ফেইসবুক পেইজ অ্যাডমিনদের খোঁজে গোয়েন্দা পুলিশফেইসবুক পেইজ অ্যাডমিনদের খোঁজে গোয়েন্দা পুলিশ

ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে তা ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এই চক্রের হোতাদের ধরতে কার্যক্রম শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত অভিযোগে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও গ্রুপ পরিচালনাকারী ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা। দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

যেসব ফেইসবুক পেইজ ও গ্রুপ থেকে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো শনাক্তে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে তা বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ-পেইজে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েও ফল হয়নি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসির প্রতিটি পরীক্ষার সকালে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ, মেসেঞ্জার গ্রুপ ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ছে প্রশ্ন। নানামুখী উদ্যোগেও ফল না আসায় সরকারের একজন মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব বলেছেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়।

তবে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া শেখ নাজমুল আলম বলছেন

এর ‘শেষ’ দেখে ছাড়বেন তিনি। আগামী এপ্রিলে এইচএইসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁসের হোতা পর্যন্ত পৌঁছানোর আশা প্রকাশ করে তিনি  বলেন, “কিছুতেই এই সমস্যাকে মহামারীর আকার নিতে দেওয়া যাবে না।

“প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত যে কোনো পেইজের খোঁজ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। প্রতিটি গ্রুপ ও পেইজ থেকে প্রশ্ন ফাঁসকারীকে একে একে ধরা হবে।”

গ্রেপ্তাররা সবাই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলতে পারি, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মাঝে প্রশ্নের প্যাকেট কেউ খুলে ছবি তুলে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

“এদের চক্রটা বেশ বড়। একজনের কাছ থেকে হাতবদল হয়ে আরেকজনের কাছে আসে।”

প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষকদের একাংশকে দায়ী করে আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, “কোনো শিক্ষককে হাতনাতে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বলব না যে, কাজটা শিক্ষকরাই করছেন। কেন্দ্রে শিক্ষকরা আসার আগেও অনেক কর্মচারী, আয়ারা আসেন।

“তবে যাদের গ্রেপ্তার করেছি এবং যাদের করব, তাদের থেকে তথ্য নিয়ে আসল লোক পর্যন্ত পৌঁছাবই।”

 

আরো পড়ুন:

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline