
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মেয়াদে প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। পরবর্তী উপাচার্য এলে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
আজ রোববার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মো. আলী আশরাফ। সভায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অনুপস্থিত ছিলেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত ওই সভায় কমিটির আটজন সদস্যের মধ্যে ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপাচার্য আগামী ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেন। তখন সভায় অনুপস্থিত বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কমিটির প্রধান মো. আবু তাহেরকে সভা থেকেই ফোন করেন রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার। তিনি উপাচার্যের ওই প্রস্তাব আবু তাহেরকে অবহিত করেন। আবু তাহের রেজিস্ট্রারকে বলেন, নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার আগাম তারিখ নির্ধারণ করা ঠিক হবে না। নির্ধারিত সময়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বারবার তারিখ পরিবর্তন করা ঠিক হবে না। এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন কমিটির বেশির ভাগ সদস্য।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক সভায় পূর্বঘোষিত তারিখ স্থগিত করা হয়।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘পরবর্তী উপাচার্য এলে ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমান উপাচার্যের আমলে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্যের বাড়তি ভাতা নেওয়া, শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচার এবং প্রক্টরের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়ে গত ১৫ অক্টোবর উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৬ অক্টোবর থেকে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ প্রশাসনিক ভবনে তাঁর দপ্তরে যেতে পারছেন না। শিক্ষক সমিতি তাঁর দপ্তরে তালা দিয়ে রেখেছে। এরপর থেকে ২৮ দিন ধরে উপাচার্য বাংলোতে বসেই দাপ্তরিক কাজ করছেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বারবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু সেটি করা গেল না।’
আরো পড়ুন: