
যান্ত্রিক ভাষা(Machine Language)
যান্ত্রিক ভাষার সহজ বা সংক্ষিপ্ত অর্থ হচ্ছে যন্ত্রের ভাষা । এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার যন্ত্র যে ভাষাটি বুঝতে পারে সে ভাষাকেই যান্ত্রিক ভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয় । আর তা হল বিদ্যুতের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি । মানুষের ভাষার এগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করানো হয় দুটি মাত্র বর্ণ দিয়ে । এক(১) এবং শূন্য (০) । এই এক (১) এবং শূন্য (০) দিয়ে লিখিত ভাষায়ই কম্পিউটার মানুষের দেওয়া নির্দেশ বুঝতে পারে । একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারের কাজের সঙ্গে সংযুক্ত মনিটরে তার নিজের ভাষাতেই সব ধরনের ফলাফল দেখতে পায় । কিন্তু কম্পিউটার কাজের শুরু থেকে ফলাফল প্রদর্শন পর্যন্ত সব কিছুই তার নিজস্ব ভাষা অর্থাৎ এক (১) এবং শূন্য (০) এর সমন্বয়ে বা বাইনারী পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে থাকে । কিন্তু মানুষের পক্ষে বাইনারী পদ্ধতিতে কম্পিউটারের সকল প্রকার ইনপুট এবং নির্দেশ প্রদান করা অত্যন্ত কঠিন । বাইনারী পদ্ধতিতে ইনপুট এবং নির্দেশ প্রদান করতে হলে প্রচুর পরিমাণ সংখ্যা টাইট করতে হয় । মানুষের ব্যবহৃত শব্দে প্রতিটি অক্ষরের জন্য সমতুল্য বাইনারী সংখ্যা মুখস্ত করে রাখতে হয় । উপরন্তু প্রচুর পরিমাণ সংখ্যা টাইপ করার জন্য অনেক সময় ব্যয় হয় এবং বিষটি অত্যন্ত পরিশ্রম সাধ্যও বটে ।
সুবিধা :
১. সরাসরি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
২. মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম লিখে তা নির্বাহের জন্য কোনো প্রকার অনুবাদক প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় না।
৩. দ্রুত কাজ করে।
৪. অতি অল্প মেমোরি প্রয়োজন হয়।
৫. কম্পিউটারের ভিতরের গঠন ভালোভাবে বুঝতে হলে এই ভাষা জানতে হয়।
অসুবিধা :
১. শুধু ০ ও ১ ব্যবহার করা হয় বলে প্রোগ্রাম লেখা কষ্টসাধ্য।
২. প্রোগ্রাম লিখতে প্রচুর সময় লাগে।
৩. ভুল হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
৪. ভুল-ক্রুটি দূর করা খুব কঠিন।
৫. কম্পিউটারের ভিতরের সংগঠন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে।
৬. এক ধরনের কম্পিউটারের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।