
সবজি হিসাবে ঝাড় সীম বেশ ভালো, প্রোটিনের একটি ভালো উৎস এবং কচি সীমে উল্লেখ-যোগ্য পরিমান ভিটামিন সি রয়েছে । গ্রামাঞ্চলে চাষের প্রচলন কম । গাছ সাধারনত : ৩০-৪০ সেন্টি মিটারের বেশী লম্বা হয় না । দোঁয়াশ ও এটেল মাটি ঝারসীম চাষের উপযোগী । বেশি অম্ল মাটিতে ভালো হয় না । অনেক জাতের মধ্যে কন্টেন্ডার, ক্যানেডিয়ান ওয়ান্ডার, হারভেষ্টার, পুশা পর্বতী উল্লেখযোগ্য । এ ছাড়াও অনেক লতানো জাত আছে । এদেশে রবি মৌসুমে এ সীমের চাষ হয় ।
বীজ বপন : জমি ভালোভাবে তৈরী করে ভাদ্র-কার্তিক মাসে ৬০ সে:মি: দূরত্বে সারি করে প্রতি সারিতে ২০ সে:মি: দুরে দুরে দুটি করে বীজ বুনতে হয় । এতে হেক্টর প্রতি ২০-৩০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয় । প্রতি ১০ গ্রামে ৩০ টি বীজ ধরে ।
সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা : প্রতি শতকে৩০ কেজি গোবর,২০০ গ্রামইউরিয়া, ৬০০ গ্রাম টিএসপি এবং৬০০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয় ।ক্ষেত আগাছামুক্ত ও আলগা রাখা, পানি নিকাম ও শুকনা মৌসুমে কিছু সেচ দেয়া প্রয়োজন ।
ফসল সংগ্রহ : বীজ বোনার দু মাস পর থেকেই সীম সংগ্রহ করা যায় । সবজী হিসাবে সবুজ কচি সীম এবং বীচি খাওয়ার জন্য পুষ্ট সীম সংগ্রহ করতে হয় । পাহাড়ী এলাকায় এর বীজকে খাশিয়া বলা হয় । প্রতি শতকে ২০-২৫ কেজি সীম পাওয়া যায় ।