অনলাইনে আর্ন করার পদ্ধতিঃ
অনলাইন বা ইন্টারনেট বর্তমানে লাখো মানুষের সামনে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। এখানে যেমন রয়েছে বিভিন্ন কাজ শেখার উপায় ঠিক তেমনই রয়েছে বিভিন্নভাবে আর্ন রোজগার করার উপায়। বেশ কিছু বছর ধরেই বাংলাদেশে গুঞ্জন চলছে ইন্টারনেটে আর্ন করার পদ্ধতি নিয়ে এবং এর সত্যতা নিয়ে। কিন্তু একটু আশ্চর্যের হলেও কথাটি সত্য যে এখন আপনি ঘরে বসেই অত্যন্ত সহজেই এবং কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে রোজগার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এজন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কাজ জানতে হবে। কেউ যদি কোন কাজ না জেনেই এভাবে আর্ন করতে চান তবে এ লেখাটি তাদের জন্য নয়।
কিভাবে আর্ন করবেন অনলাইনে?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিং (SEO):
Search Engine Optimization (SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল অনলাইনে অর্থ রোজগারের একটি অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। আপনি যদি SEO এর কাজ জানেন তবে আপনি অনলাইনে রোজগার করতে পারবেন। যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম দিকে দেখতে চায় আপনি তাদের হয়ে কাজ করে দিতে পারেন। আর এই কাজ করার মাধ্যমে আপনি আর্ন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কিছু লিংক নিচে দিলাম দেখুন কাজে লাগে কিনা।
https://en.wikipedia.org/wiki/Search_engine_optimization
ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং মানে হল মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা করার জন্য ওয়েবসাইটে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ডিজাইনিং বা ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে লেখালেখি, নানান ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে এসব সাইটে। তবে ওডেস্ক, গেট এ কোডার, রেন্ট এ কোডার, টপ কোডার সাইটগুলোই বেশি বিশ্বস্ত। এসব সাইটগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একজন নিবন্ধিত সদস্য হতে হবে এবং শুরুতেই আপনাকে নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করে তাতে একটিভ থাকতে হবে ও তাতে আপনার ঘণ্টা প্রতি কাজের জন্য কাঙ্ক্ষিত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং -এ কাজ করার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে বিড করে কাজ নামাতে হবে। কাজ পেলেই আপনি কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর আপনি যত বেশি কাজ করবেন ততই আপনার প্রোফাইলে অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে। ফলে আপনার কাজের বাজারে তত মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফ্রিল্যান্সিং -এ কাজ করার জন্য ওডেস্ক সাইটটি বেশ ভাল। এদের অর্থ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিটিও বেশ ভাল। এরা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য একটি ভিসা কার্ড প্রদান করে যেটি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও ব্যবহার করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং:
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ জানেন তবে এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আর্ন করতে পারেন অনলাইন থেকে। গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ডিজাইন, কর্পোরেট আইডেনটিটি ডিজাইন যেমন-প্যাড, বিজনেস কার্ড, লেটার হেড ইত্যাদি। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে কাজ করতে হলে আপনাকে আগে কাজ জানতে হবে। আজকাল দেশের বহু সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনি এই কাজ শিখতে পারবেন। আর চাইলে ইন্টারনেট থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করেও কাজটি শিখতে পারবেন অনায়াসে। এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েব এড্রেস হল—
http://www.graphic-design-employment.com/graphic-design-portfolio.html
ওয়েবসাইট ডেভেলপিং :
আপনি অন্য কারও ওয়েবসইট ডেভেলপিং এর কাজও করতে পারেন যদি আপনি কাজটি জানেন। আর এর মাধ্যমে আপনি করতে পারবেন রোজগার। এর জন্য আপনাকে কাজের জন্য বিড করতে হবে। আর যদি জানা থাকে জুমলা তবে আপনি অন্যদের থেকে বেশি অগ্রসর থাকবেন। আর নিজের রেফারেন্সের জন্য তৈরি করে রাখুন কিছু ডেমো ওয়েবসাইট।
