তথ্য-প্রযুক্তির যুগে যখন সারাবিশ্ব প্রযুক্তির ব্যবহার তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব দ্রুত তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে, তখন আমার দেশের ৫ কোটি শিক্ষিত তরুণ টিভির সামনে বসে তা দেখছেন আর প্রশংসা করছেন। কিন্তু একবারও ভাবেন না, ঔই জায়গায় আজ আমিও থাকতে পারতাম বা পারি। কিংবা যখন ভারতের বেকার শিক্ষিত তরুণগণ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আজ ভাগ্য পরিবর্তন করে নতুন নতুন সাফল্য নিয়ে আসছেন তখনও আমাদের বেকার-শিক্ষিত তরুণগণ ১৫,০০০/২০,০০০ টাকার চাকরীর জন্য মাসের পর মাস বিভিন্ন অফিসে সিভি নিয়ে দোড়াচ্ছেন। চাকরী নামক সোনার হরিণটি ধরার জন্য। গতানুগতিক মুখস্থ শিক্ষা-ব্যবস্থা আমাদের সময়ের সাথে যায় না। তাই আমরা বর্তমান বিশ্ব থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। আবার কিছু তরুণ এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি কিংবা এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পড়েও আজ ঔই সকল বড় ডিগ্রিধারী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের তাদের অফিসে চাকরী দিচ্ছেন। কারণ তারাই দুদর্শিতার প্রমাণ দিয়ে ভবিষ্যতের পরিবর্তন এবং কোন প্রযুক্তিটি বেশী প্রভাব ফেলবে তা চিন্তা করে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকে এটা জেনেও সঠিক জ্ঞান এবং প্রতিষ্ঠানের অভাবে এগিয়ে যেতে পারছেন না, আপনাকে তুলতেই তথা দেশের তরুণদের প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতেই আমরা দাড়িয়েছি আপনার পাশে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং কে তথা কম্পিউটার কোর্সগুলো ছড়িয়ে দিয়ে আপনাকে বর্তমান প্রযুক্তির সাথে আপডেট রাখতে। আর এতে আপনি ঘরে বসেই ঢাকা থেকে আমাদের প্রফেশনাল এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীদের লেকচারে অংশ নিতে পারবেন। এজন্য দরকার হবে শুধুমাত্র একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি। ওয়েবক্যাম বা অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। আমাদের দিনে এবং রাতে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় এবং এটার কোন বয়সসীমা নেই। তাই একজন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চাকরীজীবি যেকেউ যেকোন সময় কোর্স করতে পারবেন। কেউ ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী না থাকলেও দেশীয় কাজ কিংবা নিজের ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য অথবা কোন সফ্টওয়্যার বা ডিজাইন ফার্মে কাজ করতে আমাদের কোর্সে অংশ নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেকোন কোর্স খুব ভালোভাবে জানতে হবে, কারণ এখানে আপনি কাজ পেতে প্রতিযোগীতা করতে হবে পুরো দুনিয়ার বড় বড় সব ডিজাইনারদের সাথে সুতরাং আমরা আপনাকে সেইভাবেই প্রস্তুত করবো। আর আমাদের ক্লাস সেই ধরণ এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে যাতে খুব স্বল্পসময়ে আপনি একজন প্রাকটিক্যাল ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারেন। ১৫,০০০/২০,০০০ টাকায় ভর্তি হয়ে ড্রিমওয়েবার কিংবা থার্ড-পার্টি সফ্টওয়্যার দিয়ে টেনে টেনে কয়েকটা ডিজাইন নয়। আমরা সরাসরি কোডিং করেই শেখাচ্ছি। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব লেকচারশীট, ভিডিও টিউটোরিয়াল, আজীবন সহায়তা, প্রবলেম সলুশন, এসাইনমেন্ট, প্রাকটিজ ফাইলসহ রয়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যেটা আপনি সাধারণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাচ্ছেন না। আর তাই এই কয়েকদিনেই আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০+ হয়ে গেছে। তাই যারা আগেও কোর্স করেছেন কিন্তু সফল হতে পারছেন না, আমার অনুরোধ আমাদের এখানে আরেকবার করে দেখুন, পার্থক্য আপনিই বুঝবেন এবং সফল হবেন- ইনশাল্লাহ।