বাংলাদেশ বিষয়াবলি ভৌগলিক অবস্থা
জেনে রাখুনঃ
*সর্বউত্তরের জেলা-পঞ্চগড়।
*সর্বদক্ষিণের জেলা-কক্সবাজার।
*সবচেয়ে পুর্বের জেলা-বান্দরবান।
*সবচেয়ে পশ্চিমের জেলা-চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
*সর্বউত্তরের থানা-তেঁতুলিয়া।
*সর্বদক্ষিণের থানা-টেকনাফ।
*সবচেয়ে পূর্বের থানা-থানচি।
*সবচেয়ে পশ্চিমের থানা-শিবগঞ্জ।
*সর্বউত্তরের স্থান-বাংলাবান্ধা।
*সর্বদক্ষিণের স্থান-ছেঁড়াদ্বীপ।
*সর্বপূর্বের স্থান-আখানইঠং।
*সর্বপশ্চিমের স্থান-মনাকশা।
*উত্তরপূর্ব কোণের থানা-জাকিগঞ্জ।
*দক্ষিণপূর্ব কোণের থানা-টেকনাফ।
*বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের স্থান বা দ্বীপ ছেঁড়াদ্বীপ অথবা সেন্টমার্টিন
বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমার সীমান্ত:
বাংলাদেশের সাথে ২টি (ভারত ও মায়ানমার) দেশের সীমান্ত সংযোগ রয়েছে;
বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি;
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ৩০টি;
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নাম –
ঢাকা বিভাগের ৪টি জেলা – জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা
সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা – সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ
চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি জেলা – চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রাজশাহী বিভাগের ৪টি জেলা – জয়পুরহাট, নওগাঁ, নবাবগঞ্জ ও রাজশাহী
রংপুর বিভাগের ৬টি জেলা – কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও দিনাজপুর
খুলনা বিভাগের ৬টি জেলা – মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা
ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ টি জেলা- ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর
মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমানা রয়েছে ৩টি (রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার)
বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মায়ানমারের সীমা রয়েছে রাঙামাটি জেলার।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার সাথে ভারতের কোন সংযোগ নেই বান্দরবান ও কক্সবাজার এর।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের কোন সীমান্ত সংযোগ নেই বরিশাল বিভাগ এর।
বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের সীমান্ত সংযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ এর।
বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের কোন সীমান্ত সংযোগ নেই ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সাথে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জেলা ১০টি। জেলাগুলো হচ্ছে- ১) মুর্শিদাবাদ, ২) নদীয়া, ৩) চব্বিশ পরগনা, ৪) মালদহ, ৫) বীরভূম, ৬) কুচবিহার, ৭) জলপাইগুড়ি, ৮) বাহারামপুর, ৯) কৃষ্ণনগর, ১০) বারাসাত
অপারেশন পুশ ইন ও পুশ ব্যাক;
ভারত কর্তৃক একতরফাভাবে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর প্রচেষ্ঠা হচ্ছে অপারেশন পুশ ইন।
আর বি.ডি.আর. কর্তৃক ঠেলে পাঠানো বাংলাভাষীদের ভারতে ফেরত পাঠানো হলো অপারেশন পুশ ব্যাক।
পাদুয়াঃ
বাংলাদেশের সিলেটের পাদুয়া নামক স্থানটি ৩০ বছর পর বি.ডি.আর. বি.এস.এফ-এর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করে এবং ১৯৭১ সালে এটি দখল করে নিয়েছিল। পাদুয়া নামক স্থানটির আয়তন ২৩৭ একর।
বি.ডি.আর. কবে বি.এস.এফ-এর কাছ থেকে পাদুয়া পুনরুদ্ধার করে=> ১৫ এপ্রিল, ২০০১
