বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের সামারি
__________(৩য় পর্ব)____________________
৫ম অধ্যায়- বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
_____________________________
@বাংলাদেশ ২০.৩৪’ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩৮’ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮.০১’ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা থেকে ৯২.৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত।
@বাংলাদেশের উত্তরে পশ্চিম বঙ্গ, মেঘালয় ও অাসাম; পূর্বে অাসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং মিয়ানমার, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম বঙ্গ।
@পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ
@বাংলাদেশের ভূমিরূপ তিন ধরণের ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড় সমূহ ১২%= পার্বত্যভূমি +সিলেটের পাহার সমূহ + ময়মনসিংহের গারো পাহাড়
২. প্লাইস্টোসিন কালের সোপান সমূহ ৮%=বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়
৩. সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি যেটি মোট বনভূমির ৮০%
~~~~ নভেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের শীতকাল
~~~~জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের শীতলতম মাস
~~~~মার্চ হতে মে পর্যন্ত গ্রীষ্ম কাল
~~এপ্রিল মাস সবচেয়ে উষ্ণতম মাস
~~~~বাংলাদেশে জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষাকাল
~~~~ বাংলাদেশে মোট বৃষ্টিপাতের ৪/৫ ভাগ হয় বর্ষাকালে
~~~~১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ৩ বলয় সম্বলিত মানচিত্র তৈরি করেন; প্রলয়ঙ্করী, বিপজ্জনক ও লঘু বলয়।
৬ষ্ঠ- বাংলাদেশের নদনদী
________________________
@বাংলাদেশে নদনদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০ টি।
@হিমালয়ের গাঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি হয়ে উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্য পেরিয়ে গঙ্গা নদীটি বাংলাদেশে রাজশাহী জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে।১৬.৫কিমি/১১মাইল দূরে গঙ্গায় ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ দেওয়া হয়।
@পদ্মা নদী যমুনার সাথে গোয়ালন্দে(রাজবাড়ি) মিলিত হয়ে পদ্মা নামে মেঘনার সাথে চাঁদপুরে মিলিত হয়েছে, এই মিলিত ধারা বরিশাল ও নোয়াখালী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
@গঙ্গা পদ্মা বিধৌত অঞ্চলের অায়তন ৩৪,১৮৮ বর্গ কিমি।
@ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বতের মানস সরোবর হতে উৎপন্ন হয়ে ভারতের অাসাম হয়ে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
@১৭৮৭ সালের এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ দিয়ে যমুনা নামে প্রবাহিত হয়ে বগুড়ায় বাঙালী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে, এই মিলিত ধারা যমুনা নামে পদ্মার সাথে গোয়ালন্দে মিলিত হয়েছে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ধারাটি ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে মেঘনার সাথে ভৈরব বাজারে মিলিত হয়েছে।
@ যমুনার শাখা নদী ধলেশ্বরী এবং ধলেশ্বরীর শাখা নদী বুড়িগঙ্গা।
@ ধরলা ও তিস্তা ব্রহ্মপুত্রের প্রধান উপনদী।
@ করতোয়া ও অাত্রাই যমুনার উপনদী।
@ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী – বংশী ও শীতলক্ষ্যা ।
@ নাগা-মনিপুর হতে উৎপত্তি হয় অাসামের বরাক নদী, অাসামের বরাক নদী সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বিভক্ত হয়ে সিলেট জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সুনামগঞ্জ জেলার অাজমিরিগঞ্জের কাছে সুরমা ও কুশিয়ারা ও হবিগঞ্জের কালনী নদী মিলিত জলধারা কালনী হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে, সেই মেঘনা ভৈরব বাজার অতিক্রম করে ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে অাসা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। সেই জল ধারা মেঘনা হয়ে রাজবাড়ির গোয়ালন্দে নিকট যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে, সেই মিলিত ধারা মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়েছে……
@ ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার মিলিত জলধারা মুন্সীগঞ্জের নিকট মেঘনা সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা হয়েছে অারো বিস্তৃত , সেই বিস্তৃত মেঘনা চাঁদপুরে এসে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে, শেষ পর্যন্ত সেই মিলিত বিশাল জলধারা বরিশাল ও নোয়াখালী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়ে বিলীন হয়েছে।
@মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয় কর্ণফুলী। উপনদী গুলো হলো কাপ্তাই, হালদা, কাসালং, বোয়ালখালি, রাঙখিয়াং, চিংড়ি খাল নদী তবে একমাত্র শাখা নদী সিলনী নদী। কর্ণফুলীর দৈর্ঘ ৩২০কিমি।
@ভৈরব, রূপসা(রূপ লাল সাহা এর নামে একমাত্র নদী), পশুর( মংলা বন্দর অবস্থিত) নদীগুলো খুলনাতে।
@অারাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নাফ নদীর দৈর্ঘ্য ৫৬ কি.মি।
@তিস্তা নদী সিকিমের পার্বত্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে ভারতের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ডিমলা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে ১৯৮৭সালে প্রবল বন্যায় গঙ্গা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গতিপথ পরিবর্তন করে ব্রহ্মপুত্রের একটি পরিত্যক্ত গতিপথে প্রবাহিত হয় এবং এটি কুড়িগ্রামের চিলমাড়ীতে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি ১৯৯৭-৯৮ সালে নির্মিত হয়ে।
@বাংলাদেশের নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮৩৩ কি.মি।
@অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ(অাই ডব্লিউ টি এ) গঠিত হয় ১৯৫৮ সালে।
@বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে।
@বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো চিরহরিৎ অরণ্য।