একটি ফটোগ্রাফ
শামসুর রাহমান
কাব্যগ্রন্থ- এক ফোঁটা কেমন অনল
ছন্দ- মুক্তক অক্ষরবৃত্ত; চরণ- ৮, ১০ ও ৬ মাত্রার; পর্ব বিন্যাসে বৈচিত্র; সর্বত্র অন্ত্যমিল নেই।
‘এ আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।’
কী সহজে হয়ে গেল বলা,
কাঁপলো না গলা
এতটুকু, (ছেলের মৃত্যুর খবর)
নিজের কণ্ঠস্বর শুনে
নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।
অথচ এরই মধ্যে বাজখাঁই
কেউ যেন আমার শোকের নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর
করে দিলো।
ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান
চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।
প্রথম চরণ- ‘এই যে আসুন, তারপর কী খবর?
শেষ চরণ- চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।
শব্দার্থ ও
টীকা
সফেদ- সাদা
ফটোগ্রাফ- আলোকচিত্র
জিজ্ঞাসু- জানতে চায় এমন, কৌতূহলী
নিস্পৃহ- অনাসক্তি
ঊর্ণাজাল- মাকড়সার সুতোয় তৈরি জাল, মাকড়সার জাল। এখানে পুঞ্জীভূত স্মৃতি অর্থে
বাজখাঁই- উচ্চ ও কর্কশ। গায়ক বাজ খাঁর (বাজ বাহাদুর) কণ্ঠের অনুরূপ। এখানে রুক্ষ কঠিন অর্থে
ক্ষীয়মাণ- ক্ষয়িষ্ণু, হ্রাস পাচ্ছে এমন
নিষ্পলক- পলকহীন
লেখক পরিচিতি
জন্ম : ১৯২৯, ঢাকা
মৃত্যু :
পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে
নাগরিক কবি
নাগরিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-আন্দোলন তাঁর কবিতায় রূপায়িত হয়েছে
‘পঞ্চপাণ্ডব’ পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
পেশায় সাংবাদিক; মর্নিং নিউজ, দৈনিক বাংলা(প্রায় ১ দশক সম্পাদক ছিলেন), ইত্যাদি
গ্রন্থ-
কাব্যগ্রন্থ- এক ফোঁটা কেমন অনল, প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে, রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ের মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা
ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ
লিঙ্ক- বিশেষণবাচক কী, বিশেষণ পদ, বিশেষণ সম্বন্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
- ‘নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।’- উদ্ধৃত অংশ কোন রচনার? (ক-২০০৭-০৮)
- ‘একটি ফটোগ্রাফ’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত? (ক-২০০৭-০৮)
- ‘কেউ যেন আমার শোকের নদীটিকে কত দ্রুত রুক্ষ চর/ করে দিলো’- কোন রচনার অন্তর্গত? (ক-২০০৮-০৯)
- ‘কী নিস্পৃহ’ এখানে কী কোন অর্থে ব্যবহৃত? (ঘ-২০০৯-১০)
- ‘একটি ফটোগ্রাফ’ কোন্ ছন্দে লেখা?
- ‘বাজখাঁই’ শব্দটি (ঘ-২০০৮-০৯)
- ‘কী সহজে হয়ে গেল বলা,/ কাঁপলো না গলা/ এতটুকু’- কোন কথা বলা হল? (ঘ- ২০০৬-০৭)
- ‘একটি ফটোগ্রাফ’ কবিতার ছোট ছেলেটি কত বছর আগে ডুবে মারা গিয়েছিল? (ঘ-২০০৩-০৪)
- নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।’Ñ এই পংক্তির রচয়িতাÑ (ক-২০০৬-০৭)
- ‘ফটোগ্রাফ’ কবিতার প্রথম চরণ কোনটি? (ক-২০০৫-০৬)
- ‘দুঃসময়ের মুখোমুখি’ কাব্যগ্রন্থের লেখক: (গ-২০১০-১১)
- ‘একটি ফটোগ্রাফ’ যে কাব্যগ্রন্থ হতে নেয়া হয়েছে? (গ-২০০৯-১০)
- ‘নিজের কণ্ঠস্বর শুনে নিজেই চমকে উঠি’ এ চরণটি যে কবিতার অংশ তার নাম: (গ-২০০৭-০৮)
- ২০০৬ সনের আগস্ট মাসের যে তারিখে কবি শামসুর রাহমান মৃত্যুবরণ করেন তা হল: (গ-২০০৬-০৭)
- কবি শামসুর রাহমানের ‘বন্দী শিবির থেকে’ প্রকাশিত হয় কোন সনে? (গ-২০০৬-০৭)
- ‘ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।’- উক্তিটি যে কবিতা হতে নেওয়া হয়েছে তার নাম- (গ-২০০৩-০৪)
এইচ.এস.সি বাংলা পাঠ্য বইয়ের সকল লেসন গদ্য ও পদ্য পাবেন এখানে
0 responses on "উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি বাংলা ১ম পদ্য একটি ফটোগ্রাফ"