
সমুদ্র সমতল থেকে নারায়ণগঞ্জের উচ্চতা => ৮ মিটার
সমুদ্র সমতল থেকে বগুড়ার উচ্চতা => ২০ মিটার
সমুদ্র সমতল থেকে লালমাই সমভূমির উচ্চতা=> ২১ মিটার
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অবস্থিত=> গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল
বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি রয়েছে- এলুমিনিয়াম।
বাংলাদেশের মাটিতে যে খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে- দস্তা ও গন্ধক।
বাংলাদেশের মাটিকে প্রকৃতি ও রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তিকরে- ৫ ভাগে ভাগ করা যায়।
পীত মাটি পাওয়া যায়- ফরিদপুরে।
বাংলাদেশের মৃত্তিকা গবেষণা ইন্সটিটিউট অবস্থিত- ঢাকায়।
হিউমাস মাটির কি উপকার করে- উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির অনুর্বরতার কারণ- লবণাক্ততা।
পাহাড়ি মাটি- অম্ল প্রকৃতির।
সবচেয়ে উর্বর মাটি- পলিমাটি বা পলল গঠিত মাটি।
ভূ-প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে- ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পাহাড় সমূহের ভূমিরূপ- টারশিয়ারী যুগের।
প্লাবন সমভূমি থেকে বরেন্দ্র ভূমির উচ্চতা- ৬-১২ মিটার।
বরেন্দ্রভূমি বলা হয়- রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিম অংশকে।
বরেন্দ্র ভূমির মাটির রং- ধূসর ও লাল বর্ণের।
সর্বপ্রথম বাংলাদেশের কোন অঞ্চল গঠিত হয়- টারশিয়ারী যুগের পাহাড়।
ভাওয়ালের গড় অঞ্চল- গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
মধুপুর অবস্থিত- টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চলের মাটির রং- লালচে ও ধূসর।
সমভূমি থেকে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চলের উচ্চতা- ৩০ মিটার।
ঢাকার প্রতিপাদ্য স্থান- চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভূ-প্রকৃতি- বালুকাময়।
পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ => বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নিম্নাঞ্চলের জেলাসমূহ গঠিত-প্লাবন সমভূমি
পুরাতন পলল গঠিত চত্বর ভূমি গঠিত হয় => প্লাইস্টোসিন যুগে
সোপান অঞ্চল => চত্বর ভূমি
বাংলাদেশের ভূ-খন্ড সৃষ্টির পূর্বে এখানে ছিল=> বঙ্গখাত বা Bango-Basin.
বাংলাদেশে আগে সাগর ছিল তার প্রমাণ => চুনাপাথরের খনি
ডিগ্রি
আয়তন :
▬▬▬▬▬▬
বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ১৯৯৬-৯৭ সালের তথ্য অনুসারে দেখা যায়, বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে উপকূল অঞ্চলে বিশাল এলাকা ক্রমান্বয়ে জেগে উঠেছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ অংশের প্রসার ঘটলে বাংলাদেশের আয়তন আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের টেরিটোরিয়েল সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল, অর্থনৈতিক একান্ত অঞ্চল ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং সামুদ্রিক মালিকানা মহীসোপানের শেষ সীমানা পর্যন্ত।
মায়ানমার ও ভারতের দাবিকৃত সমদূরত্ব পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ১৩০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তাতে বাংলাদেশ পেত ৫০,০০০ বর্গকিলোমিটারের কম জলসীমা। বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে মায়ানমারের বিপক্ষে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত সমুদ্র আইন বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে এবং ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত সালিশ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গত ১৪ই মার্চ, ২০১২ সালে বাংলাদেশ-মায়ানমার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের ন্যায্যভিত্তিক দাবির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় পায়। এ রায়ের ফলে বাংলাদেশ প্রায় এক লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি জলসীমা পেয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে উপকূলীয় বেজলাইন ধরে ১২ নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র এলাকা (Territorial sea area ) এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল বা একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive economic zone ) পেয়েছে। প্রাপ্ত এই জলরাশি ও তলদেশে এবং তার বাইরে মহীসোপান এলাকার সকল খনিজ সম্পদে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এই হিসেবেউপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সাগরের তলদেশে বাংলাদেশের মহীসোপান রয়েছে (১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলোমিটার)।অর্থাৎ বাংলাদেশের উপকূলীয় ভূখণ্ড সমুদ্রে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে, যার ভৌগোলিক নাম মহীসোপান।
সীমা :
▬▬▬▬▬▬
বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম রাজ্য; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখার দৈর্ঘ্য ৩৭১৫.১৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য ২৮০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তটরেখার দৈর্ঘ্য ৭১৬ কিলোমিটার (চিত্র ১০.১)।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।