গুগল অ্যাডসেন্স :
বাংলাদেশের অনেক মানুষই তাদের ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে থাকে। এতে তারা তাদের সাইটে গুগলের দেওয়া বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। আপনিও এ কাজটি কারে আপনার সাইটে গুগলের এনে দেওয়া বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে রোজগার করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট হলে বা বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক পড়লে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। আর এই জমার পরিমাণ ১০০ ডলার হলেই চেকের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেয় গুগল। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী। একই কম্পিউটার থেকে বেশি ক্লিক পড়লে গুগল আপনার অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেবে। আরও জানতে চাইলে ভিজিট কর : www.google.com/adsense এই ঠিকানায়।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপিং:
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপিং বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। আপনার সাইটি যদি কোন অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করা থাকে তবে তা অনেকেই ব্যবহার করবে। ফলে আপনার ভিজিটর বাড়বে। আর যত বেশি ভিজিটর ততই টাকা আপনার পকেটে আসবে। আর যদি আপনি বিভিন্ন ফেইসবুক অ্যাপস বা গেমস তৈরি করতে পারেন তবে তা কিনে নেবে ফেইসবুক। ফেইসবুক অ্যাপস বা গেমস ডেভেলপ করতে চাইলে ভিজিট করতে পারেন developers.facebook.com এই ঠিকানায়।
নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার:
অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের লেখায় নিয়মিত আপডেট থাকতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবন্ধ বা আর্টিকেল লিখেও অনলাইনে আর্ন করা সম্ভব।শুভং নামে একটি ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল অ্যাডসেন্স মুনাফা ভাগ করে নেয়।
নিজের তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন:
অনেক অনলাইন ডিজাইনাররা তাদের প্রোজেক্টের জন্য উপযুক্ত ছবি খুঁজে থাকে। আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তবে তা অনলাইনে বিক্রি করেও টাকা অর্জন করতে পারেন। নিজের তোলা ছবি আই–স্টক–ফটোস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়।
এত কিছু তো গেল কিভাবে অনলাইনে টাকা আর্ন করা যায় তার উপায়। কিন্তু অনলাইনে উপার্জিত টাকা আপনি কিভাবে পাবেন? দেখে নিন এর উপায়।
চেকে টাকা পাওয়া:
এই ধরনের চেক এমন একটি চেক যেটি আপনি যেকোনো ব্যাংক থেকে ভাঙাতে পারবেন।
পেপ্যাল এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া:
পেপ্যালের জুম সেবার মাধ্যমেও আপনি টাকা তুলতে পারবেন।
পাইওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টার কার্ড:
এটি বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা পাওয়ার নতুন একটি মাধ্যম। আপনি যদি ওডোস্ক থেকে মাস্টার কার্ড পেয়ে থাকেন তবে তা দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
মানিবুকারস থেকে টাকা প্রাপ্তি:
এটা অনেকটা ব্যাংকে একাউন্টের মতই। এটি বাংলাদেশে প্রচলিত আছে।
অনলাইনে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন?
অনলাইনে আপনি কত টাকা আর্ন করতে পারবেন তা আপনার মেধা, শ্রম ও দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। চাইলে মাসে ৫০০০-১০০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব। এমনকি এরও অনেক বেশি। তবে বেশি টাকা উপার্জন করতে চাইলে অবশ্যই নিজেকে অনেক বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি নিজের ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা অনেক বেশি বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে আয় করার জন্য আমরা বর্তমানে প্রচলিত ১৬ টি কোর্স করিয়ে থাকি। প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং স্বল্পমূল্যে আমাদের যেকোনো কোর্স অর্ডার করতে ভিজিট কর ইশিখন.কম এই ঠিকানায়।
0 responses on "কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করবেন?"