প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত এই সময়ে অনেকেই প্রকৃতির ওপর ভরসা করতে পারে না। তাই হয়তো নিজের ত্বকের দাগ ও ব্রন থেকে মুক্তি পেতে দ্বারস্থ হন বিভিন্ন চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে। কখনো পার্লারে মেকআপ করে কখনো বা লেজার ট্রিটমেন্ট করে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকের দাগ চিকিৎসায় রোগীরা কাঙ্খিত ফল পান না।
ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায়। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে এক রাতের মধ্যে দাগ থেকে মুক্তি না পেলেও ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যায় পুরোপুরি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের দাগ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাঁচটি প্রাকৃতিক উপায়।
লেবুর রস:
লেবুর রসে আছে আলফা হাইড্রোক্সিস এসিড যেটি ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সহায়তা করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। ফলে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যায়। এছাড়াও লেবু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ যেটি দাগ হালকা করে দেয়।
- প্রথমে দাগ ও তাঁর চারপাশের ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
- ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
- তুলায় এক চা চামচ লেবুর রস নিন।
- ত্বকের যে স্থানে দাগ আছে সেখানে তুলা দিয়ে চেপে লেবুর রস লাগিয়ে নিন।
- ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
মধু:
দাগ দূর করতে মধু অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়।
- দুই টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
- ৩ মিনিট ম্যাসাজ কর
- একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের ওপর রাখুন।
- টাওয়েল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মুখ মুছে ধুয়ে ফেলুন।
অলিভ ওয়েল:
অলিভ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও কে আছে। এছাড়াও অলিভ ওয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দাগকে হালকা করে দেয়।
- এক টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল নিন।
- প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ কর
- ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
শসা:
রূপচর্চায় শসা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। শসা বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য বলে ব্যবহার করাও বেশ সহজ।
- শসা ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।
- শসা ছিলে এর বীজ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
- শসার মিশ্রণটি দাগে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন।
- ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
- ভালো ফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার কর।
আরও পড়ুনঃ
কোন প্রসাধনী ত্বকের দাগ-ময়লা তুলে দেয়?
মানুষের ত্বকের রঙ নির্ভর করে যে উপাদানটির উপর-
ফুলকা ও ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় নিম্নের কোনটি ?
0 responses on "প্রকৃতি যখন ত্বকের চিকিৎসক"