তাহলে, সারসংক্ষেপ:
১) সমাহার থাকলে দিগু সমাস।
২) সব পদের প্রাধান্য থাকলে দ্বন্দ্ব সমাস।
৩) বিভক্তি লোপ পেলে তা তত্পুরুষ সমাস। কোন বিভক্তি লোপ না পেলে তা অলুক তত্পুরুষ সমাস। আর negative অর্থে সমাস হলে নঞ তৎপুরুষ।
৪) প্র, পরা, অনু অব্যয় যুক্ত সমাস প্রাদি সমাস। অন্যান্য অব্যয় বা উপসর্গ যোগ হলে অব্যয়ীভাব সমাস।
৫) তুলনা করলে কর্মধারয় সমাস। বিশেষ্য-বিশেষ্যে অথবা বিশেষ্য-বিশেষণ দিয়ে (ক)মধ্যপদ লোপ পেয়ে, (খ) দুটি পদ দিয়ে একই ব্যক্তি/বস্তুকে নির্দেশ করে সমস্তপদ হলে তা কর্মধারয় সমাস।
৬) কোন পদের প্রাধান্য না নিয়ে নতুন কোন পদ (ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনা) নির্দেশ করলে তা বহুব্রীহি সমাস।
এবার আপনার কাজ হল সমস্তপদ ও ব্যাসবাক্য দেখা এবং বুঝে নেওয়া আপনি সমাস নির্ণয় করতে পারছেন কিনা।
অর্থ প্রাধান্যের ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ :
পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য | পরপদের অর্থ প্রাধান্য | সমাস |
আছে | আছে | দ্বন্দ্ব |
নেই | আছে | কর্মধারয়, তৎপুরুষ, দ্বিগু |
আছে | নেই | অব্যয়ীভাব |
নেই | নেই | বহুব্রীহি |
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।