সদ্যসমাপ্ত বিশেষ অভিযানের মধ্যেও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর্যুপরি হানা ও হুমকির ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
We cannot help but be concerned at the attacks and threats by the militants which continued unabated amidst the government’s recent special drive.
বিশেষ করে ঢাকার শত বছরের পুরোনো রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান পুরোহিতকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়াকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
The threat issued to the head priest of the Ramkrishna Mission cannot be taken lightly
মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে কুষ্টিয়ায় একটি সেবাশ্রমের সেবায়েতকেও।
A worker at an Ashram in Kushtia was also threatened over cell phone
এভাবে মন্দির বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে হামলা কিংবা পুরোহিত-সেবায়েতদের হত্যার হুমকি প্রমাণ করে যে এই সন্ত্রাসী চক্র কতটা বেপরোয়া।
The attacks on temples and houses of worship of other religions, as well as the threats to the priests and religious workers, just goes to show how brazen this criminal group has become.
এদের রুখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির জাগরণ ও সম্মিলিত প্রয়াস।
Political and social forces, as well as united efforts, are required to thwart them.
এটিকে নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা এবং বিরোধী দলের উসকানি হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
This cannot be taken lightly as a matter of law and order or provocation on the part of the opposition.
বিশেষ অভিযানকে সরকারের তরফে সফল দাবি করা হলেও এতে কতজন জঙ্গি-সন্ত্রাসী, আর কতজন নিরীহ মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট নয়।
The government may claim their anti-militancy drive a success, but it remains unclear as to how many actual militants were nabbed and how many of them were innocent.
পুলিশ বলেছে সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ১৯৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
The police claim to have arrested 194 suspected militants during the week-long drive.
তাহলে বিপুলসংখ্যক মানুষকে পাকড়াও করার কী কারণ থাকতে পারে?
So what was the point in making such a massive number of arrests?
বিশেষ অভিযানের উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে জঙ্গি চক্রের তৎপরতা বন্ধ এবং তাদের ভয় পাইয়ে দেওয়া, তবে তা খুব সফল হয়েছে বলা যাবে না।
If the aim of the special operation was to bring an end to militant activity and to scare them, then it doesn’t seem to have been much of a success.
অন্যদিকে মাদারীপুরে কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর ওপর হামলাকারী চক্রের একজনকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরিয়ে দিলেও পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার এটি অগ্রহণযোগ্য।
Then again, it was members of the public who caught one of the persons who had attacked the Madaripur college teacher Ripon Chakrabarty. Yet this young man was killed in a “gun fight” while in custody. That is unacceptable.
টিআইবির প্রধান সুলতানা কামাল বলেছেন, সরকার আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে।
The Transparency International Bangladesh head Sultana Kamal has said that the government has taken the law into its own hands.
এটি কোনোভাবেই আইনের শাসন কিংবা জঙ্গি দমনের পথ নয়।
This is not the rule of law nor is it any way to bring militancy under control.
আইনের পথেই জঙ্গিদের দমন করতে হবে।
The militants must be quelled by the law
রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনাটি দেশের ভেতরে তো বটেই, বাইরেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
The Ramkrishna Mission incident has created a stir both within and outside of the country.
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
The Indian foreign minister expressed concern over the matter and asked the Bangladesh government to ensure security.
এর আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রও অনুরূপ আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ তার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারলে এ রকম আহ্বান আসতেই থাকবে; যেটি কোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের জন্য কাম্য হতে পারে না।
Previously, the European Union and the US made similar calls. If the government fails to provide due protection to its people and property, such calls will continue. This is hardly befitting a self-respecting nation.
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যত দ্রুত এটি অনুধাবন করবেন, ততই মঙ্গল।
The sooner the government leaders realize this, the better.
0 responses on "প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত পার্ট - 30"