
ওলকপি বেশ পুষ্টিকর । এদেশের আবহাওয়া রবি মৌসুমে চাষের জন্য খুব উপযোগী । অন্য কপির তুলনায় কম সময়ে বেশ ফলন পাওয়া যায় এবং সাধারন অবস্থায় বেশী সময় সংরক্ষন করা যায় । বেশ কয়েকটি জাতের মধ্যে হোয়াইট ভিয়েনা ও পারগেল ভিয়েনা এদেশে বেশী চাষ হয় । এছাড়াও অনুপম, বাম্পার হারভেষ্ট এফ১, আর্লি বল এফ১, ক্রান্তি এফ১, নিমাজিন এফ-১ ইত্যাদি জাত চাষ করা হয়ে থাকে। ওলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমির উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভাল।
চারা তৈরী ও রোপন : প্রতি বীজতলায় (৩ মি:/১ মি:) ১২-১৫ গ্রাম বীজ ভাদ্র-কার্তিক মাস পর্যন্ত রোপন করা যায় । ১০ গ্রামে প্রায় ২৭৫০ টি বীজ ধরে । হেক্টরে ৭-৮ শত গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয় । সারি থেকে সারি ৩০ সে: মি: এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২০-২২ সে:মি: । এতে হেক্টর প্রতি প্রায় দেড় লক্ষ (৪০ বর্গ মিটারে বা শতকে ৬০০) টি চারা লাগে ।
সার: প্রতি শতক জমিতে ৮০ কেজি গোবর, ১.৫ কেজি খৈল, ৮০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭০০ গ্রাম এমওপি, ৭০০ গ্রাম জিপসাম ও ৪০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োজন । জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার, পুরো টিএসপি, অর্ধেক এমওপি এবং বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে মাদায় দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমওপি ও বোরন সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৮-১০ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৩০ দিন পর এবং শেষ কিস্তির সার দিতে হবে ৫০ দিন পর।
ফলন: জাত ভেদে প্রতি শতকে ১০০-১২০ কেজি এবং হেক্টরে ২৫-৩০ টন ফলন পাওয়া যায়।