খ.গানিতিক যুক্তি ইউনিট :

যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি হচ্ছে গানিতিক কাজের উদাহরন। গানিতিক যুক্তি অংশের কাজকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

১. গানিতিক কাজঃ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি এই অংশের কাজের অন্তর্ভুক্ত। দুইটি সংখ্যার মধ্যে কোনটি ছোট, কোনটি বড় বা দুইটি সমান কিনা, যাচাই করে দেখা ও গানিতিক কাজের অন্তর্ভুক্ত।

২. যুক্তিমূলক কাজঃ প্রাপ্ত নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তির ভিত্তিতে দায়িত্ব সম্পাদন করা এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াই এ অংশের প্রধান কাজ। এবং, অথবা, না, নতুবা ইত্যাদি যুক্তিমূলক নির্দেশের ভিত্তিতে এ অংশের কাজ সম্পাদিত হয়।

৩. তথ্য পরিচালনা : তথ্য প্রক্রিয়াকরনের জন্য তথ্য স্থানান্তর করে কোনো রেজিস্টার শূন্য করেদেওয়াই এই অংশের প্রধান কাজ। রেজিস্টারে সংরক্ষিত বাইনারি সংখ্যাকে স্থানান্তর করে ডানে বা বামে শুধুমাত্র এক বিট স্থান পর্যন্ত সরানো যায়।

র‍্যামঃ

কম্পিউটারের মূল সার্কিট বোর্ড বা মাদার বোর্ডের সাথে যুক্ত একাধিক চিপ সমন্বয়ে র‍্যাম গঠিত। মাইক্রোপ্রসেসর প্রাথমিকভাবে র‍্যাম এলাকায় প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করে। মাইক্রোপ্রসেসর সরাসরি র‍্যামের জানা অবস্থান/ঠিকানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে।

এখানে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যাওয়া যায় বলে একে Random Access  Memory বলা হয়। কোন গানের ক্যাসেটের একটি নির্দিষ্ট গান বের করবার জন্য যেমন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রিউইন্ড বা ফরোয়ার্ড করে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা করতে হয় না। সরাসরি নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

কি ধরনের এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করা হবেএবং কি পরিমান কাজ করা যাবে তা নির্ভর করে র‍্যামের এককালীন ধারন ক্ষমতার ওপর। প্রয়োজন মনে করলে অতিরিক্ত এক বা একাধিক র‍্যাম চিপ যোগ করে র‍্যামের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। প্রায় সকল কম্পিউটারেই র‍্যামের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্লট বিদ্যমান থাকে।

রম : কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিতে বা রমে নতুন করে কোন তথ্য লেখা যায় না বা স্থায়ী স্মৃতিতে লেখা কোন তথ্য মুছে ফেলা যায় না। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলো সচল রাখার জন্য রমে কিছু অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরী নির্দেশ থাকে। এ নির্দেশগুলো মুছে গেলে কম্পিউটার চলে না। এ ধরনের নির্দেশমালা সংরক্ষিত থাকে কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতি বা রম এ। কাজেই ব্যবহারকারী ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এসব নির্দেশমালা মুছে ফেলতে পারেন না। এই সব নির্দেশমালা শুধু পাঠ করা যায় বলে একে রিড অনলি মেমোরি (ROM-Read Only Memory) বলে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এই স্মৃতির তথ্য মুছে ফেলা যায় না সেহেতু এই স্মৃতিকে স্থায়ী স্মৃতি ও বলা হয়। র‍্যামের নির্দেশমালাকে অনেক সময় Firmware হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

ইপিরম : ইপিরম হচ্ছে Eraseable Programmable Read Only Memory- এর সংক্ষিপ্ত রুপ। অর্থাৎ যেসব স্থায়ী স্মৃতি প্রোগ্রাম করা যায় এবং প্রয়োজনে মুছে ফেলা যায় তাকেই ইপিরম বলে (EPROM)বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একবার প্রোগ্রাম করার পর তা মোছা যায় না। সে ক্ষেত্রে ইপিরম থেকে প্রোগ্রাম মুছে ফেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়।

