
আজকাল দেহের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এক ধরণের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত খ্যাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার মান। এছাড়াও অন্যান্য কারণ রয়েছে। দেহের এই ওজন অতিরিক্ত ওজন কম সময়ে বৃদ্ধি পায়না। কিন্তু ওজন কমাতে গেলে কেউ বেশি সময় দিতে চায় না। সবারই ইচ্ছে থাকে কম সময়ে, কম কষ্টে ওজন কমাতে। শারীরিক ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় সবাই খুঁজে থাকেন।তবে সবসময় এর মানে অলসতা নয়, অনেক সময় ব্যস্ততার কারণেও ওজন কমাতে শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন না।
কাজের ব্যস্ততার কারণে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা বা বাইরে হাঁটা অনেকেরই সম্ভব হয় না। অনেকের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্যও ব্যায়াম করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ব্যায়াম ছাড়াই খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন এনে এবং সক্রিয় জীবনযাপনের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব। এই সব ক্ষেত্রে ব্যায়াম ছাড়া কী করে ওজন কমানো যায় সেই চিন্তা না করে কীভাবে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের নিয়ম মেনে সুস্থ থাকা যায় সেই চিন্তা করলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। আজকের ফিচারে ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী পরামর্শ দেয়া হল।
- – যদি খাবারের পরিমাণ কমাতে না পারেন তাহলে খাবার তালিকায় খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ খাবার রাখুন যেটি আপনার ক্ষুধা কমিয়ে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেবে। কম ক্যালরিযুক্ত বেশি আঁশ জাতীয় ফল ও সবজি খান।
- – ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার উপর খাবারের পরিমাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। চেষ্টা কর আস্তে আস্তে খাবারের পরিমাণ কমাতে তাহলে মোট গৃহিত ক্যালরির পরিমানও কমবে তবে অবশ্যই ক্ষুধার্ত না থেকে।
- – সোফায় বসে বা একা একা না খেয়ে সবার সাথে খেতে চেষ্টা কর টিভি দেখে খাবার খেলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করা হয়। যার ফলে খাবার গ্রহনের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণই থাকে না।
- – প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার জোর করে কখনোই খাবেন না। যখন খাওয়া শুরু করবেন তখনই ঠিক কর কততুকু খাবেন। সম্পূর্ণ পেট ভরে খাবার খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। পেট কিছুটা হলেও খালি রাখুন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তবে অবশ্যই ক্ষুধার্ত থেকে নয়।
- – চেষ্টা কর নিরামিষ জাতীয় খাবার খেতে। কারন ওজন কমাতে এই জাতীয় খাবার বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
- – রাতের খাবার পর ঘুমানোর আগে পর্যন্ত চেষ্টা কর কিছু না খেতে। কারন ঘুমানোর আগে যদি কোনো স্ন্যাক্স খান তাহলে তা আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে।
- – সব ধরনের কোমল পানীয়, চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত করা খাবার বাদ দিতে হবে। এই অভ্যাস দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
- – যদি স্বাস্থ্যের প্রতি চিন্তা এবং ওজন কমানোর উদ্দেশ্য থাকে তাহলে ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি সম্পূর্ণ ভাবে ছেড়ে দিতে হবে।