বিসিএস প্রিলিমিনারি ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশে সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ
* ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ- সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
* সাইক্লোন শব্দটি এসেছে- গ্রিক শব্দ kyklos (কাইক্লোস) থেকে।* সাইক্লোন সৃষ্টি হয় – গভীর সমুদ্রে।
* স্মরণকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকারী দুর্যোগ হিসেবে পরিচিত- ১৯৭০ সালের সাইক্লোন। (প্রাণহানি প্রায় ৩ লক্ষ)।
* বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন আঘাত হানে – ১৯৯১ সালে।
* ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে বাতাসের গতিবেগ ছিল – ২২৫ কিলোমিটার।
* ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতার নাম – অপারেশন মান্না।
* ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশে আসা মার্কিন টাস্কফোর্সের নাম- অপারেশন সি এঞ্জেল।
* বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হয়- মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের আগে।
* সিডর বাংলাদেশে আঘাত হানে- ১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে।
* সিডর শব্দের অর্থ- চোখ। eshikhon.comএটি সিংহলী ভাষার শব্দ।
* ঘূর্ণিঝড় নার্গিস মিয়ানমারে আঘাত হানে- ২ মে ২০০৮ সালে।
* নার্গিস শব্দের অর্থ– ফুল। এটি ফারসি ভাষার শব্দ।eshikhon.com
* ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশে আঘাত হানে- ২৫ মে ২০০৯ সালে।
* আইলা শব্দের অর্থ হল- ডলফিন বা শুশুক জাতীয় প্রাণী।
* ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বাংলাদেশে আঘাত হানে – ১৬ মে ২০১৩ সালে
* ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রের পানি স্ফীত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলের কাছাকাছি যে উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তাকে বলে – জলোচ্ছ্বাস।
* ১৯৭৬ সালের ১ নভেম্বর eshikhon.com ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল- ১৩.৭২ মিটার পর্যন্ত।* বাংলাদেশে খরার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ- রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর ও বরিশাল।
* সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত কমে খরার জন্য পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের মেরু অঞ্চলের সৃষ্ট- এলনিনোকে দায়ী করা হচ্ছে।
* বাংলাদেশে শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা দেখা দেয় – ১৯৯৮ সালে।
* নদী ভাঙনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা – সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর।
* বাংলাদেশে eshikhon.com সাধারণত টর্নেডো হয়- বৈশাখ মাসে। (এপ্রিল-মে)
* পূর্বাভাস ও সতর্কবাণী প্রচার করা সম্ভব নয়- টর্নেডোর জন্য (কারণ হঠাৎ করে আঘাত হানে।)eshikhon.com
* সাইক্লোনের মতো টর্নেডো সৃষ্টির মূল কারণ- লঘু বা নিুচাপ সৃষ্টি হওয়া।
* বাংলাদেশে স্মরণকালের ভয়াবহ টর্নেডো আঘাত হানে– ১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে; ঢাকার ডেমরায়। (বাতাসের গতিবেগ ছিল-৬৪৩ কিলোমিটার ঘণ্টায়, বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে)
* ভূঅভ্যন্তরে যেখানে শক্তি বিমুক্ত হয় তাকে বলে – ভূমিকম্পের কেন্দ্র।
* কেন্দ্র থেকে লম্বালম্বিভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থ বিন্দুকে বলে – ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র।
* ভূমিকম্পের কম্পনের বেগ সর্বাপেক্ষা বেশি- উপকেন্দ্রে।
* সবচেয়ে বেশী ভূমিকম্প হয়-প্রশান্ত মহাসাগরের বহি:সীমানা বরাবর।
* ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম- সিসমোগ্রাফ (ভূকম্পন লিখন যন্ত্র)।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।