
আদা একটি মসলা জাতীয় ফসল । আদা মসলা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করা যায় । আদায় রয়েছে বহু মুল্যবান ঔষধীগুন । আদায় যেসকল উপাদান রয়েছে ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক । নিচে আদার যত গুনাগুন দেয়া হলো:
# ঠাণ্ডা লাগা ও ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে। এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ বা নিরাময়ের ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার চলে আসছে।
# আদা লিভারের শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, কৃমি নিঃসরণ করে, নাক, কান, গলা জনিত রোগের উপশম করে।
# আদার রস এর সাথে লবন মিশিয়ে পান করলে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, মল পরিস্কার করে, আমাশা সারায়, খিদে বাড়ায়, বায়ু ও কফ দূর করে।
# আদা এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রনে লবন মিশিয়ে খেলে মুখে রুচি বাড়ে এবং পেটের গ্যাস জনিত ফোলা কমে যায়।
# অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা।
# খাবার খাওয়ার পর পুষ্টি-উপাদানসমূহ যদি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহকে সহায়তা করে।
# আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।
# আদা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
# ব্যথা ও শরীরে যে কোন ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে আদা। প্রাকৃতিকভাবেই এতে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান।
# ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী। সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাধারণ সমস্যা দূর করে আদা। গলা ও স্বরতন্ত্রী পরিস্কার রাখে।
# প্রতিদিন নিয়মিত সামান্য আদা খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন রোগে অক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে আসে।