বিসিএস পরীক্ষার লিখিত ও প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির জন্য ইশিখন.কম এ প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের উপর রয়েছে শত শত লেকচার। যেটি থেকে প্রায় ৬০% থেকে ৯০% বিভিন্ন পরীক্ষায় কমন আসে।
নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট
আলোর প্রকৃতি
Nature of light
আমরা জানি, আলো হলো এক প্রকার শক্তি যার মাধ্যমে আমরা কোনো বস্তু দেখতে পাই। আমরা যখন কানো বস্তু দেখি, তখন বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে আসে। চোখে প্রবিষ্ট আলো চোখের রেটিনায় বস্তুটির প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে এবং জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে বস্তুটির অনুরূপ একটি বস্তুর অনুভূতি সৃষ্টি করে। প্রাচীনকাল হতে মানুষ আলোর প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভের চেষ্টা করে আসছে। এক সময় ধারণা করা হতো আমাদের চোখ হতে আলো কোনো বস্তুর উপর পড়ে, তাই আমরা সেই বস্তু দেখতে পাই। আসলে যখন কোনো বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে আসে, তখনই কেবল আমরা সেই বস্তু দেখতে পাই।
আলোর প্রধান প্রধান ধর্মগুলো নিম্নরূপ:
১. কোনো স্বচ্ছ সমসত্ব মাধ্যমে আলো সরলপথে চলে।
২. কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলো একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে। শূন্যস্থানে এই বেগের মান, c = 3 x 108ms-1।
৩. আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন, বিচ্ছুরণ এবং সমবর্তন ঘটে।
৪. আলো এক প্রকার শক্তি।
৫. আলো এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ।
৬. কোনো কোনো ঘটনায় আলো তরঙ্গের ন্যায়, আবার কখনো কখনো আলো কণার ন্যায় আচরণ করে।
আলোর প্রতিফলন
Laws of reflection of light
আমরা আমাদের চারপাশে অনেক রকম বস্তু দেখে থাকি। এদের কোনোটি চারদিকে আলো ছড়ায় আবার কোনোটি আলো ছড়ায় না। যে সকল বস্তু যেমন-সূর্য,তারা, জলন্ত মোমবাতি, নক্ষত্র ইত্যাদি নিজে থেকে আলো নিঃসরণ করে তাদেরকে বলা হয় দীপ্তিমান বস্তু। আবার যে সকল বস্তু যেমন- মানুষ, গাছপালা, টেবিল, দেয়াল, ছবি, চক বোর্ড ইত্যাদির নিজের আলো নেই বা নিজে আলো নিঃসরণ করতে পারে না তাদেরকে বলা হয় দীপ্তিহীন বস্তু। যখন দীপ্তিমান বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে আসে তখন আমরা সেই বস্তুটি দেখতে পাই। আমাদের চারপাশে যে সকল সাধারণ বস্তু দেখতে পাই সেগুলো দীপ্তিমান বস্তু নয়, তবুও আমরা সেগুলো দেখতে পাই। এর কারণ হচ্ছে আলোর প্রতিফলন। চিত্রে তোমরা দেখতে পাচ্ছো কীভাবে আমরা একটি দীপ্তিমান বস্তু (সূর্য) এবং একটি দীপ্তিহীন বস্তুকে (বিড়াল) দেখতে পাচ্ছি। চোখ দীপ্তিমান বস্তুটিকে দেখতে পায় কেননা এটি থেকে আলো সরাসরি চোখে প্রবেশ করে। দ্বীপ্তিমান বস্তু থেকে আসা আলো বিড়াল থেকে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে প্রবেশ করে বলে বিড়ালটি আমরা দেখতে পাই।
একটি স্বচ্ছ ও সমসত্ত্ব মাধ্যমে (যেমন-কাচ) আলোকরশ্মি সরলপথে গমন করে এবং একই বেগে চলে। কিন্তু আলোকরশ্মি যখন এক মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে অন্য এক মাধ্যমের কোনো তলে আপতিত হয় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে কিছু পরিমাণ আলো আবার প্র ম মাধ্যমে ফিরে আসে। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে। যে পৃষ্ঠ হতে আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলে।
প্রতিফলনের সূত্র:
আপতিত রশ্মি এবং প্রতিফলিত রশ্মি দুটি সহজ সূত্র মেনে চলে-
১. প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে।
২. দ্বিতীয় সূত্র: প্রতিফলন কোণ আপতন কোণের সমান হয়।
দর্পণ
Mirror
দর্পণ হলো এমন একটি মসৃণ তল যেখানে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। দর্পণে আলোর প্রতিফলনের ফলে দর্পণের সামনে স্থাপিত বস্তুর একটি স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। একটি মসৃণ তলে প্রতিফলক আস্তরণ দিয়ে দর্পণ প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত কাচের এক পৃষ্ঠে ধাতুর প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়। কাচের উপর পারদ বা রুপার প্রলেপ লাগানোর এই প্রক্রিয়াকে ‘পারা লাগানো’ বা সিলভারিং বলা হয়। ধাতুর প্রলেপ লাগানো পৃষ্ঠের বিপরীত পৃষ্ঠটি এক্ষেত্রে প্রতিফলক পৃষ্ঠ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও স্থির পানি পৃষ্ঠ, মসৃণ বরফ ইত্যাদিও দর্পণের ন্যায় কাজ করে থাকে।
দর্পণ প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১. সমতল দর্পণ
২. গোলীয় দর্পণ
সমতল দর্পণ
প্রতিফলক পৃষ্ঠটি যদি মসৃণ ও সমতল হয় এবং তাতে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে,তবে সে পৃষ্ঠকে সমতল দর্পণ বলে। আমরা সচরাচর যে দর্পণ বা আয়না ব্যবহার করে থাকি। সেটি হলো সমতল দর্পণ।
গোলীয় দর্পণ
প্রতিফলক পৃষ্ঠটি যদি মসৃণ এবং গোলীয় হয় অর্থাৎ প্রতিফলক পৃষ্ঠটি যদি কোনো গোলকের অংশবিশেষ হয় এবং তাতে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তবে তাকে গোলীয় দর্পণ বলে। চিত্রে গোলকীয় দর্পণ দেখানো হয়েছে।
একটি কাচের ফাপা গোলকের খানিকটা অংশ কেটে নিয়ে যদি তার এক পৃষ্ঠে পারা লাগানো হয়, তবে গোলীয় দর্পণ তৈরি হয়। গোলীয় দর্পণ আবার দুই প্রকার। যথা-
১. অবতল দর্পণ
২. উত্তল দর্পণ
অবতল দর্পণ: কোনো গোলকের অবতল পৃষ্ঠ যদি প্রতিফলকরূপে কাজ করে অর্থাৎ আলোর নিয়মিত প্রতিফলন যদি গোলীয় দর্পণের অবতল পৃষ্ঠ হতে সংঘটিত হয় তবে সে দর্পণকে অবতল দর্পণ বলে। এক্ষেত্রে গোলকের কেটে নেয়া অংশের উত্তল পৃষ্ঠে পারা লাগিয়ে অবতল দর্পণ তৈরি করা হয়। অবতল দর্পণ একটি অভিসারী দর্পণ কেননা সমান্তরাল আলোকরশ্মি অবতল দর্পণে আপতিত হওয়ার পর প্রতিফলিত হয়ে একটি বিন্দুতে অভিসারীত হয় বা একত্রে মিলিত হয়।
উত্তল দর্পণ: কোনো গোলকের উত্তল পৃষ্ঠ যদি প্রতিফলকরূপে কাজ করে অর্থাৎ আলোর নিয়মিত প্রতিফলন যদি গোলীয় দর্পণের উত্তল পৃষ্ঠ হতে সংঘটিত হয়, তবে সে দর্পণকে উত্তল দর্পণ বলে। এক্ষেত্রে গোলকের কেটে নেওয়া অংশের অবতল পৃষ্ঠে অর্থাৎ ভিতরের দিকে পারা লাগিয়ে উত্তল দর্পণ তৈরি করা হয়। উত্তল দর্পণ একটি অপসারী দর্পণ, কারণ সমান্তরাল আলোকরশ্মি উত্তল দর্পণে আপতিত হয়ে প্রতিফলিত হবার পর অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়ে এবং কখনই একটি বিন্দুতে মিলিত হয় না।
গোলীয় দর্পণ সংক্রান্ত কয়েকটি সংজ্ঞা
মেরু (pole) : গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠের মধ্যবিন্দুকে দর্পণের মেরু বলে। চিত্রে P দর্পণের মেরু। অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলক পৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু বিন্দু এবং উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলক পৃষ্ঠের সবচেয়ে উচু বিন্দুই দর্পণের মেরু।
বক্রতার কেন্দ্র : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ, সেই গোলকের কেন্দ্রকে ঐ দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র বলে।
বক্রতার ব্যাসার্ধ : গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ, সেই গোলকের ব্যসার্ধকে ঐ দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।
প্রধান অক্ষ : গোলীয় দর্পণের মেরু ও বক্রতার কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী সরলরেখাকে দর্পণের প্রধান অক্ষ বলে।
গৌণ অক্ষ : মেরু বিন্দু ব্যতিত দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠের উপরস্থ যে কোনো বিন্দু ও বক্রতার কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী সরলরেখাকে গৌণ অক্ষ বলে।
প্রধান ফোকাস : প্রধান অক্ষের নিকটবর্তী ও সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ কোনো গোলীয় দর্পণে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের উপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণে) বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণে) তাকে ঐ দর্পণের প্রধান ফোকাস বলে।
ফোকাস দূরত্ব : গোলীয় দর্পণের মেরু বিন্দু থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ফোকাস তল : গোলীয় দর্পণের প্রধান ফোকাসের মধ্য দিয়ে প্রধান অক্ষের সাথে লম্বভাবে যে সমতল কল্পনা করা হয় তাকে ফোকাস তল বলে।
প্রতিবিম্ব
Image
তুমি যখন কোনো আয়নার দিকে তাকাও, তখন তুমি তোমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাও। শুধু আয়না কেন, তুমি যখন কোনো পুকুর বা নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাও তখনও পানির মধ্যে তোমার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। এই প্রতিচ্ছবিই হলো তোমার প্রতিবিম্ব। যখন তোমার দেহ বা কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে তোমার চোখে আসে তখনই আমরা প্রতিবিম্ব দেখি। কোনো বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মি যখন সরাসরি আমাদের চোখে প্রবেশ করে তখন আমরা সেই বস্তুটি দেখতে পাই। আবার বস্তু থেকে আলোকরশ্মি যদি সরাসরি আমাদের চোখে না এসে অন্য কোনো মাধ্যমে প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হয়ে চোখে প্রবেশ করে তখনও আমরা বস্তুটিকে দেখতে পাই। তখন মনে হয় যেন বস্তুটি তার আগের অবস্থানে নেই। তুমি যখন আয়নায় তোমার প্রতিচ্ছবি দেখ, তখন তোমার কাছে মনে হয় যেন তুমি আয়নার পিছনে আছ। প্রকৃত পক্ষে তুমি আয়নার সামনেই আছ। আয়নার উপস্থিতির জন্য নতুন অবস্থানে আমরা বস্তুর যে প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই তাই হলো বস্তুর প্রতিবিম্ব।
প্রতিবিম্ব দুই প্রকারের হয়-
(ক) বাস্তব প্রতিবিম্ব
(খ) অবাস্তব প্রতিবিম্ব
(ক) বাস্তব প্রতিবিম্ব: কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে প্রকৃতপক্ষে মিলিত হয় তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর বাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।
(খ) অবাস্তব প্রতিবিম্ব: কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসারিত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রম বিন্দুর অবাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।
সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য
সমতল দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের নিম্নলিখিত ধর্মগুলো রয়েছে:
১. সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্বও তত।
২. প্রতিবিম্বের আকার লক্ষবস্তুর আকারের সমান।
৩. প্রতিবিম্ব অবাস্তব এবং সোজা।
দর্পণের ব্যবহার
Uses of Mirror
বিভিন্ন ধরণের দর্পণ আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। এগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
সমতল দর্পণ
১. সমতল দর্পণের সাহায্যে আমরা আমাদের চেহারা দেখি।
২. চোখের ডাক্তারগণ রোগীর দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করার জন্য বর্ণমালা পাঠের সুবিধার্থে সমতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকেন।
৩. সমতল দর্পণ ব্যবহার করে পেরিস্কোপ তৈরি করা হয়।
৪. পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনা এড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়।
৫. বিভিন্ন আলোকীয় যন্ত্রপাতি যেমন- টেলিস্কোপ,ওভারহেড প্রজেক্টর, লেজার তৈরি করতে সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
৬. নাটক, চলচ্চিত্র ইত্যাদির সুটিং এর সময় সমতল দর্পণ দিয়ে আলো প্রতিফলিত করে কোনো স্থানের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করা হয়।
অবতল দর্পণ
১. সুবিধাজনক আকৃতির অবতল দর্পণ ব্যবহার করে মুখমণ্ডলের বিবর্ধিত এবং সোজা প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়, এতে রূপচর্চা ও দাঁড়ি কাঁটার সুবিধা হয়।
২. দন্ত ডাক্তারগণ অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।
৩. প্রতিফলক হিসেবে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। যেমন- টর্চলাইট, স্টিমার বা লঞ্চের সার্চলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করে গতিপথ নির্ধারণ করা হয়।
৪. অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোকশক্তি, তাপশক্তি ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত করে কোনো বস্তুকে উত্তপ্ত করতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটি রাডার এবং টিভি সংকেত সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ডিশ এন্টেনা, সৌরচুল্লী, টেলিস্কোপ এবং রাডার সংগ্রাহক ইত্যাদি।
৫. অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোক রশ্মিগুচ্ছকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় বলে ডাক্তাররা চোখ, নাক, কান ও গলা পরীক্ষা করার সময় এ দর্পণ ব্যবহার করেন।
উত্তল দর্পণ
১. উত্তল দর্পণ সর্বদা অবাস্তব, সোজা এবং খর্বিত প্রতিবিম্ব গঠন করে বিধায় পেছনের যানবাহন বা পথচারী দেখার জন্য গাড়িতে এবং বিয়ের সময় ভিউ মিরর হিসেবে এ দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
২. উত্তল দর্পণের সাহায্যে বিস্তৃত এলাকা দেখতে পারা যায় বলে দোকান বা শপিংমলে নিরাপত্তার কাজে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
৩. প্রতিফলক টেলিস্কোপ তৈরিতে এ দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
৪. এ দর্পণ বিস্তৃত এলাকায় আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দেয় বলে রাস্তার বাতিতে প্রতিফলকরূপে ব্যবহৃত হয়।
বিবর্ধন
Magnification
আমরা যখন কোনো দর্পণ বা লেন্সে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব দেখি, তখন সেটি লক্ষ বস্তুর তুলনায় বড়, ছোট বা সমান আকারের হতে পারে।
কোনো দর্পণ বা লেন্সে গঠিত প্রতিবিম্ব বস্তুর চেয়ে আকারে কতটুকু বড় বা ছোট বিবর্ধন দ্বারা তা পরিমাপ করা হয়। অন্যভাবে বলা যায় প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষবস্তুর দৈর্ঘ্যরে অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বা সংক্ষেপে বিবর্ধন বলে
আলোর বিচ্ছুরণঃ সাদা রশ্মি প্রিজমের মধ্যদিয়ে প্রতিসরণের ফলে সাতটি বর্ণের আলোকে বিভক্ত হওয়কে আলোকের বিচ্ছুরণ বলে
লেন্স বা কলাঃ দুইটি তল দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনএকটি<চ্ছসমসত্ত মাধ্যমের তলদ্বয়েরএকটি সমতলএবং অপরটি গোলকীয়বা উভয় তলই গোলকীয় হলে উক্ত মাধ্যমকে লেন্স বলে প্রকৃতি অনুসারে লেন্স দু প্রকার যথা অভিসারীলেন্স ওঅপসারীলেন্স
আলোকবৎসরঃআলোকের বেগ শূণ্যমাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল আলোক ১ বছরে যে দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে আলোক বৎসর বলে
অবলোহিত রশ্মিঃ লাল বর্ণের আলোকের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি
অতিবেগুনিরশ্মিঃ বেগুনি বর্ণের আলোকের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলো
দৃষ্টিক্রটি এবং উহাদের প্রতিকারঃ দৃষ্টির ক্রটি মোট চারটি
যথা
হ্রস্ব দৃষ্টিঃকাছের বস্তুদেখতে পায় কিন্তু দূরের বস্তু দেখতে হয়না
প্রতিকারঃঅবতল লেন্সের চশমা
দীর্ঘদৃষ্টিঃদূরেরবস্ত দেখতে পায় কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে পায়না
প্রতিকারঃ উত্তল লেন্সের চশমা
আর্ধক্য দৃষ্টিবা চালশেঃ কাছের এবং দূরের কোন জিনিসইভাল দেখতে পারেনা
প্রতিকার দ্বি ফোকাল লেন্সেরচশমা
বিষমদৃষ্টি বা নকুল অন্ধতাঃ একই সময়ে একই দূরত্বের বিভিন্ন তলের বস্তুকে সমান ভাবে দেখতে পায়না
প্রতিকারঃ সিলিন্ডার বাকৃত্রিম লেন্সেরচশমা
চলমান বিশ্ব, কারেন্ট আফেয়ার্স এর সকল আপডেট তথ্য পাবেন, আমাদের ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুকে পেইজে facebook.com/eshikhon
0 responses on "বিসিএস ক্র্যাশ - নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট - 1"