নারীর জরায়ুর সমস্যা ফাইব্রোয়েড জেনে নিন প্রতিকার

মহিলাদের জরায়ুর ভেতর বা বাহিরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ফাইব্রোয়েড বলে। একে ইউটেরাইন লিওমায়োমাসও বলা হয়। মাংসল এই টিউমার ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত।এই টিউমার অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে যেটি পেটে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। ফাইব্রোয়েড হওয়ার সঠিক কারণ অজানা রয়ে গেছে। জিনগত,রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা,হরমোন এবং অন্যান্য বৃদ্ধি উপাদান ফাইব্রোয়েড সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণত ৩০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের ফাইব্রোয়েড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফাইব্রোয়েড আছে এমন অনেক মহিলারই তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না। আবার অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হয়, পিরিয়ডের সময় দীর্ঘ হয়, কোমরে চাপ ও ব্যথা অনুভূত হয়, ব্লাডার ও মলাশয়ের সমস্যা হয় এবং পিঠে ব্যথা হয়। জরায়ুর ফাইব্রোয়েড তেমন বিপদজনক নয়। কিন্তু ফাইব্রোয়েড অপরিমেয় অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি কারো ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ তীব্র আকার ধারণ করে সেক্ষেত্রে যথোপযুক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফাইব্রোয়েড নিরাময়ের কিছু প্রণালী আমরা জেনে নেই আসুন।
১। ক্যাস্টর ওয়েল
পেটে ক্যাস্টর ওয়েল এর প্যাক ব্যাবহার করলে লসিকা নালী ও সংবহনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং লিম্ফসাইট বৃদ্ধি পেয়ে শরীর থেকে ফাইব্রোয়েড সৃষ্টিকারী টক্সিন বের করে দেয়। ক্যাস্টর ওয়েল এ প্রদাহরোধী উপাদান রিসিনোলেইক এসিড আছে।এই পদ্ধতিটি ফাইব্রোয়েডকে সংকুচিত করে ব্যাথা কমাতে পারে।
:: এক টুকরো উলের পশমি কাপড় ক্যাস্টর ওয়েল এ চুবিয়ে নিন
:: এটি আপনার পেটের উপরে রেখে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিন
:: এর উপরে হট ওয়াটার ব্যাগ রাখুন
:: এভাবে ১ ঘন্টা রাখুন
:: সপ্তাহে ৩-৪বার এটা করতে পারেন যতদিন না ব্যাথা ভালো হয়।
সতর্কতা- পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বা কনসিভ এর জন্য চেষ্টা করলে এই পদ্ধতি ব্যাবহার করবেন না।
২। গ্রিনটি
গ্রিনটি ফাইব্রোয়েড এর লক্ষণের তীব্রতাকে কমাতে পারে।একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, যেসব মহিলা গ্রিনটি পান করেন তাদের ফাইব্রোয়েড এর আকার ৩২.৬%অপসৃত হয়। গ্রিনটি নতুন ফাইব্রোয়েড সৃষ্টিতে বাঁধা দেয়।
৩। দুধ
২০০৯ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র থেকে জানা যায়-বোস্টন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন বিভাগের একদল গবেষক দেখেন যে, যে সকল মহিলারা দিনে একবার দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাদের চেয়ে যে সকল মহিলারা দিনে ৪বার বা তার বেশিবার দুগ্ধ জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাদের জরায়ুর ফাইব্রোয়েড ৩০শতাংশ কমে। তাই দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খান। গরম দুধের সাথে ১-২ টেবিলচামুচ গুড় মিশিয়ে দিনে ১-২বার পান কর
টিপস:
:: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।ওজন কমলে ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েড প্রাকৃতিক ভাবে অপসৃত বা সংকুচিত হয়।
:: ১ গ্লাস পানিতে ২টেবিলচামুচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান কর এটা ওজন কমানোর সাথে সাথে শরীরের টক্সিন কমাতে সাহায্য করে।
:: স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করস্ট্রেস কমলে প্রাকৃতিক ভাবে ফাইব্রোয়েড অপসৃত বা সংকুচিত হয়।
:: পর্যাপ্ত সময় ঘুমান প্রয়োজন, কারণ না পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্ট্রেস বৃদ্ধি পায়।
:: শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ইস্ট্রোজেন মাত্রা কমলে প্রাকৃতিক ভাবে ফাইব্রোয়েড কমে।তাই জন্ম বিরোধীকরন পিল,হরমোন রিপ্লেসেমেন্ট ড্রাগ ও পেস্টিসাইড এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ।
:: শিম জাতীয় খাদ্য ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে ফাইব্রোয়েডের বৃদ্ধি কমায়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শিম জাতীয় খাবার রাখুন।
:: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর ফল ও সবজি রাখুন।বিশেষ করে কাঁচা ফল ও সবজিতে যে এনজাইম থাকে তা ফাইব্রিন অপসারণ করে।
:: মাংস,চিনি,ফাস্টফুড ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline

Syeda Nusrat
Syeda Nusrat

Course Counsellor

I am online

I am offline