
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নকলের দায়ে প্রায় এক হাজার ছাত্রকে বহিষ্কার করল ভারতের বিহার বোর্ড।
- বোর্ডের চেয়ারম্যান, আনন্দ কিশোর শনিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার বোর্ডের যে পরীক্ষা হয়, তাতে নকল করতে গিয়ে বহু ছাত্রছাত্রী ধরা পড়েছিলেন। এমন প্রায় ১ হাজার জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আনন্দ আরও জানান, ২৫ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীও ধরা পড়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে সব অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের জন্য এই সব ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের সাহায্য নিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁর দাবি, আগের ঘটনার কথা মাথায় রেখেই এ বছর বোর্ড পরীক্ষায় গণ-টোকাটুকি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে পরীক্ষায় নকল অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
- এ বছর বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিলেন ১ কোটি ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৯৮৬ জন। পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৪টি কেন্দ্রে। পরীক্ষা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। ২০১৬-য় বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্নীতি গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল বিহারের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও। দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বোর্ড পরীক্ষার টপার রুবি রাইকে করা সংবাদমাধ্যমের কয়েকটি প্রশ্নকে ঘিরে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল হোম সায়েন্সে কী পড়ানো হয়? রুবি উত্তর গিয়েছিলেন খাবার বানানো শেখানো হয়।
- পলিটিক্যাল সায়েন্সকে প্রডিক্যাল সায়েন্স বলে উল্লেখ করেন। একের পর এক প্রশ্ন, আর একের পর এক ভুল উত্তর দিয়ে গিয়েছিলেন রুবি। রুবি ছিলেন হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তাঁর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। উঠে আসে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ফাঁকফোকর। কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়। কী ভাবে ঘুষ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় উতরে দেওয়া হয়েছে সেই ঘটনাও প্রকাশ্যে চলে আসে। শিক্ষাব্যবস্থার এমন হাল নিয়ে ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে।
আরো পড়ুন:
আজ এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষকসহ ২৭ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কেন্দ্রের সব শিক্ষককে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে