ক্যারিয়ার প্ল্যানিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

                                 ক্যারিয়ার প্ল্যানিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা  

আসলে যেকোনো পথে হাঁটার আগে পথটা সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে মাঝপথে যেকোনো বিপদে পড়ার বা পিছলে পড়ার চান্স থাকে । এজন্যই হয়তোবা বলা হয়েছে look before you leap. আমরা কমবেশি সবাই সমান বুদ্ধিমত্তার অধিকারী, কেউ নিজের মেধাকে কাজে লাগায়,কেউ লাগায়না, কারো মেধাকে কাজে লাগানোর ইচ্ছেই নেই আবার কেউবা উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে নিজের মেধাকে বিকাশ করতে পারছেনা । চাকুরী ক্ষেত্রে ভালো করার পূর্বশর্ত হচ্ছে self confidence and self esteem. আপনি যেখানেই graduation করেন না কেন আপনার যদি নিজের খুব ভালো করার দৃঢ় ইচ্ছা থাকে তবে শেষ পর্যন্ত ভালো আপনি করবেনই ।অনেকের মাঝে ধৈর্যের বড় অভাব দেখা যায় যেটা ঠিক না, একবার না পারলে আবার চেষ্টা কর তাও না পারলে আবার fight কর,খুব সহজে হতাশ হউয়া মানুষের পক্ষে খুব বড় স্থানে পৌঁছানো একটু কঠিন ই বৈকি ,তবে কোন একটা পরীক্ষাতে সফল না হলে অবশ্যই নিজেকে নিয়ে একটু স্টাডি করবেন,মানে ভেবে দেখুন কোথায় আপনার lack ছিল, কেন ব্যর্থ হলেন এসব ভাবুন, তাহলেই না নিজেকে এরপর upgrade করতে পারবেন, নিজের capacity and quality নিয়ে জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরী, কেউ quality নিয়ে জন্মলাভ করেনা,চেষ্টার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয় ।একইভাবে বারবার পরীক্ষা দিয়ে গেলে এবং সফল না হলে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনার কোথাও অনেক lack আছে এবং সেটা যদি correct না করে আপনি যদি সেই পরীক্ষা ১০০ বারও দিন তবুও সবসময়ই একই রেজাল্ট হবে । যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করতে গেলে যেটা আপনার আগে করনীয়—-

১– আগে সেখানকার বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অবশ্যই ঘাঁটাঘাঁটি করবেন যেটা অনেকেই করেন না,অন্যকে জিজ্ঞেস করার তো কোন দরকার নেই,বিগত বছরের প্রশ্ন আপনার জন্য বেস্ট গাইডলাইন , শুধু স্টাডি করলেই যে সফল হউয়া যায় বিষয়টা কিন্তু এমন না, পরীক্ষক কিন্তু দেখেন না কে কয় ঘণ্টা স্টাডি করেছে, পরীক্ষায় কে কি উত্তর করেছে এটাই মুখ্য বিষয়, আপনার হাত এ যদি ভারি অস্ত্র থাকে আর আপনি যদি তা চালাতে না পারেন এবং যুদ্ধকৌশল যদি ভালো না হয়, অপরদিকে আরেকজনের কাছে যদি হাল্কা অস্ত্র থাকে এবং যদি তার যুদ্ধকৌশল ভালো হয় তবে আপনারাই বলুন যুদ্ধে কার জেতার সম্ভাবনা বেশি, পরীক্ষাও এক ধরণের যুদ্ধ, এখানে ভালো করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কৌশলী হতে হবে,নিজের পরিশ্রম বিনিয়োগ করে যেন ফল ঘরে আনতে পারেন সেটার চেষ্টা করতে হবে ।
২– কোন গুঁজবে কান দিবেন না, বিভিন্ন পরীক্ষার আগে অনেক গুঁজব শোনা যায় যেটি আপনার মনোবল ও confidence কে আঘাত হানতে পারে, সেসব থেকে দূরে থাকুন, আর যেকোনো বিষয়ে কোন confusion থাকলে যারা আপনার পরিচিতদের মধ্যে সফল হয়েছেন তাদের সাহায্য নিন
৩– একবার কোন পরীক্ষাতে ব্যর্থ হলে হতাশ হবেন না, কারন একটা পরীক্ষাতে কেউ ব্যর্থ হলে যে তার পরেরবারও সে সেখানে ব্যর্থ হবে এমনটা তো কোথাও লেখা নেই তাইনা ??
৪– নিজের বেস্ট টা বের করে আনার চেষ্টা কর, আপনি যে বিষয়ে দুর্বল সেটাতে সময় বেশি দিন, প্রয়োজনে সিনিয়র বা জুনিয়রদের সহায়তা নিন, জ্ঞান আহরণে লজ্জা রাখতে নেই, জীবনে ego শব্দটাকে delete বা ছোট করতে পারলে অনেক বড় স্থানে পৌছনোটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়
৫– আপনি ২ মাস টার্গেট করে নিন যে এই ২ মাস আগে নিজেকে সকল পরীক্ষার জন্য তৈরি করে ফেলবেন,অনেক সময় শুনবেন নানান জন বলছে অমুকে চাকুরীর জন্য ৩-৪ বছর যাবত স্টাডি করছে , তার স্টাডি করার সে করুক , এভাবে ৩-৪ বছর ধরে চাকুরীর জন্য আলাদা আরেকটা অনার্স করার কি দরকার ( চাকুরীর জন্য ৩-৪ বছর স্টাডি করাটাকে বোঝালাম ), ঠিকমত ৩ মাস যদি কেউ সিরিয়াসলি সিস্টেমেটিকভাবে স্টাডি করে সেটা যথেষ্ট ,ওই যে বলেছি আপনাকে কৌশলী হতে হবে, কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে,input এর কাছাকাছি output রাখার চেষ্টা করতে হবে
৬– আপনি যদি সত্যিই চাকুরীতে সফল হতে চান তাহলে একটু কষ্ট করে সকল চাকুরীতে আবেদন করাটা ভালো, কারন যেকোনো চাকুরী হলে তা ছোট বা বড় হোক আপনার আস্থা বাড়বে নিজের ওপর,এছাড়া অন্য কোন ভাইভা বোর্ডেও সেটা আপনার জন্য একটা positive factor হিসেবে কাজে দিবে,এমন মনোভাব রাখবেন না যে এই চাকুরী না হলে করবোনা ,সেই চাকুরী ভালনা ,এসব নয়, আগে আপনার দরকার যেকোনো একটা চাকুরী ,পরে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করবেন আরও ভালো করার
৭– বি সি এস পরীক্ষার জন্য ভালোমতো প্রস্তুতি নিলে মোটামুটি অনেক পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায়, শুধুমাত্র ব্যাংক এর পরীক্ষার জন্য গনিতের দিকে একটু আলাদা নজর দেয়ার দরকার পড়ে । তাই খুব ভালোমতো বি সি এস পরীক্ষার প্রস্তুতিটা নেয়ার চেষ্টা কর,অন্যের সাথে তুলনা করা বাদ দিয়ে আপনি নিজের maximum টা বের করে আনার চেষ্টা কর
৮– একটা খাতায় লিখে রাখতে পারেন common সরকারি চাকুরীর তালিকা যেগুলোতে আপনি পরীক্ষা দিবেন যেমন– বি সি এস,বাংলাদেশ ব্যাংক,দুদক,সাব রেজিস্টার,বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক,সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ,নন ক্যাডার বিভিন্ন চাকুরী ইত্যাদি, তারপর সেগুলোর বিগত বছরের প্রশ্ন সংগ্রহ শুরু করে দিন, এরপর নিজের মত করে দিন প্ল্যান করে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিন, দেখবেন আপনার হয়তোবা অনেক সময় বাঁচবে,কাউকে কিছু জিজ্ঞেস ও করতে হবেনা, পারলে শুরুতে ৩ ব্যাংকে ৩ ভাবে আবেদন কর, একটাতে সিনিয়র অফিসার পদে আরেকটিতে অফিসার পদে,আরেকটিতে পারলে ক্যাশিয়ার পদে,এটা এজন্য বললাম যে না পাওয়ার চেয়ে পাওয়াটা তো ভালো তাইনা?

৯– অনেকদিন ধরে স্টাডি করলেই সফল হউয়া যাবে এমন নয়,কিভাবে কি স্টাডি করা হচ্ছে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, পণ্ডশ্রম করাটা avoid করতে পারলে সফল হউয়া অনেকটা সহজ হয়
১০– আরেকটি বিশেষ কথা সবার নিজেদের প্রস্তুতির লেভেল এবং নিজের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা রাখাটা খুব জরুরী,ব্যাপারটা যেন এমন না হয় যে প্রস্তুতিও নেয়া হলনা ঠিকমত আবার expectation খুব high রাখা হল,কারও যদি যেকোনো ধরণের দুর্বলতা থাকে অবশ্যই সেটা overcome করার maximum চেষ্টা করা উচিত

নিজের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যান , নিজের দুর্বলতাগুলোকে শক্তিশালী করে ফেলুন,সফল আপনি হবেনই ।। good luck guys,may god always bless you all.

বি দ্র– লেখায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী, আর লেখাটি সবার জন্য লিখেছি,অনেকের শুধুমাত্র যেকোনো ১ টি চাকুরীর প্রতি fascination থাকতেই পারে সেটা ভিন্ন বিষয় ।। tc.

আরো পড়ুন:

বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান আলো

বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান উদ্ভিদবিদ্যা

বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রকৃতি ও প্রত্যয়

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline