ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, প্রাচীনতম চর্যাকার শবরপা এবং আধুনিকতম চর্যাকার সরহ বা ভুসুকুপা।

কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেন

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লেখেন-ভুসুকুপা: ৮টি।

শবরপাকে চর্যাপদের বাঙালি কবি মনে করা হয়

চর্যাপদ মাত্রাবিত্ত ছন্দে রচিত

চর্যাপদ গ্রন্থে মোট কয়টি পদ পাওয়া গেছে-সাড়ে ছেচল্লিশটি (একটি পদের ছেঁড়া বা খন্ডিত অংশসহ)।

চর্যার পদগুলো সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষায় রচিত।

সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা-যে ভাষা সুনির্দিষ্ট রূপ পায় নি, যে ভাষার অর্থও একাধিক অর্থাৎ আলো-আঁধারের মত,সে ভাষাকে পন্ডিতগণ সন্ধ্যা বা সান্ধ্যভাষা বলেছেন।

চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রথম পদটি লেখা-লুইপার।

চর্যাপদের আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে, ১৯০৭সালে চর্যাপদ আবিষ্কার করা হয়।

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদনা করেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০খ্রিস্টাব্দ থেকে, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে  ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পদগুলো রচিত। সুকুমার সেন সহ বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব পন্ডিতই সুনীতিকুমারকে সমর্থন করেন।

চর্যাপদের নাম নিয়ে প্রস্তাবগুলো -কারো মতে গ্রন্থটির নাম, ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’, সুকুমার সেনের মতে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়, আধুনিক পন্ডিতদের মতে এর নাম ‘চর্যাগীতিকোষ’ আর হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে ‘চর্য্যার্চয্যবিনিশ্চয়’।

তবে ‘চর্যাপদ’ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাম।

চর্যার কবিদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন বলে মনে করা হয়-শবরপা (৬৮০ থেকে ৭৬০ খ্রিস্টাব্দ)।

চর্যাপদের সর্বাধিক পদরচয়িতা -কাহ্নপা।
চর্যাপদে যে পদগুলো পাওয়া যায় নি তার মধ্যে কাহ্নপার রচনা বলে মনে করা হয়-২৪ নং পদটি।

চর্যাপদে কাহ্নপা আর কি কি নাম পাওয়া যায়-কাহ্নু, কাহ্নি, কাহ্নিল, কৃষ্ণচর্য,কৃষ্ণবজ্রপাদ।

অনেকের মতে কুক্কুরীপা নারী ছিলেন।

কুক্কুরীপা রচিত অতিপরিচিত দুটি পংক্তি -দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই।রাতি ভইলে কামরু জাই। (পদ:২) (অর্থাৎদিনে বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় কিন্তু রাত হলেইসে কামরূপ যায়।)

লুইপা  ছিলেন-প্রবীণ বৌদ্ধসিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদেরকবি।
তিববতী ঐতিহাসিক লামা তারনাথের মতে লুইপা পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার ধারে বাস করতেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে লুইপা রাঢ়অঞ্চলের লোক।

চর্যাপদের প্রথম পদটি রচনা লুইপার।

কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল\ (পদ: ১) ( অর্থাৎ দেহগাছের মত, এর পাঁচটি ডাল। চঞ্চল মনে কালপ্রবেশ করে।)

লুইপা রচিত সংস্কৃতগ্রন্থের নাম পাওয়া যায়, – ৫টি। অভিসময় বিভঙ্গ, বজ্রস্বত্ব সাধন, বুদ্ধোদয়, ভগবদাভসার, তত্ত্ব সভাব।

শবরপা -তার জীবনকাল ৬৮০ থেকে ৭৬০খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। সেই সূত্রে শবরপা চর্যারকবিদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। মুহুম্মদ শহীদুল্লাহর মতে তিনি ‘বাংলা দেশে’র লোক।

শবরপা গুরু ছিলেন-লুইপার।

চলমান বিশ্ব, কারেন্ট আফেয়ার্স এর সকল আপডেট তথ্য পাবেন, আমাদের ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুকে পেইজে facebook.com/eshikhon

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline