📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের সামারি ২

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের সামারি (২য় পর্ব)

@সৌরজগতের ৮টি গ্রহ ও ৪৯টি উপগ্রহ রয়েছে।
@সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুন বড়।
@পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিমি দূরে।
@সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
@সূর্যের কোন কঠিন বা তরল পদার্থ নেই।
@সূর্যে ৫৫% হাইড্রোজেন + ৪৪% হিলিয়াম +১% অন্যান্য

@সূর্য নিজ অক্ষে ২৫ দিনে অাবর্তন করে কিন্তু গ্যালাক্সির চারদিকে ২০ কোটি বছরে অাবর্তন করে।

@সূর্যের নিকটতম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধ।বুধ সূর্যকে অাবর্তন করতে ৮৮ দিন লাগে। বুধের কোন উপগ্রহ নেই।

@শুক্র পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। একে সন্ধ্যার পশ্চিম অাকাশে সন্ধ্যাতারা এবং ভোরের পূর্ব অাকাশে শুকতারা হিসেবে অামরা দেখি। শুক্রের কোন উপগ্রহ নেই। সূর্যকে অতিক্রম করতে সময় লাগে ২২৫দিন।

@ পাথরে মরচে পড়ায় মঙ্গল একটি লাল গ্রহ। ডিমোস ও ফেবোস দুটি উপগ্রহ।

@সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেড সবচেয়ে বড় উপগ্রহ। এই গ্রহে দিনে দুইবার সূর্য উঠে ও অস্ত যায়।বৃহস্পতির উপগ্রহ সংখ্যা ১৬টি। সূর্যকে একবার অাবর্তন করতে ১২বছর সময় লাগে।

@ ২য় বৃহত্তম শনি গ্রহে তিনটি উজ্জ্বল বলয় অাছে। শনির উপগ্রহ সংখ্যা ২২টি।

@৩য় বৃহত্তম গ্রহ ইউরেনাস একটি সবুজ গ্রহ। এটির ৫টি উপগ্রহ রয়েছে। মিরিন্ডা, ওবেরন, অাম্ব্রিয়েল, টাইটানিয়া, এরিয়েল।

@নেপচুন একটি নীলাভ বর্ণের গ্রহ। উপগ্রহ ২টি, ট্রাইটন ও নেরাইড। সূর্যকে অাবর্তন করে ১৬৫ বছরে।

@ওজোনস্তরের গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কি.মি, এই স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এর তাপমাত্রা প্রায় ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,

@ভূপৃষ্ঠ হতে ট্রপোমণ্ডলের গড় গভীরতা প্রায় ১৩ কি. মি।

@পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৩.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

@পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ রেখা বা মেরু রেখা বলে। এই রেখার উত্তর প্রান্ত বিন্দুকে সুমেরু ও দক্ষিণ-প্রান্ত বিন্দুকে কুমেরু বলে।

@পৃথিবীর মধ্যভাগে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাই নিরক্ষ রেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলে।

@পূর্ব পশ্চিমে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল রেখাগুলোকে সমাক্ষরেখা বলে। বিখ্যাত সমাক্ষরেখাগুলো হলো:- ২৩.৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশকে কর্কটক্রান্তি, ২৩.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি, ৬৬.৫ উত্তর অক্ষাংশ সুমেরুবৃত্ত, ৬৬.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশ কুমেরুবৃত্ত বৃত্ত নামে পরিচিত।

@নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা হতে উত্তর বা দক্ষিণে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে।

@একটি স্থানের অবস্থান জানার জন্য স্থানটি নিরক্ষরেখার কতো উত্তরে বা দক্ষিণে এবং মূল মধ্যরেখার কতো পূর্বে বা পশ্চিমে তা জানা থাকা প্রয়োজন।

@একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সকল স্থানের অক্ষাংশ এক। ০-৩০ ডিগ্রী পর্যন্ত নিম্ম অক্ষাংশ, ৩০-৬০ পর্যন্ত মধ্য অক্ষাংশ এবং ৬০-৯০ পর্যন্ত কে উচ্চ অক্ষাংশ বলে।

@উত্তর মেরুতে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয় তাই দ্রাঘিমারেখা বা মধ্যরেখা।

@লন্ডনের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ (Greenwich) মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু হতে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাই মূল মধ্যরেখা।

@পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০ ডিগ্রী যাকে মূল মধ্যরেখা সমান দুই ভাগে অর্থাৎ ১৮০ডিগ্রি পূর্ব ও ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিমে ভাগ করেছে।

@প্রতি মিনিট দ্রাঘিমা এক ডিগ্রীর ৬০/১ অংশের সমান।

@যেখানে নিরক্ষরেখা ও মূল মধ্য রেখা পরস্পরকে লম্বভাবে ছেদ করে সেখানে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা উভয় শূন্য। এই স্থানটি হলো গিনি উপসাগরে।

@৩৬০=২৪*৬০ সুতরাং
১ ডিগ্রি দ্রাঘিমা = ৪ মিনিট/৪’
১’ দ্রাঘিমা= ৪ সেকেন্ড/৪”

@কোন স্থান হতে পূর্বে গেলে সময় বাড়ে কিন্তু পশ্চিমে গেলে সময় কমে।

@গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ০ ডিগ্রী, গ্রিনিচের সূক্ষ্ম সময় ক্রনোমিটার ঘড়ি হতে জানা যায়।

@সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে কোন স্থানের কৌনিক দূরত্ব বা দ্রাঘিমা বের করে ও সূর্যের অবস্থিত দেখে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বের করা যায়।

@একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট দূর করার জন্য প্রত্যেক দেশেই একটি প্রমাণ সময় থাকে। প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোন স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক দেশের একাধিক প্রমাণ সময় রয়েছে।

@কানাডার ৫ টি ও অামেরিকার ৪টি প্রমাণ সময় রয়েছে।

@কোন স্থানের সময়ের পার্থক্য থেকে একটি স্থানের দ্রাঘিমা বের করা যায়।
~~~~ঢাকা ও সিউলের সময়ের ব্যবধান ২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট। ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০ডিগ্রী পূর্ব হলে সিউলের দ্রাঘিমা কতো??
সিউল ঢাকার পূর্বে হওয়ায় এর দ্রাঘিমা বেশি হবে। ২*৬০+৩২=১৫২মিনিট ÷৪মিনিট = ৩৮ডিগ্রী। সিউলের দ্রাঘিমা=৯০+৩৮ =১২৮ডিগ্রী পূর্বে।

@ঢাকা ও চেন্নাইয়ের দ্রাঘিমা যথাক্রমে ৯০ ডিগ্রী পূর্ব এবং ৮০.১৫’ পূর্ব। ঢাকায় যখন মধ্যাহ্ন চেন্নাইয়ের স্থানীয় সময় তখন কতো?

দ্রাঘিমার পার্থক্য =৯০-৮০.১৫=৯.৪৫’
সুতরাং ৯ডিগ্রী দ্রাঘিমা =৯*৪=৩৬মিনিট
৪৫’ দ্রাঘিমা = ৪৫*৪=১৮০সেকেন্ড=৩ মিনিট।
সুতরাং চেন্নাইয়ের স্থানীয় সময় =১২-(৩৬+৩)মিনিট =১১টা ২১ মিনিট।

@ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।

@প্রতিপাদ স্থান দুইটি একটি নিরক্ষরেখার উত্তরে হলে অপরটি দক্ষিণে।

@কোন স্থানের দ্রাঘিমা এবং এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা যোগ করলে ১৮০ ডিগ্রী হবে। ৪০ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে ১৮০-৪০=১৪০ ডিগ্রী পশ্চিমে।

@ঢাকার প্রতিপাদ স্থান দক্ষিণ অামেরিকার অন্তর্গত চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত।

@কোনো নিদিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে প্রশান্তমহাসাগরের জলভাগের উপর দিয়ে উত্তর -দক্ষিণে প্রসারিত একটি রেখা কল্পনা করা হয় যাকে অান্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।

@পৃথিবী প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কি.মি বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

@সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।

@প্রতি বছরে ৫ঘণ্টা +৪৮মি+৪৭সে= প্রায় ৬ ঘণ্টা করে বেশি হলে, চার বছরে হয় ৬*৪=২৪ ঘণ্টা বা একদিন যেটি ফেব্রুয়ারি মাসের সাথে যোগ করে ২৯ দিন ধরা হয় যাকে অধিবর্ষ বা Leap Year বলি।

@সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান ২১জুন, ২৩সেপ্টেম্বর, ২২ডিসেম্বর ও ২১ মার্চ নির্দিষ্ট করা যায় যেখানে দিন রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
~~~~~২১জুন উত্তর মেরু সূর্যের দিকে ২৩.৫ডিগ্রী বেশি ঝুকে থাকে বলে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত অাবার দক্ষিণ গোলার্ধে তার বিপরীত।
~~~~~~২১জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন অর্থাৎ উত্তর মেরু ঝুকে পড়ার সর্বোচ্চ সীমা। এই দিন সূর্য রশ্মি কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয়। এসময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
~~~~~২৩সেপ্টেম্বর পৃথিবীর উভয় মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে বলে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান।
~~~~~২২ডিসেম্বর দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে ২৩.৫ডিগ্রী বেশি ঝুঁকে পড়ে বলে দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত অাবার উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত ঘটে।
~~~~~২২ডিসেম্বর দক্ষিণায়নের শেষ দিন।
~~~~~২১মার্চ, ২৩সেপ্টেম্বরের মতো পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।

@পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলে জানুয়ারি ১ থেকে ৩ তারিখে সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থানে থাকে একে পৃথিবীর অনুসূর বলে।
@জুলাই ১ থেকে ৪ তারিখে সূর্য পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে একে পৃথিবীর অপসূর বলে।

@জোয়ারভাটা(Flow -Ebb)(High tide-low tide) – প্রতি ৬ ঘণ্টা ১৩মিনিট পর পর হয়।

@অমাবস্যা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পার্শ্বে এবং পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অন্য পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে বলে অাকর্ষণ প্রবল হয় তখন যে জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে তেজ কটাল বা ভরাকটাল বলে।

@সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সমকোণে অবস্থান করার ফলে উভয়ের বিপরীত অাকর্ষণ করে ফলে জোয়ারের বেগ ততটা প্রবল হয় না, এ রূপ জোয়ারকে মরাকটাল বলে।

   
   

0 responses on "বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের সামারি ২"

Leave a Message

Address

151/7, level-4, Goodluck Center, (Opposite SIBL Foundation Hospital), Panthapath Signal, Green Road, Dhanmondi, Dhaka-1205.

Phone: 09639399399 / 01948858258


DMCA.com Protection Status

Certificate Code

সবশেষ ৫টি রিভিউ

eShikhon Community
top
© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved