।
বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। (কাকে দিয়েছেন? আমাকে। কী দিয়েছেন? ল্যাপটপ) : আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম) ল্যাপটপ- কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
ডাক্তার ডাক (কাকে ডাক?): কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি
আমাকে একটা বই দাও। (কাকে দাও? আমাকে। কী দাও? বই): আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), বই- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থণা। (কাকে করিবে? আমারে): কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
তোমার দেখা নাই। (কার দেখা? তোমার): কর্মকারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।(কাকে জিজ্ঞাসিবে? জনে জনে): কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।