
দুটি তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের নাম হল গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড ও সামান্য অ্যাসিড মিশ্রিত জল ।
দুটি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থের নাম গ্লিসারিন ও চিনির জলীয় দ্রবণ ।
স্বর্ণ, পারদ, খাদ্যলবণ —এদের মধ্যে খাদ্যলবণ হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।
লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে লোহা ও তামা হল তড়িৎ পরিবাহী ।
লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে রবার ও কাঠ হল তড়িৎ অপরিবাহী ।
লোহা, কাঠ, রবার, লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড —এদের মধ্যে লবণ ও ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য ।
কাচ, রুপা, অ্যাসিডযুক্ত জল, পলিথিন —এই পদার্থগুলির মধ্যে রুপা ও অ্যাসিডযুক্ত জল হল তড়িৎ পরিবাহী । রুপায় যুক্ত ইলেকট্রন এবং অ্যাসিডযুক্ত জলে আয়ন (H+ ও OH-) তড়িতাধানের বাহক হিসেবে কাজ করে ।
(i) CL হল নিস্তড়িৎ ক্লোরিন পরমাণু । CL- হল ক্লোরিন আয়ন, যেটি একটা অ্যানায়ন এবং এটি নেগেটিভ তড়িৎ-গ্রস্ত কণা ।
(ii) CL প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে না । কিন্তু CL- দ্রবণে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে ।
(iii) CL অপেক্ষা CL- অধিকতর সুস্থিত ।
সাধারণ লবন এবং পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।
তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িৎশক্তি, রাসায়নিক শক্তিতে রুপান্তরিত হয় ।
গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে যে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বেশি সংখ্যক অণু আয়নে বিয়োজিত হয়, তাকে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে । যেমন : হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড ইত্যাদি ।
গলিত অবস্থায় বা জলীয় দ্রবণে যে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের খুব কম সংখ্যক অণু আয়নে বিয়োজিত হয়, তাকে মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে । যেমন : কার্বনিক অ্যাসিড (H2CO3), অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড ইত্যাদি ।
কেরোসিন, গলিত পটাসিয়াম ক্লোরাইড, চিনির জলীয় দ্রবণ, খাদ্য লবণের জলীয় দ্রবণ ।
(i) গলিত পটাসিয়াম ক্লোরাইড এবং খাদ্য লবণের জলীয় দ্রবণ হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য ।
(ii) কেরোসিন এবং চিনির জলীয় দ্রবণ হল তড়িৎ অবিশ্লেষ্য ।
তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণিতে Cu++ আয়নটির স্থান H+ আয়নের নীচে । তাই Cu++ আয়নটি H+ আয়নের আগে ক্যাথোডে মুক্ত হবে ।
একযোজী, দ্বিযোজী এবং ত্রিযোজী মৌল বা মুলকের আধানে যথাক্রমে এক একক, দুই একক এবং তিন একক তড়িৎ বর্তমান থাকে ।
তামার তড়িৎ বিশোধনে অবিশুদ্ধ কপার তড়িৎ অ্যানোডের চারদিক মসলিনের থলি দিয়ে ঘেরা থাকে । এই থলিতে অ্যানোডে থাকা গোল্ড, সিলভার, প্লাটিনাম প্রভৃতি দামি ধাতু কাদার আকারে জমা হয় । একে অ্যানোড মাড বলে ।
অ্যানোড মাড থেকে গোল্ড, সিলভার প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতু পাওয়া যায় ।
অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনে লোহার ট্যাঙ্কের ভেতরের দেওয়ালে গ্যাসকার্বনের পুরু আস্তরণ থাকে । এটি ক্যাথোড হিসাবে কাজ করে । ট্যাঙ্কের উপর থেকে ঝোলানো কয়েকটি গ্রাফাইট দন্ডকে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে আংশিক ডুবিয়ে রাখা হয় । এরা অ্যানোড রূপে কাজ করে ।
চলমান বিশ্ব, কারেন্ট আফেয়ার্স এর সকল আপডেট তথ্য পাবেন, আমাদের ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুকে পেইজে facebook.com/eshikhon