এইচএসসি – জীব বিজ্ঞান – ১ম পত্র – অধ্যায় ০৪ – অণুজীব Part 2
ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ বিষ।ভাইরাস হচ্ছে প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা তৈরি অকোষীয়, অতিআণুবীক্ষণিক, পূর্ণ পরজীবী যা শুধুমাত্র উপযুক্ত পোষক কোষের ভেতরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে কিন্তু জীবকোষের বাইরে জড়পদার্থের মতো নিষ্ক্রিয় অবস্থান করে। এরা অকোষীয়।এতে সাইটোপ্লাজম,বিভিন্ন ক্ষুদ্রাঙ্গ ও নিউক্লিয়াস নেই।
জীবিত দেহে ভাইরাসের বাস হতে পারে আবার মৃতের দেহেও। অর্থাৎ কথা হলো ভাইরাস স্বচ্ছন্দে দুই জায়গাতেই বাস করতে পারে। আর যেহেতু ভাইরাস জীবিত কোষ অবলম্বন না করে তার বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, তাই তাদের তুলে এনে বোতলে পুরে ফেলতে পারা যায়। আর এভাবেই ভাইরাসের অস্তিত্ব জীবিত আর মৃতের মাঝখানে। এমন করেই তারা জন্মায়, বংশবৃদ্ধি করে, রোগ ছড়ায়।
? ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট্য:
– ভাইরাস অকোষীয়। এদের সাইটোপ্লাজম, কোষঝিল্লি, কোষপ্রাচীর, রাইবোসোম, মাইটোকন্ড্রিয়া এসব নেই।
– এদের নিজস্ব কোনো বিপাকীয় এনজাইম নেই এবং খাদ্য গ্রহণ করে না ফলে পুষ্টি ক্রিয়াও নেই।
– ভাইরাস জীবকোষের সাহায্য ছাড়া স্বাধীনভাবে প্রজননক্ষম নয়।
– ব্যাকটেরিয়ারোধক ফিল্টারে ভাইরাস ফিল্টারযোগ্য নয়।
– জীবকোষের বাইরে ভাইরাস নিষ্ক্রিয়।
– ভাইরাসের দৈহিক বৃদ্ধি নেই এবং পরিবেশের উত্তেজনায় সাড়া দেয় না।
– ভাইরাস রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের সমাহার ।
? ভাইরাসের জীবীয় বৈশিষ্ট্য:
– পোষক কোষের অভ্যন্তরে ভাইরাস সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে।
– নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মাতৃ ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে।
– ভাইরাসের দেহ ডিএনএ অথবা আরএনএ এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
– ভাইরাস সুনির্দিষ্টভাবে বাধ্যতামূলক পরজীবী।
– ভাইরাস মিউটেশন ঘটাতে এবং প্রকরণ তৈরি করতে সক্ষম।
– এদের অভিযোজন ক্ষমতা রয়েছে।
– এদের বংশগতিয় পুনঃসমন্বয় ঘটে।
? ব্যাকটেরিয়াঃ
গ্রিক শব্দ Bakterion = Little rod থেকে ব্যাকটেরিয়া শব্দটির উৎপত্তি।ব্যাকটেরিয়া এক ধরণের আনুবীক্ষনিক জীব।ব্যাকটেরিয়া হলো জড় কোষপ্রাচীর বিশিষ্ট এককোষী,আণুবীক্ষণিক আদিকেন্ড্রিক অনুজীব যা সাধারণত ক্লোরোফিল বিহীন এবং প্রধাণত দ্বি-ভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করে।
মানুষের দেহে যতগুলো কোষ আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া আছে।ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ব্যাক্টেরিয়ার উপর ব্যাপক গবেষণা এবং ব্যাকটেরিয়া তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেন।অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির মধ্যে নগণ্য সংখ্যক, অর্থাৎ ৫ শতাংশেরও কম হলো রোগজীবাণু।
? ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য
– ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত ছোট আকারের জীব, সাধারণত ০.২-৫০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
– এরা এককোষী জীব, তবে একসাথে অনেকগুলো কলোনি করে বা দল বেঁধে থাকতে পারে।
– এদের অধিকাংশই অজৈব লবণ জারিত করে শক্তি সংগ্রহ করে।
– এদের বংশ বৃদ্ধি দ্বি -বিভাজন প্রক্রিয়ায়
– এরা সাধারণত বেসিক রং ধারণ করতে পারে (গ্রাম পজেটিভ বা গ্রাম নেগেটিভ)
– ফায ভাইরাসের প্রতি এরা খুবই সংবেদনশীল।
0 responses on "এইচএসসি - জীব বিজ্ঞান - ১ম পত্র - অধ্যায় ০৪ - অণুজীব Part 2"