
মেডিকেলে ভর্তির জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছ, তাদের জন্য ১০টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো-১. সুস্থ থাকাভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো সুস্থ থাকা। পড়তে পড়তে নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দেওয়াটা খুবই বোকামি। এখন অনেকেরই চিকুনগুনিয়া হচ্ছে, তাই মশারি টানিয়ে ঘুমাও। সতর্ক থাকো। এসব ব্যাপারে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। অসুস্থ হয়ে দুদিন বিছানায় পড়ে থাকলে সেটাও কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি।
২. স্বপ্ন দেখোতুমি মেডিকেল কলেজে পড়ছ, তুমি ডাক্তার হয়েছ-মনে মনে এই দৃশ্য বারবার দেখো। স্বপ্ন না থাকলে স্বপ্ন পূরণের জেদ থাকবে না।
৩. সিলেবাস ভাগ করে নাওতোমার সুবিধামতো সিলেবাসটাকে ভাগ করে নাও। কবে কী পড়বে, কতক্ষণ পড়বে, সেটা নিজের মতো করে সাজিয়ে নাও।
৪. সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজীকে অবহেলা নয়ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান আর ইংরেজীতে নম্বর কম বলে অনেকে অবহেলা করে। সেটা করা যাবে না একদমই। সাধারণ জ্ঞান আর ইংরেজীর জন্য প্রতিদিনই একটু একটু করে পড়তে হবে। আমি ভালো ইংরেজী পারি-এই বিশ্বাস থেকে ইংরেজীর ওপর জোর না দেওয়া ঠিক হবে না। ইংরেজীর জন্য বিসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে পারো। আর প্রচুর চর্চা করো।
৫. কী পড়ব, কোথা থেকে পড়বপ্রতিটি বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। আগের বছরের প্রশ্নগুলোতে যেটি এসেছে, সেগুলো তো বারবার পড়বেই, অন্য বিষয়গুলোও পড়তে হবে। যেগুলো তুমি ভুলে যাও, সেগুলো দাগিয়ে পড়া উচিত। বৈশিষ্ট্য, শর্ত, উদাহরণ, পার্থক্য, ব্যতিক্রমগুলো বেশি করে পড়তে হবে।
৬. তোমার দুর্বলতা তুমিই জানোকোন বিষয়ে তুমি দুর্বল, সেটা তুমিই সবচেয়ে ভালো জানো। একেকজনের পড়ার ধরন একেক রকম। তোমার ধরনটা তুমিই খুঁজে বের করো। সেভাবেই প্রস্তুতি নাও।
৭. পরীক্ষার আগে পরীক্ষা দাওপ্রচুর প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা দিতে হবে। আগের বছরের প্রশ্নগুলো বারবার সমাধান করো। নিজেই নিজের পরীক্ষা নাও। প্রতিটি পরীক্ষাই মূল পরীক্ষার মতো গুরুত্ব নিয়ে দাও।
৮. পরীক্ষার কৌশলগাণিতিক বিষয় বা যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় লাগবে, সেগুলো পরে দাও। প্রথমে একবার চোখ বুলিয়ে যদি মনে হয়, এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে তোমার ভাবতে হবে, তাহলে পরের প্রশ্নে চলে যাও। একটার উত্তর দিতে গিয়ে যদি তিন-চার মিনিট সময় নিয়ে ফেলো, দেখা যাবে শেষের দিকে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব সবগুলো প্রশ্ন পড়ে ফেলতে হবে। প্রথমবার পড়ার সময় কঠিন মনে হলেও অনেক সময় দ্বিতীয়বারপ্রশ্ন সহজ মনে হয়।
৯. স্নায়ুচাপ নেওয়া যাবে নাভর্তি পরীক্ষাকেও আর দশটা পরীক্ষার মতোই নিতে হবে। স্নায়ুচাপ নেওয়া যাবে না। প্রবেশপত্র, সময়মতো পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারা, এসব নিয়ে যেন তোমাকে ভাবতে না হয়। সব গুছিয়ে রাখো।
১০. ফেসবুক থেকে দূরে থাকোপরীক্ষার আগের কয়েকটা দিন ফেসবুক বা অনলাইনের অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকাই ভালো। কয়েক দিন বন্ধ রেখে দেখো, উপকারটা নিজেই টের পাবে।
আরো পড়ুন: