
রক্তের কাজ:
অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন
খাদ্যসার, হরমোন, সঞ্চিত খাদ্য পরিবহন
জীবাণু প্রতিরোধ
রক্তপাত প্রতিরোধ
দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ
ক্ষত নিরাময়
রক্ত তঞ্চন পদ্ধতিতে ১৩ টি ফ্যাক্টর কাজ করে।
থ্রম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতিতে প্রো-থ্রম্বিন কে সক্রিয় থ্রম্বিন-এ পরিণত করে। এবং থ্রম্বিন ফাইব্রোজেন হতে ফাইব্রিন তৈরি করে। ফাইব্রিন জালকে রক্ত কোষ আটকে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
শিরার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ১৫% এবং ধমনীর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ২০% ।
কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পরিবাহিত হয়।
কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তকণিকায় কিছু অ্যান্টিজেন (A, B এবং O)-এর উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে রক্তের যে শ্রেণীবিন্যাস করেন, তা ABO ব্লাড গ্রুপ বলা হয়।
অ্যান্টিবডি জেনারেটর থেকে “অ্যান্টিজেন” শব্দের উৎপত্তি। অ্যান্টিবডি হল বাহির থেকে আসা অচেনা পদার্থের (অ্যান্টিজেনের) প্রতি সাড়া দিয়ে প্লাজমা B কোষ হতে উৎপন্ন প্রোটিনধর্মী পদার্থ, যেটি অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে একে নিষ্ক্রিয় ও ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
যে অ্যান্টিবডির সঙ্গে অ্যান্টিজেনের বিক্রিয়ায় রক্তকণিকা জমাট বেঁধে যায়, তাকে অ্যাগ্লুটিনিন বলে।
.মানুষের রক্তে A ও B – এই দু’রকম অ্যান্টিজেন হতে পারে। কারো রক্তে A অ্যান্টিজেন থাকে কিন্তু B অ্যান্টিজেন থাকে না। তাই B অ্যান্টিজেন দেখলে বাইরের কোন প্রোটিন ভেবে এর বিরূদ্ধে অ্যান্টিবডি β (Anti-B) তৈরি করে। আবার কারও রক্তে B অ্যান্টিজেন থাকে, কিন্তু A অ্যান্টিজেন থাকে না। সেভাবে α (Anti-A) তৈরি করে।
কারও রক্তে উভয় অ্যান্টিজেন থাকে, তাদের ব্লাড গ্রুপ AB, তাদের কোন অ্যান্টিবডি থাকে না, তাই A বা B গ্রুপের রক্ত এরা গ্রহণ করতে পারে, তাই এদের বলে সার্বজনীন গ্রহীতা।
কারও কোনও অ্যান্টিজেন-ই থাকে না, তাদের ব্লাড গ্রুপ O, তারা A ও B উভয় অ্যান্টিজেনের প্রতিই অ্যান্টিবডি তৈরি করে। তবে O গ্রুপের রক্ত যে কাউকেই দেওয়া যায়, যেহেতু তাদের রক্তে A বা B কোন অ্যান্টিজেনই উপস্থিত থাকে না। তাই এদের সার্বজনীন দাতা বলে।
রক্ত সঞ্চারণের সময় ব্লাড গ্রুপ ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। আপদকালীন সঞ্চারণকালে O গ্রুপের এবং Rh নেগেটিভ রক্ত সঞ্চারণ করা নিরাপদ।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।