আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কাজের কোনো বিকল্প নেই। কাজের মাধ্যমে নিজের জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজানো যায়ই, সাথে আছে উপার্জনের বিষয়টিও। অর্থাৎ কোনো না কোনো কাজ করেই আমাদের জীবিকার পথ বেছে নিতে হয়। কেননা যে লোকটি কোনো কাজ করে না, অলস সময় কাটায় তার জীবনটাও থমকে থাকে। এজন্য আমাদের জীবন-সংসারকে গোছানো রাখতে, উপার্জনের একটি উৎসের জন্য জীবিকা হিসেবে কোনো না কোনো পথ বেছে নিতেই হয়। সেই লক্ষ্যে একটি দিকেই মূলত আমরা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলে থাকি।
ধরুন মনস্থির করলাম যে আমি ডাক্তার হবো কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবো। তখন ঠিক পথে জীবন পরিচালিত করে ক্যারিয়ার হিসেবে আমরা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নিতে পারি। এই রকম হাজারো পেশা আমাদের সামনে আছে।
পেশাগত জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে নানা ধরণের পথ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে কোন পেশায় ক্যারিয়ার গড়ব। অতঃপর শুরু সেই সাধনায় নেমে পড়া। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে নেওয়া যেতে পারে।
ক্যারিয়ার গঠনে পরিকল্পনা করাটা অনেক বড় একটা বিষয়। তাহলে ক্যারিয়ারের সাফল্য অর্জন সহজ হয়ে আসে। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় সবসময় রাখতে হবে। পরিকল্পনার বাইরে কিছু গুণাবলি থাকা উচিত। তাহলে ক্যারিয়ার গঠনে সফলতা হাতছানি দিবে। এর মধ্যে-
:: সাধারণ জ্ঞানের উপর অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে।
:: নিজের সাফল্যের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। নিজের সম্পর্কে জানতে হবে।
:: উপস্থিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
:: বিভিন্ন কাজে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
:: নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি
:: ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার মানসিকতা।
:: নতুন কিছু করার ব্যাপারে সবসময় সচেষ্ট থাকা অর্থাৎ সৃজনশীল হওয়া
:: সহযোগিতার মনোভাব, অন্যের ব্যাপারে সহমর্মিতা
:: সৌজন্যবোধ
:: বিশ্বাস অর্জন
:: ক্যারিয়ার গঠনে সফল হতে উপরোক্ত গুণাবলি অর্জন করা জরুরি।
আরও কিছু বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে:
:: ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
:: ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
:: সময়ানুবর্তী হওয়া
:: প্রস্তত থাকা
:: নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা
:: নিয়ন্ত্রণে রাখা
:: সঠিকভাবে কাজ করা
:: পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা
এছাড়া ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অর্জনে আপনাকে অবশ্যই ভালো ইংরেজী জানতে হবে। উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে ইংরেজীর দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল, সাইফুর’স, এফএম মেথোড এ কোর্স করে নিতে পারেন।
কম্পিউটারের চালনায় পারদর্শী হতে হবে। এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, এডবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটরের কাজগুলো আয়ত্বে করে নিতে পারেন। এসব তেমন কঠিন কোনো বিষয় না।
যে বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন, সেই বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যাক। এজন্য পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। এই বিষয়ে বই সংগ্রহ করে পড়াশোনা চালিয়ে যান। আর এখন তো ইন্টারনেট থাকায় সব হাতের মুঠোয়। সহজেই সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া সময়ের ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে, যদি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করা হয়। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে পরেরদিন করণীয় কাজগুলি একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করে এবং তারপাশে কোন সময়ে তা করা হবে তা লিখে রাখলে ভালো। হাতের অতিরিক্ত সময় অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline

Syeda Nusrat
Syeda Nusrat

Course Counsellor

I am online

I am offline