বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি:
প্রাকৃতিক সম্পদঃ
::বর্তমানে বাংলাদেশে,
১।প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৬ টি এবং এই গ্যাসক্ষেত্র গুলোতে মোট মজুদের পরিমাণ ৩৮.০২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
২।৪ টি কয়লাক্ষেত্রে ১৬৭১ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ আছে।
৩।৬ টি পিটক্ষেত্রে ২০০ মিলিয়ন টন পিট মজুদ আছে।
৪।৩ টি চুনাপাথর ক্ষেত্রে ১২৯ মিলিয়ন টন পাথর মজুদ আছে।
৫।৩ টি সাদা মাটি ক্ষেত্রে ৪০ মিলিয়ন টন সাদা মাটি মজুদ আছে।।
৬।৫ টি কাঁচাবালি ক্ষেত্রে ১১৬ মিলিয়ন টন কাঁচাবালি মজুদ আছে।
৭।১ টি কঠিন শিলা ক্ষেত্রে প্রায় ১১৫ মিলিয়ন টন শিলা মজুদ আছে।
উৎসঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫।
::২০০৬ সালে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ছিল মাত্র ১৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৫ সালে গ্যাস উৎপাদন গড়ে দৈনিক ২৭২৮ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। ১৬টির কাজ চলছে।
উৎসঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।
১২ জানুয়ারি, ২০১৬।
::এ পর্যন্ত ২৬ টি গ্যাসক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য সম্ভাব্য ও প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২৭.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।এর মধ্যে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত ১২.৫৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।ফলে বর্তমানে (জানুয়ারি ২০১৫) সময়ে ১৪.৫৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট নীট মজুদ গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে।
উৎসঃ পেট্রোবাংলা, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
::গ্যাস উৎপাদনঃ ০.০৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (ডিসেম্বর, ২০১৫); ক্রমপঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনঃ ১৩.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (ডিসেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত); অবশিষ্ট গ্যাস মজুদঃ ১৪.৯৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (ডিসেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত) ।
উৎসঃ হাইড্রোকার্বন ইউনিটের ডাটা ব্যাংক।
::কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ১৭ টি মূল্যবান ভারি খনিজ সম্পদের স্তুপ আছে।এর মাঝে ৮ টি অতি মূল্যবান খনিজ সম্পদ।বিভিন্ন খনিজ পদার্থের পরিমাণ নিচে দেয়া হলঃ
খনিজের নাম ——– সম্ভাব্য পরিমাণ (টন)
ইলমেনাইট
– ৫০৯৫৪
ম্যাগনেটাইল ————— ১১৫৬৯
জিরকন
——- ৭০৭২২
রুটাইল
——– ১৮৬৬৪
গারনেট
——- ৬৪৮৬৪
মোনাজাইট
– ১২১০১
ক্যায়নাইট
— ১৯৮৬২
লিউকপ্রিন
— ৫১৮৩৬
খনিজ লবণ
– ২০৫০০০০০
উৎসঃ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ,
বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
::বিভিন্ন খাতে গ্যাসের চাহিদাঃ (বিলিয়ন ঘনফুট)।
খাত — ২০১৪-১৫ — ২০১৫-১৬ — ২০১৬-১৭
বিদ্যুৎ—— ৪১৬ ——— ৪৫৮——— ৫০৪
ক্যাপটিভ – ২৩৪ ——– ২৫৮——— ২৮৪
পাওয়ার
শিল্প ——— ২৫৯———-২৮০———-৩০৭
গৃহস্থালী—–১৪৮———–১৬৮———-১৮৫
সার———– ৯৪————–৯৪————৯৪
সিএনজি—- ১২১————১৫৩———-১৬৮
বাণিজ্যিক –১৩————–১৪————-১৪
উৎসঃ পেট্রোবাংলা, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
::২০০১-৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট গ্যাস চাহিদার পরিমাণ দাড়াবে ৬২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং এ সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হবে ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
উৎসঃ পেট্রোবাংলার সমীক্ষা।
::বিভিন্ন সময়ে গ্যাসের ঘাটতির পরিমাণঃ
সাল ———— ঘাটতি (মিলিয়ন ঘনফুট)
২০০০
-২৩৫
২০০৫
–৮০০
২০১০
—১৬০০
২০১৫
—২৮০০
২০২০
—৪৪০০(অনুমিত)
উৎসঃ পেট্রোবাংলা।
::গ্যাস উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনাঃ
গ্যাসক্ষেত্র ও কূপ —– ক্ষমতা(MMCFD)
রশিদপুর, #১১ ————–২৫
সিলেট, #৯
—-১০
কৈলাশটিলা, #৮———– ২০
তিতাস, #২৫,২৬————৬০
২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে ২৯ টি নতুন কূপ ও ১ টি ওয়ার্কওভার কূপ হতে মোট বর্ধিত উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৭৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
উৎসঃ পেট্রোবাংলা।
::বর্তমানে দেশে দৈনিক ২৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।নিচে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের ব্যবহার দেখানো হলঃ
খাত
——–শতকরা পরিমাণ
বিদ্যুৎ
——— ৪১
শিল্প
————১৭
ক্যাপটিভ পাওয়ার——- ১৭
আবাসিক
— ১১
সার
———— ৮
সিএনজি
——৫
অন্যান্য
——-১
উৎসঃবার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।
জুলাই ১, ২০১৫- জুন ৩০, ২০১৬।
পেট্রোবাংলা।
::২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহঃ
১।দ্বিমাত্রিক জরিপ ৬১৫০ লাইন কি মি ও ত্রিমাত্রিক জরিপ ৮৪০ বর্গ কি মি।
২।অনুসন্ধান ১ টি, উন্নয়ন ৭ টি ও ওয়ার্কওভার ৩ টি কূপ খনন।
৩।কঠিন শিলা উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৩.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
৪।কয়লা উৎপাদন লক্ষমাত্রা ১.১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
উৎসঃবার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।
জুলাই ১, ২০১৫- জুন ৩০, ২০১৬।
পেট্রোবাংলা।
::বর্তমানে দেশের ১৪% মানুষ গ্যাস সুবিদা পাচ্ছে।বাংলাদেশের সনাতন জ্বালানী শক্তির উৎসগুলো অর্থাৎ শস্য অবশেষ (৪০.৯%), গোবর (১৪.৩%), জ্বালানী কাঠ (৮.৭%) মোট শক্তি খরচের ৬৩.৯% দখল করে আছে।
::১৯৯৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ২.৪১ কোটি যেটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৪.২০ কোটি কি গ্রা বর্জ্য উৎপন্ন হয়।এই পরিমাণ পশু বর্জ্য হতে প্রতিদিন প্রায় ৩৪৭.৭১ ঘনমিটার জৈব গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব।সম্প্রতি ২০১৩-১৪ সালের হিসাবমতে দেশে মোট গবাদিপশু প্রায় ৫.৫ কোটি, যেটি ১৯৯৬ সালের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি, তাই বর্তমানে সে তুলনায় আরও ব্যাপক পরিমাণ জৈবগ্যাস উৎপাদন সম্ভব।
::””বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী ৫০ বছর এদেশের অর্থনৈতিক ধারাকে প্রবাহমান রাখতে প্রায় ৬১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে””।মার্ক রোডেকা, আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট।
::উদ্যোক্তারা শিল্পের অবকাঠামো নির্মাণ করেও গত ২-৩ বছর ধরে গ্যাস-বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পাচ্ছেন না। আর যারা বর্তমানে ব্যবসা করছেন গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে তাদের শিল্প প্রায় অচল হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হোসেন খালেদ। অপরদিকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ পেতে উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শিল্প স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
উৎসঃ দৈনিক যুগান্তর।
৬ মার্চ ২০১৬।
::প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও ১০০টি নতুন কূপ খননের চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে। বেসরকারিভাবে গ্যাস আমদানিতে উদ্যোগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে চায় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
উৎসঃ দৈনিক যুগান্তর।
৬ মার্চ ২০১৬।
::বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা উত্তোলন করতে পারলে প্রায় ২০০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব বলে বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে।
::১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম কূপে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই খনিজ তেল পাওয়া যায়।কূপটিতে ২০২০-২০৩০ মি গভীরতায় প্রায় ১০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুদ আছে।
উৎসঃ বাংলাপিডিয়া।
::জয়পুরহাট চুনাপাথর প্রকল্প থেকে বছরে প্রায় ১৬ লাখ টন চুনাপাথর উত্তোলন করা হয়।
::বালাদেশের মোট চাহিদার প্রায় ৫০% চিনামাটি নেত্রকোনা জেলার বিজয়পুর গ্রামের খনি হতে সংগ্রহ করা হয়।
আরো পড়ুন: