
নৈতিকতা
মানব সমাজে প্রাচীন কাল থেকেই নৈতিকতার ধারণা রয়েছে। মানুষ একটি নৈতিক প্রাণী। মানুষকে নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল করেই সৃষ্টি করা হয়েছে। নৈতিক জবাবদিহীতা মানুষের বৈশিষ্ট্য। মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর পার্থক্য প্রধানত নৈতিক। জৈবিক দিক মানুষসহ সব জীবেরই রয়েছে কিন’ নৈতিক দিক শুধু মানুষেরই আছে। এদিক দিয়ে মানুষ অনন্য। সব সমাজে ও সব ধর্মে নৈতিকতার গুরুত্ব স্বীকৃত। নৈতিকতার উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বের দাবীদার একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থা যদি নৈতিকতার উন্নয়নের সহায়ক না হয় তাহলে সে শিক্ষার মাধ্যমে মানবজাতির সত্যিকার কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়। তাই নৈতিকতার উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।
নৈতিকতার ধারণা
নৈতিকতা বলতে মুলতঃ আমরা বুঝি মানুষ অন্যদের – মানুষ ও মানবজাতি বহির্ভূতদের সাথে কীভাবে আচরণ করে তার নির্যাস ও রূপরেখা । অন্যান্যদের সাথে পারস্পরিক কল্যাণ, প্রবৃদ্ধি, সৃজনশীলতার উন্নয়নে কিভাবে মানুষ আচরণ করে এবং কীভাবে মন্দের পরিবর্তে ভালো, ভুলের পরিবর্তে শুদ্ধতার জন্যে প্রয়াস চালায় নৈতিকতা তারই নির্দেশনা দেয়। নৈতিকতার ক্ষেত্রে ইসলামের রয়েছে এক পূর্ণাঙ্গ ধারণা যেটি মানবজাতির নৈতিকতা বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
নৈতিকতা (Morality)
যে গুণ মানুষকে অন্যায় হতে বিরত রাখে এবং ন্যায় কাজে নিয়োজিত করে, তাই নৈতিকতা।
নৈতিকতার ইংরেজী প্রতিশব্দ ল্যাটিন শব্দ Moralitas থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘সঠিক আচরণ’ বা চরিত্র।
নীতিবিদ মূ্র বলেন, ‘শুভ’র প্রতি অনুরাগ ও অশুভ’র প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা’।
প্লেটের মতে- ন্যায় হলও- প্রত্যেকের নিজ দায়িত্ব- কর্তব্য পালন করা এবং অন্যের কর্তব্য পালনে না করা।
নৈতিকতা সামাজিকভাবে স্বীকৃত গুণ, তবে নৈতিকতা বাধ্যবাধকতা আরোপযোগ্য নয়।
নৈতিকতাকে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।