বি.ডি.আর. ও বি.এস.এফ.-এর মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয় রৌমারীতে (১৮ এপ্রিল, ২০০১)
মুজিব-ইন্দিরা গান্ধী চুক্তি এবং বেড়ুবাড়ী-তিনবিঘা করিডোর
মুজিব-ইন্দিরা গান্ধী সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭৪ সালে। চুক্তি অনুযায়ী- বাংলাদেশ ভারতকে দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী ছিটমহল দিয়ে দেবে । বিনিময়ে তিনবিঘা করিডোর পাবে । তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের সঙ্গে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ।
বাংলাদেশকে ভারতের কাছে দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী হস্তান্তর করে- ১৯৭৪ সালে
ভারত বাংলাদেশের জন্য তিনবিঘা করিডোর খুলে দেয়- ২৬ জুন, ১৯৯২ (প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকতো)বেড়ুবাড়ী ছিটমহল- পঞ্চগড় জেলায়।
ভারত বাংলাদেশের কাছে তিনবিঘা করিডোর লিজ দেয়- ২০১১ সালে।
ভারত বাংলাদেশকে তিনবিঘা করিডোর লিজ দিলেও দক্ষিণ বেড়ুবাড়ী ভারতের দখলে আছে।
তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের জন্য ২৪ ঘণ্টা খুলে দেয়ার জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়- ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের মানুষের জন্য তিনবিঘা করিডোর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৯ অক্টোবর ২০১১)।
বিলঃ
সর্ববৃহৎ বিল- চলনবিল
চলনবিল- পাবনা ও নাটোরে অবস্থিত
চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী- আত্রাই
মিঠাপানির মাছের প্রধান উৎস- চলনবিল
তামাবিল- সিলেটে
বিল ডাকাতিয়া- খুলনায়
আড়িয়াল বিল- শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)
হাওড়ঃ
সবচেয়ে বড় হাওড়- টাঙ্গুয়ার হাওড়
টাঙ্গুয়ার হাওড়- সুনামগঞ্জে
টাঙ্গুয়ার হাওড়- World Heritage (UNESCO ঘোষিত)
টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বলে ঘোষণা করে- ২০০০ সালে
হাকালুকি হাওড়- মৌলভীবাজার
[বিল ও হাওড়ের পার্থক্য মূলত- বিলে সারা বছর পানি থাকে, কিন্তু হাওড়ে সারা বছর পানি থাকে না । শীতকালে হাওড় শুকিয়ে যায়, আবার বর্ষাকালে পানিতে ভরে যায়।]
ঝরনাঃ
শীতল পানির ঝরনা- কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ে
গরম পানির ঝরনা- সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
শুভলং ঝরনা- রাঙামাটিতে অবস্থিত
রিসাং ঝরনা- খাগড়াছড়িতে অবস্থিত
জলপ্রপাতঃ
প্রধান/বিখ্যাত জলপ্রপাত- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত- মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত
উচ্চতা- ২৫০ ফুট
নতুন আবিষ্কৃত জলপ্রপাত- হামহাম জলপ্রপাত
হামহাম জলপ্রপাত- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত
উপত্যকাঃ
ভেঙ্গী ভ্যালি- কাপ্তাই থেকে প্লাবিত রাঙামাটি
হালদা ভ্যালি- খাগড়াছড়ি
নাপিতখালি ভ্যালি- কক্সবাজার
প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা- রাঙামাটি
আয়তনে সবচেয়ে ছোট জেলা- মেহেরপুর
জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় জেলা- ঢাকা
জনসংখ্যায় সবচেয়ে ছোট জেলা- বান্দরবান
বৃহত্তম পাহাড়- গারো পাহাড় (ময়মনসিংহ জেলায়)
উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ- তাজিনডং বা বিজয় (বান্দরবান জেলায়)
বাংলাদেশের পাহাড়গুলো গঠিত- টারশিয়ারি যুগে
বাংলাদেশের উপর দিয়ে গেছে- কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer)
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড- বঙ্গোপসাগরে
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর