এ্যাসেম্বলি ভাষা(Assembly Language)
যান্ত্রিক ভাষার প্রোগ্রাম তৈরি ও নির্বাহ করার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং প্রোগ্রাম তৈরি ও নির্বাহের কাজ আরও সহজ এবং গতিশীল করার জন্য এসেম্বলি ভাষার সৃষ্টি করা হয় । কম্পিউটারকে সরাসরি বাইনারী পদ্ধতিতে ইনপুট এবং নির্দেশ প্রদানের পরিবর্তে ইনপুট এবং নির্দেশের ভাষাকে অনেকটা মানুষের ভাষার কাছিকাছি নিয়ে আসার চেষ্টা এ্যাসেম্বলি ভাষায় করা হয়েছে ।
একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝে নেই: কম্পিউটারকে যোগ করার নির্দেশ দেয়ার জন্য মেশিনের ভাষায় বা বাইনারী পদ্ধতিতে, ধরি 1000101 টাইপ করতে হত । কিন্তু, এ্যাসেম্বলি ভাষায় সরাসরি ADD টাইপ করেই যোগ করার নির্দেশ দেওয়া সম্ভব হয় । ADD নির্দেশটি এখানে কম্পিউটারকে 1000101 বাইনারী সংকেতে অনুবাদ করে বুঝাতে পারে যে, তাকে যোগ করতে হবে । এই অনুবাদের কাজটি করে এ্যাসেম্বলার (Assebler) নামের একটি সফটওয়্যার । এ্যাসেম্বলারের কাজ হচ্ছে এ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত নির্দেশকে মেশিনের ভাষায় অনুবাদ করা বা বাইনারী সংকেতে রূপান্তরিত করা ।
যান্ত্রিক ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার চেয়ে এ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে অনেক কম সময় লাগে । তবে এ্যাসেম্বলি ভাষায় কিছু সীমাবদ্ধতা আছে । যেমন এ্যাসেম্বলি ভাষা যন্ত্র নির্ভর । কাজেই এ্যাসেম্বলি ভাষা বিভিন্ন কম্পিউটারের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । ফলে এ্যাসেম্বলি ভাষা ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় ।
অ্যাসেম্বলি ভাষার সুবিধা :
১. এ ভাষায় রচিত প্রোগ্রাম দক্ষ ও সংক্ষিপ্ত হয়
২. মেমোরি এ্যাড্রেসের বিবরণের প্রয়োজন হয় না
৩. প্রোগ্রাম রচনায় ভুলের পরিমাণ কম হয়
৪. মেশিনের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানা হয়
অ্যাসেম্বলি ভাষার অসুবিধা :
১. প্রোগ্রাম রচনা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ
২. এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মেশিনে ব্যবহার করা যায় না
৩. প্রোগ্রাম রচনার জন্য কম্পিউটারের সংগঠন সম্বন্ধে ধারণা থাকা অপরিহার্য
৪. প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য অনুবাদক প্রোগ্রাম অ্যাসেম্বলারের প্রয়োজন
উচ্চ স্তরের ভাষা (High Level Language)
বর্তমানে যান্ত্রিক ভাষা এবং এ্যাসেম্বলি ভাষাকে নিম্নস্তরের ভাষা (Low Level Language) বলে । পক্ষান্তরে বেসিক (BASIC), সি (C)), সি++(C++), প্যাসক্যাল (PASCAL), ফোরট্রান (FORTRN), কোবল (COBOL), জাভা (JAVA) ইত্যাদি প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাকে উচ্চ স্তরের ভাষা (High Level Language) বলা হয় । এগুলোকে তৃতীয় প্রজন্মের ভাষা বলা হয় যেটি বর্তমানে প্রচলিত । উচ্চ স্তরের ভাষায় মানুষের বোধগম্য শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে । অর্থাৎ কোন একটি বিষয়ে আমরা ইংরেজী ভাষায় যেভাবে এবং যে শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করে থাকি, উচ্চ স্তরের প্রোগ্রামিংয়েও প্রায় একইভাবে এবং একই ভাষা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । উচ্চ স্তরের ভাষাকে রূপান্তরিত করার জন্য কম্পাইলার (Compiler) বা ইন্টারপ্রিটার (Interpreter) নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে [ আপনাদের যারা সি প্রোগ্রামিং শিখেন তাদের উদ্দেশ্য আমি বলবো যে কম্পাইলার হিসেবে আপনারা CodeBlocks সফটওয়্যার টি ব্যবহার করবেন এতে অনেক সুবিধা আছে ] । কাজেই, কম্পাইলার বা ইন্টারপ্রিন্টার ব্যবহার করে উচ্চ স্তরের ভাষায় রচিত প্রোগ্রাম যে কোন ধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।
পরের পাতাসমুহ >>
0 responses on "বিসিএস ক্র্যাশ - সংখ্যা পদ্ধতি ও প্রোগ্রামিং"