
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, যারা উচ্চ রক্তচাপ এর ওষুধ নিয়মিত খান কিংবা যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই- সবারই কিন্তু আকস্মিক রক্তচাপ বাড়তে পারে। যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের জন্য এই আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধি বিপদের কারণ হতে পারে। যাদের রক্তচাপ নেই তাদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কিছু নিয়মকানুন মানলে ঠিক হয়ে যায়। তবে সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। রক্তচাপ শরীরে প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে।
এটি নির্ভর করে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম, শরীরের পজিশন, মানসিক অবস্থা ইত্যাদির ওপর। দিন-রাতের অবস্থাভেদেও রক্তচাপের পরিবর্তন হয়ে থাকে (গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলে রক্তচাপ সাধারণত কম থাকে এবং সকালের দিকে রক্তচাপ বেশি থাকে)। এক মিনিট ব্যবধানে রক্তচাপ মাপলে রক্তচাপের বিভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্রাম বা ব্যায়াম, চা, কফি, সিগারেট ইত্যাদি বিভিন্ন নিয়ামক রক্তচাপের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
উচ্চ রক্তচাপ এর উপসর্গ
ক. রক্তচাপজনিত উপসর্গ
- মাথাব্যথা (সাধারণত মাথার পেছনের অংশে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত মাথাব্যথা, যেটি কয়েক ঘণ্টা পর ভালো হয়ে যায়)
- মাথা ঝিমঝিম করা
- অবসাদগ্রস্ততা
- বুক ধড়ফড় করা
- যৌন দুর্বলতা
খ. রক্তচাপজনিত রক্তনালির রোগ
- নাক দিয়ে রক্ত পড়া
- চোখে ঝাপসা দেখা
- বুকে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট (হৃদযন্ত্র বিকল হলে)
গ. অন্যান্য রোগজনিত রক্তচাপ বৃদ্ধি
- কিডনি রোগ
- মাংসপেশির দুর্বলতা
- অনিয়মিত ঘুম, নাকডাকা, দিনের বেলায় নিদ্রালুতা
- বুক ধড়ফড় করা এবং হঠাৎ ঘাম
- থাইরয়েডের সমস্যা
- নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণ।
রক্তচাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ:
- ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস।
- রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অধিক পিপাসা বোধ হওয়া- মূত্রতন্ত্রের রোগ বা অনালগ্রন্থিতন্ত্র (এন্ডোক্রাইন) রোগ নির্দেশ করে।
- হঠাৎ মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা এবং শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঝিমঝিম করা- ফিওক্রোমোসাইটোমা।
- মানসিক দুর্বলতা, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করা (অ্যাজমার শ্বাসকষ্টে অ্যালার্জিতে এটি ব্যবহৃত হয়)।
- অন্যান্য রোগ যেমন : ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, কায়িক পরিশ্রমের অভাব রক্তচাপ বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
আরও পড়ুনঃ
মোবাইল কিনতে যাচ্ছেন? জেনে নিন মোবাইল আসল নাকি নকল?