
**জিআরই(GRE) কি?
জিআরই(GRE) হলো ”Graduate Record Examination” যা একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড পরীক্ষা। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা, যা মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। গবেষণাধর্মী কাজের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর বিশ্লেষণ ক্ষমতা প্রখর হতে হয়। আর সেটি যাচাইয়ের জন্য অনলাইনে ৩ ধাপে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
**জিআরই(GRE) কেন দেওয়া হয়?
মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য দেয়া হয় জিআরই(GRE)এক্সাম দিতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কলারাশিপ বা ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে জিআরই স্কোর। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পড়ার জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যেমন IELTS,TOEFL ইত্যাদির স্কোর ভালো হলে এবং একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হলেই সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু আমেরিকা এবং কানাডাসহ বেশকিছু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে জিআরই’র প্রয়োজন হয়। আমেরিকার প্রায় ৯০% বিশ্ববিদ্যালয়েই পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ (মাস্টার্স ও পিএইচডি ) এর জন্য GRE একটি রিকোয়ারমেন্ট।
**জিআরই(GRE) পরীক্ষার উদ্দেশ্য:
বেশিরভাগ আমেরিকান, কানাডিয়ান, এবং কিছু ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর বা অন্যান্য উচ্চতর প্রোগ্রামে ভর্তি জন্য আন্তর্জাতিক স্টুডেন্টদের কে শুধুমাত্র সিজিপিএ দিয়ে বিচার করে না। কারন, ধরুন বাংলাদেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩.৫ তোলা কষ্টসাধ্য অথচ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখবেন ৩.৮ সহজেই পাওয়া যায়। গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ অর্জন করতে কোথাও ১০০ তে ৮০ নম্বর পেলেই হয়ে যায়, আবার কোথাও ৯৭ নম্বর পেতে হয়। তাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অথবা এক দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ ভিত্তিক তুলনা করে মেধা নির্ণয় না করে, একটি আন্তর্জাতিক মানের মূল্যায়ন পরীক্ষা (GRE) জিআরই স্কোর দেখে তাদের মেধার তুলনামূলক মূল্যায়ন করা হয়।
**জিআরই(GRE) পরীক্ষার পদ্ধতি:
জিআরই (GRE)পরীক্ষা ২ ভাবে দেওয়া যায়। সাবজেক্ট টেস্ট ও জেনারেল টেস্ট। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা মূলত জেনারেল টেস্টই দিয়ে থাকেন। জেনারেল টেস্ট এটি ৩ ধাপে গ্রহণ করা হয়।
যেমনঃ
১.অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং
২.ভার্বাল রিজনিং
৩.কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং।
GRE জেনারেল টেস্টের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ ভাষাগত দক্ষতা, গণিত জ্ঞান, এনালিটিক্যাল দক্ষতা পরিমাপ করে। অন্যদিকে GRE সাবজেক্ট টেস্ট তার বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান যাচাই করে। যেমন – জীববিদ্যা, রসায়ন ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়-ভিত্তিক GRE দেওয়া লাগতে পারে।