
৫ জুলাই সব কলেজের শূন্য আসনের সংখ্যা জানা যাবে। ওইদিন থেকে বঞ্চিত ভর্তিচ্ছুদের আবারও ১০টি কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে বলা হবে। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে।
এবারে কলেজ ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফল পেয়েও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। শনিবার ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হলেও মেধাবী এসব শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
ভর্তিবঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে আগামী ৫ জুলাই আবারও নতুন করে আবেদন নেয়ার কথা ভাবছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
অনেক মেধাবি শিক্ষার্থী এখনও ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আসন পূর্ণ হয়ে গেলেও বারবার সেসব কলেজ পছন্দের তালিকায় দেয়ায় তাদের নাম আসেনি। আবার অনেকে পছন্দের কলেজ না পেয়ে ভর্তি হননি।
আবেদন করেও ভর্তি হতে পারেননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। আর জিপিএ- ৫ পেয়েও ভর্তি হতে পারেননি সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, এবার প্রায় ১৩ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য তিন ধাপে কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এজন্য নিশ্চায়ন করেন ১২ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী। ৮৪ হাজার শিক্ষার্থী কলেজ নিশ্চায়ন করেননি। ফলে এসব শিক্ষার্থী ভর্তির বাইরে রয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ- ৫ ধারী রয়েছেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
চলতি বছর এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি পরীক্ষায় সারাদেশে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২। এর মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীনের মতে, নামধারী কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। রাজধানীতে এমন কলেজের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় সবাইকে সেখানে সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে যারা আগে আবেদন করছেন তারাই ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়া ভর্তির আবেদনে ১০টি কলেজ নির্বাচন করার কথা থাকলেও ভর্তিবঞ্চিত অনেক মেধাবি দুই থেকে পাঁচটি কলেজ পছন্দ দিয়েছেন। আসন পূর্ণ হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়া হলেও তারা আর কলেজ পরিবর্তন করেননি। এ কারণেও অনেকে ভর্তি হতে পারেননি বলে জানান তিনি।