র‍্যাম ক্যাশ: কম্পিউটারের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য র‍্যাম ক্যাশ(RAM Cache)ব্যবহার করা হয়। র‍্যাম ক্যাশ হচ্ছে র‍্যামের অংশবিশেষ। কোনো এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামে কাজ করার জন্য যে তথ্যগুলো বার বার ব্যবহৃতহয়, সে তথ্যগুলো র‍্যাম ক্যাশে জমা থাকে।ফলে, ঐ তথ্যগুলো খোঁজার জন্য এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামকে বারবার ডিস্কে যেতে হয় না।কাজেই এ্যাপ্লিকেশনের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। র‍্যাম ক্যাশ কিছু জায়গা দখল করে রাখে । অতএব, যে এ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য বেশি স্মৃতির প্রয়োজন। সে এ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে র‍্যাম ক্যাশ ব্যবহার না করাই ভালো। নিয়ম অনুযায়ী মোট র‍্যামের এক-চতুর্থাংশের বেশি র‍্যাম ক্যাশের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়।

র‍্যামে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য জমা থাকে বলে র‍্যামের সব তথ্য অস্থায়ীভাবে বিদ্যমান থাকে। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে র‍্যামের আওব তথ্য মুছে যায়। এ জন্য কাজ করার সময় কিছুক্ষন পর পর সেভ (Save)বা সংরক্ষন করতে হয়। সংরক্ষন করা কাজ ডিস্কে চলে যায়। ডিস্কের তথ্য মুছে না ফেলা পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। ডিস্ককে বলা হয় সহায়ক স্মৃতি।

ফ্লপি ডিস্ক:  ফ্লপি ডিস্ক সোয়া ৫ বা সাড়ে ৩ বর্গ ইঞ্চির একটি চাকতির মত। ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী ফ্লপি ডিস্ক আবার কয়েক ধরনের হয়। সাধারন ফ্লপি ডিস্কের ধারন ক্ষমতা ৭২০/৮০০ কিলবাইট পর্যন্ত এবং হাই ডেনসিটি ফ্লপি ডিস্কের ধারন ক্ষমতা ১.২/১.৪ মেগাবাইট পর্যন্ত। বর্তমানে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার বিলুপ্তির পথে।

হার্ডডিস্ক:  কম্পিউটারের হার্ডডিস্ককে একসময় ফিক্সড ডিস্ক বলা হত। হার্ডডিস্ক হচ্ছে অসংখ্য ফ্লপি ডিস্কের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বড় আকারের ডিস্ক। হার্ডডিস্ক সাধারনত কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতরে থাকে। কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতর অবস্থিত হার্ডডিস্ক কে অভ্যন্তরীণ

হার্ডডিস্ক বা ইন্টারনাল হার্ডডিস্ক(Internal Hard Disk) বলে। কম্পিউটারের কেসিং এর ভেতরে একাধিক হার্ডডিস্ক থাকতে পারে। কম্পিউটারের কেসিং এর বাহিরেও একাধিক হার্ডডিস্ক থাকতে পারে। এ সব হার্ডডিস্ককে বলা এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক(External Hard Disk)।

এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক বহনযোগ্য। এক্সটারনাল হার্ডডিস্কে এক কম্পিউটারের তথ্য আরেক কম্পিউটারে নিয়ে কাজ করা যায়। বর্তমানে আড়াই শ/তিন শ গিগাবাইটের চেয়েও বেশি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে।

পেন ড্রাইভ:  পেন ড্রাইভগুলো হার্ড ডিস্কের মত। তবে এ সবের ক্ষমতা হার্ড ডিস্কের চেয়ে বেশি নয়। আকারে ছোট ও কম ক্ষমতা সম্পন্ন পেন ড্রাইভ এখন তথ্য পারাপারের জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়।

চলমান বিশ্ব, কারেন্ট আফেয়ার্স এর সকল আপডেট তথ্য পাবেন, আমাদের ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুকে পেইজে facebook.com/eshikhon

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline