
বোরো মৌসুমে চারা অবস্থায় শৈত্য প্রবাহ হলে চারা মারা যায় । কুশি অবস্থায় শৈত্য প্রবাহ হলে কুশির কুশির বাড় বাড়তি কমে ও গাছ হলুদ হয়ে যায় । আবার থোর শিষ পুরোপুরি বের হতে দেয় না, শিষের অগ্রভাগের ধান মরে যায় এবং শিষে পুরোপুরি বের হতে দেয় না, শিষের অগ্রভাগের ধান মরে যায় এবং চিটার পরিমান অস্বাভাবিক বেড়ে যায় । এছাড়াও ঠান্ডার প্রকোপে ধসে পড়া রোগের জন্য চারা মারা যায় ।
- প্রতিকারের জন্য করনীয়-
১। বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখা এবং স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে ।
২। শৈত্য প্রবাহের সময় বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধাপর্যন্ত ঢেকে দিলে বীজতলায় পানি সকালে বের করে দিলে, প্রতিদিনসকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিলে চারা ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পায় এবং স্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে ।
৩। চারা রোপনকালে শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে কয়েক দিন দেরি করে চারা রোপন করতে হবে ।
৪। রোপনের পর শৈত্য প্রবাহ হলে জমিতে ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে ।
৫। কুশি অবস্থায় শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে জমিতে ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে ।
৬। রোপনের জন্য কমপক্ষে ৩৫-৪৫ দিনের চারা ব্যবহার করতে হবে । এ বয়সের চারা রোপন করলে শীতে চারা মৃত্যুর হার কমে, চারা সতেজ থাকে এবং ফলন বেশি হয় ।
৭। থোর ও ফুল ফোটার সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করলে ক্ষেতে ১৫-২০ সেন্টিমিটার দাড়ানো পানি রাখলে থোড় সহজে বের হয় এবং চিটার পরিমান কমে ।
আরও পড়ুনঃ
তীব্র ও কনকনে শীতে সূর্যের উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে-।
ভীষণ শীতকষ্টে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত।