আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি সভ্যতা : বিসিএস প্রিলিমিনারি
প্রাচীনতম সভ্যতাগুলো হচ্ছে সিন্ধু সভ্যতা, মিসরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা,রোমান সভ্যতা, ইজিয়ান সভ্যতা।
বিশ্ব সভ্যতার কবে যাত্রা শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে।
পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা বলা হয় মিশরীয় সভ্যতাকে।
হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয় সেনোজোয়িক যুগে।
আকৃতি ও প্রকৃতিগত দিক দিয়ে মানব জাতিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে, (অষ্ট্রেলয়েড, মঙ্গলয়েড, নিগ্রোয়েড ও ককেশীয়)
পাথর যুগ দুই ভাগে বিভক্ত যথা- পুরোপলীয় যুগ, নবোপলীয় যুগ।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গড়ে উঠেছিল নীলনদ এর তীরে
মিশরে সূচনা ঘটে নগর সভ্যতার।
প্রথম পর্যায়ে মিশরীয় লিপি ছিল চিত্র ভিত্তিক।
ফারাও খুফুর পিরামিডের উচ্চতা প্রায় চার’শ ফুট।
প্রাচীন মিশরীয়দের মতে পাপ-পুণ্যের বিচার করবে ওসিরিস।
হায়ারোগ্লিফিক হচ্ছে মিশরীয় লিপি।
মেসোপটেমীর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরাঞ্চলে।
সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, আশেরীয়, ও ক্যালডীয় সভ্যতা কোন সভ্যাতার অন্তভুক্ত? উঃ মেসোপটেমীয় সভ্যতা।
মেসোপটিমীয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাটি গড়ে তুলেছিল সুমেরীয়গণ।
পাটিগণিতের গুন পদ্ধতি কারা আবিষ্কার করে মেসোপটেমীয়রা।
সুমেরীয় সভ্যতার ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় নেতাদের উপাধি ছিল পাতেজী।
ব্যবিলনীয় সভ্যতার স্থপতি ছিলেন হাম্মুরাবি।
ব্যবিলনীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়ায়।
নতুন ব্যবিলনীয় সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন নেবুচাদ নেজার।
ব্যবিলনীয় শূন্যেদান তৈরী করেন নেবুচাদ নেজার।
ব্যবিলনীদের প্রধান দেবতার নাম মারডক।
ব্যবিলনীয়দের লিখন পদ্ধতির নাম কিউনিফর্ম।
হাম্মুরাবি আইনবিদ ছিলেন ব্যবলনীয় সভ্যতার।
আশেরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল টাইগ্রিস নদীর তীরে
প্রথম বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রীতে ভাগ করে আশেরীয়গণ
প্রথম অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ভাগ করেছিলেন আশেরীয়গণ।
সর্বপ্রথম লোহার অস্ত্র তৈরী করে যুদ্ধে ব্যবহার করে আশেরীয়গণ
আশেরীয়দের সূর্য দেবতার নাম শামস।
আশেরীয়দের সভ্যতা ধ্বংস হয় ৬১২ খ্রিষ্টপূর্বে
আশেরীয় সভ্যতা ধ্বংশ হয় প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর আক্রমনের মুখে।
ক্যালডীয় সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন সম্রাট নেবুচাদ নেজার।
ক্যালডীয় প্রধান দেবতার নাম জুপিটার।
আকাশের গ্রহকে দেবতা মনে করত ক্যালডীয়রা সভ্যতার লোকেরা
প্রথমে সপ্তাহকে সাত দিনে বিভক্ত করেন ক্যালডীয়রা।
প্রথম বছরের দৈর্ঘ্য বের করেন ক্যালডীয়রা।
ক্যালডীয়রা জ্যোতিবিজ্ঞানীগণ নক্ষত্র পুঞ্জের সন্ধান পান ১২ টি।
ক্যালডীয় সভ্যতার পতন ঘটেছিল পারস্য আক্রমনের ফলে।
লৌহার ব্যবহার শুরু করে হিট্রইটরা।
এশিয়ার মাইনরে লৌহযুগের সূত্রপাত ঘটে খিষ্ট্রপূর্বে ১২০০ অব্দে।
সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয় ১৯২১ খিষ্ট্রাব্দে।
মোহেনজোদারো ও হরপ্পা শহর দুটি আবিষ্কৃত হয় ১৯২১-২২ সালে।
সিন্ধু সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন দ্রাবিড়রা
মোহেনজোদারো ও হরপ্পা অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতায়।
সিন্ধু সভ্যতা পতন ঘটে ১৭৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে সিন্ধু সভ্যতা পতনের কারণ প্রলয়ঙ্করী বন্যা।
সিন্ধুদের তীরে প্রথম মাটি খুঁড়ে প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় হরপ্পা নগরীর।
ভারতীয় সভ্যতাটি সিন্ধু সভ্যতা নামে পরিচিত সিন্ধু নদের তীরে গড়ে উঠেছে বলে।
প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসে ফিনিশীয়দের শ্রেষ্ঠতম পরিচয় নাবিক ও জাহাজ নির্মাতা হিসেবে।
সভ্যতার ইতিহাসে ফিনিশীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান বর্ণমালার উদ্ভাবন।
ফিনিশীয়দের উদ্ভাবিত বর্ণমালার সাথে স্বরবর্ণ যোগ করে বর্ণমালাকে সম্পূর্ণ করেন গ্রীকরা।
ইউরোপীরা কলম, কালি ও কাগজের ব্যবহার শিখেফিনিশীয় কাছ থেকে
পারস্য সম্রাজ্য গড়ে উঠে ৬০০ খ্রিষ্ট্রপূর্ব।
গ্রীক বীর আলেকজান্ডার পারস্য সম্রাজ্য অধিকার করেন ৩৩০ খ্রিষ্টপূর্বে।
পারস্য সাম্রাজ্যের অন্য নাম একমেনিড সাম্রাজ্য।
পারসীয় দিনপুঞ্জী তৈরী করেন দারিয়ুস।
পারস্য স্থাপত্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন কাইরাসের সমাধি।
পারস্য ইতিহাসের সবচেয়ে সফল শাসক দানিয়ুব।
পারসীয়রা লিপি লিখনে কিউনিফর্ম চিহ্ন ব্যবহার করত-৩৯ টি।
পারস্য সভ্যতার লিখন পদ্ধতিতে ভাষার প্রচলন ছিল-২ টি।
১২ মাসে ১ বছর ও ৩০ দিনে ১ মাস গণনার রীতি প্রবর্তন করেন- পারসীয়রা।
হিব্রুদের আদি বাস ছিল আরব মরুভূমিতে।
ঈশ্বরের আরাধনার কথা প্রথম প্রচার করেন – হিব্রুরা।
হিব্রু বিশ্বাস ভিত্তি তৈরী করেছিল-খিষ্ট্রান ধর্মের।
ইসরাইলের অধিবাসীরা বংশধর ছিলেন-হিব্রুদের।
হিব্রু প্রথম ধর্মীয় নেতা ছিলেন সোমটিক।
চীনের নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল -প্রায় চার হাজার বছর আগে।
চৈনিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল হোয়াংহো, ইয়াংসিকিয়াং ও দক্ষিন চিনে।
চৌ রাজাদের আধিপত্য চীনে টিকেছিল ৮৭৩ বছর।
চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী দাশর্নিক ছিলেন-কনফুসিয়াস।
চীনে শাং যুগ শুরু হয়ে ছিল-১১২২ খ্রিষ্টাব্দে।
শাং রাজারা সভ্যতা গড়ে তুলে হোয়াংহো নদীর তীরে
শাঙ যুগে ব্যবহ্রত হত ব্রোঞ্জের।
চীনা জনগোষ্ঠী মূলত মঙ্গোলীয় গোষ্ঠীর বংশোভূত
ইজিয়ান সভ্যতার বিকাশ হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে।
ইজিয়ান সভ্যতার তথ্য পাওয়া যায় গ্রীক কবি হোমারের ইলিয়ড ও ওডেসী কাব্যে।
ট্রয়, মাইসেনীয়, টিরিনস অঞ্চলের নগরীর ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন জার্মান পূরাতাত্ত্বিক হাইনরিখ শ্লিম্যান।
ইজিয়ান সভ্যতার পতন ঘঠে ১২০০ খিষ্টপূর্বাব্দে।
গ্রীক ও অগ্রীক সংস্কৃতির মিশ্রণে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র করে যে নতুন সংস্কৃতির জন্ম হয় তার নাম -হেলেনিষ্টিক সংস্কৃতি।
গ্রীকের ইতিহাসে ১১০০ থেকে ৭৫০ খিষ্ট্রপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কাল পরিচিত ছিল হোমারীয় যুগ নামে ।
ইতিহাসের জনক বলা হয় গ্রীক ইতিহাসবেত্তা হেরোডোটাস।
বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের কাকে জনক বলা হয় থুকিডাইডিস।
পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম অঙ্কন করেন গ্রীক বিজ্ঞানীরা।
গ্রীসে অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয় রাজা ইফিটাস এর আমলে
ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ যোগ করেছিলেন গ্রীকরা।
গ্রীসে অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয় ৭৭৬ খ্রিষ্টপূর্ব।
হেলেনিষ্টিক সভ্যতার উৎপত্তি ও বিকাশে কার ভূমিকা প্রধান? উঃ ম্যাসিডোন অধিপতি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।
আলেকজান্ডারের শিক্ষাগুরু ছিলেন কে? উঃ প্লেটোর শিষ্য বিখ্যাত দার্শনিক এরিষ্টটল।
পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় – লাইসিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়।
লাইসিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন- গ্রীক দার্শনিক এরিষ্টটল।
হেলেনিষ্টিক সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটে -খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৩১ অব্দে।
খ্রিষ্টধর্মকে রোমের রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেন কনস্টানটাইন।
রোমের প্রধান দেবতার নাম জুপিটাস।
সর্বপ্রথম রোমান আইন সংকলন করা হয় ১২ টি বোঞ্জ পাতে।
রোমান সভ্যতার পতন ঘটে -৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।
রোমে দাসত্ব প্রথার বিলুপ্তি ঘটে -অগাষ্টাসের শাসন আমলে
ইসলামের আবির্ভাব ঘটে সপ্তম শতাব্দিতে।
আরাবাত শব্দের অর্থ বৃক্ষলতাহীন মরুভূমি।
ইসলামের সর্বপ্রথম ঘর কাবা।
কাবাগৃহে মোট দেব-দেবীর মূর্তি ছিল ৩৬০ টি।
হুদাইবিয়া একটি কূপের নাম।
দারুল নদওয়া কুরাইশদের মন্ত্রনা গৃহ।
হিজরী গনণা শুরু হয়-৬২২ সাল থেকে।
হিজরী সাল গনণা শুরু হয় হযরত ওমর (রা) এর সময় থেকে।
ইসলামের সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মিত হয় কুবায়।
ইসলামের সর্বপ্রথম শিক্ষাকেন্দ্র দারুল আরাকাম, মদীনা।
দক্ষিন আমেরিকায় গড়ে উঠেছিল-ইনকা সভ্যতা।
ইনকা সভ্যতার স্থপতি ছিলেন-মানকো কাপেন।
সর্বপ্রথম জল সেচের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন- ইনকা রা।
ইনকা সভ্যতা ধ্বংস হয়ষোড়শ শতাব্দীতে।
ইতিহাসেরজনক- হেরোডেটাস (গ্রিক)
ইতিহাস শব্দটি এসেছে- গ্রিক শব্দ থেকে
প্রাচীন সভ্যতাসমূহ
“>মানুষের অস্তিত্ব- ৫০ হাজার খ্রিস্ট পূর্বাব্দে
“>সভ্যতার শুরু- ৫ হাজার খ্রিস্ট পূর্বাব্দে
“>বিভিন্ন সভ্যতার অবদান :
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর