অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
Take actions against the condemned
গৃহকর্মীর প্রতি এ কেমন বর্বরতা!
What a viciousness to a homemade!
==
নারীর প্রতি সহিংসতার আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দুদিন আগে।
Another dreadful incident of violence against woman took place in just two days before the “International Women’s day”.
গত রোববার মিরপুর ১৩ নম্বরে ন্যাম গার্ডেনের এক সরকারি কর্মকর্তার বাসায় ধর্ষণের পর এক গৃহকর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
A murder allegation of a homemade, caused to fall from the roof after raping in a government officer’s house at NAM Garden-Mirpur-13, has risen on Sunday.
জনিয়া (১৫) নামের ওই কিশোরী গৃহকর্মী তার মায়ের বদলি হিসেবে ওই বাসায় ১৫ দিন ধরে কাজ করছিল।
The girl, named Zani (15), has been working in that house for 15 days
as a substitute to her mother.
জনিয়ার পরিবারের অভিযোগ, গৃহকর্তার ছেলে জনিয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে।
Claim of Zania’s family is that the house holder’s son has killed her after raping.
বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি।
The startling fact is that the police has not recorded the case.
সামগ্রিকভাবেই নারীর জন্য অনিরাপদ এই সমাজে গৃহকর্মে নিয়োজিত নারীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ।
In this wholly unsafe society for woman, the position of female engaged in the household works is the worst.
দেশে গৃহকর্মে নিয়োজিত প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
About 3 millions of labours engaged in household chores are mostly women and children.
দুর্ভাগ্যজনকভাবে গৃহকর্মীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন আমাদের সমাজে যেন নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
Unluckily in our society, physical persecution and sexual harassment on them has turned out to be so common.
থাকা-খাওয়ার বেলায়ও তাঁরা অমানবিক আচরণের শিকার।
Even in residing and feeding, they are victim of ruthless treatment
খুব কম ঘটনাই আলোচনায় আসে।
Hardly any incident comes to light.
তাদের সুরক্ষায় সরকারের কোনো কার্যকর তদারকি বা নজরদারি নেই।
No effectual supervision or observation of the government is seen regarding their protection.
কখনো মামলা হলেও দারিদ্র্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বাদীপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে রফা ও মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
Despite filing cases, impoverished plaintiffs are forced to compromise with the convicts and are bound to withdraw the litigation in many cases.
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা গৃহপরিচারিকাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহকর্মকে ‘শ্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন করে।
21 December of preceding year, approving household works as “Labour”, the cabinet sanctioned a draft of “Made servants Safety and Welfare policy-2015” to guarantee complete benefits to the homemade.
নীতিমালায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনসহবিদ্যমান আইনে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
In that policy, criminal penal code, law of the prevention of women and children harassment as well as specific provisions are preserved in the existing law on the ground of the physical and mental assault.
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই আইনের কার্যকর প্রয়োগ না হলে ‘সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে না।
But the matter is that the “Safety and welfare policy” will not ensure the protection of home servants unless it is applied effectively.
মিরপুরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশের।
The Police are responsible for ensuring a proper investigation in the “Mirpur occurrence”
প্রভাব ও প্রতিপত্তির কারণে যাতে এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পার পেয়ে না যায়, সে ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
We are drawing the attention of the superior officials of the police as the people who are involved in this brutality should not get through unaffected for their power and position.
0 responses on "প্রথম আলো সম্পাদকীয়(১০-০৩-২০১৬)"