
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে বাজারে থাকছে না ১, ২ আর ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা।
এক, দুই ও পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদও বের হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে কয়েন গ্রহণ করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে গ্রাহকদের চাহিদার ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী কয়েন বিতরণ করার কথাও বলা হয়েছে।গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে জারি করা ওই সার্কুলারটি দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, নিয়মানুযায়ী ধাতব মুদ্রা গ্রহণ ও বিতরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যাচ্ছে যে তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো জনসাধারণের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে তাদের মাঝে তা বিতরণ করছে না। ফলে জনসাধারণ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনও বিঘ্নিত হচ্ছে।
তবে স্থানীয় কার্যালয় ও অন্যান্য বড় শাখাকে বর্ণিত সংখ্যার তিনগুণ, অর্থাৎ প্রতিটি মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস করে ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে যে, তাদের সব শাখায় তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ধাতব মুদ্রা সংরক্ষিত আছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে ধাতব মুদ্রা জমাদানের প্রয়োজন হলে ব্যাংক শাখাগুলো শক্ত ও মোটা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করবে। প্রতিটি ব্যাগে মূল্যমান নির্বিশেষে এক হাজার পিস করে ধাতব মুদ্রা রেখে ব্যাগের মুখ সিলগালা করে অথবা সিকিউরিটি ট্যাগ দিয়ে বন্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে একই ব্যাগে একাধিক মূল্যমানের মুদ্রা রাখা যাবে না। ব্যাংকের নিজস্ব ফ্লাই লিফ পূরণ করে তা আঠা দিয়ে ব্যাগের গায়ে লাগিয়ে দিতে হবে।