
এমপিওভুক্তসহ সকল স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রচলিত পদ্ধতিতেই থাকার পক্ষে দুদক। দুর্নীতি বিরোধী এ সংস্থাটির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন সুপারিশের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনটি আজ রোববার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের কাছে হস্তান্তর করেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ তিনসদস্যের প্রতিনিধি দল।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত এমপিওভুক্তসহ সকল স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা কমিশন গঠন করা যেতে পারে। এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানের সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে। সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তরা বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত। আবার কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারও রয়েছে। আর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে। স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা মৌখিক পরীক্ষা নেন। অপরদিকে বেসরকারি হাইস্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার এন্ট্রিলেভেলে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের। তবে, প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষসহ সব প্রশাসনিক পদ ও কর্মচারীদের নিয়োগ এখনও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির হাতে। এছাড়া সরকারি হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে দেয় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন।
আরো পড়ুন ঃ
৩০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