ডিজিটাল ক্যামেরা কি?
ডিজিটাল ক্যামেরা বলতে এমন ক্যামেরা বোঝায়, যেগুলোতে সনাতনী ফিল্ম ব্যবহৃত হয় না, বরং তার বদলে মেমরী চিপের মধ্যে ছবি ধারণ করে রাখার ব্যবস্থা থাকে। ডিজিটাল ক্যামেরার মান হিসাব করা হয় মেগা পিক্সেল দিয়ে যত বেশি মেগা পিক্সেল তত বেশি বড় ছবি ধারণ করার ক্ষমতা। প্রথমে দাম বেশি থাকলেও ফিল্ম ক্যামেরা থেকে অনেক দ্রুত দাম কমছে, এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফিল্ম লাগেনা এবং সাথে সাথে স্ক্রিনে ছবি দেখা যায় বলে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি ফিল্ম ক্যামেরাকে জাদুঘরের পণ্যে পরিণত করতে পারে, মূলত ডিজিটাল ক্যামেরায় কোনো ফিল্ম ব্যবহার করা হয় না।এই জন্যে ডিজিটাল ক্যামেরাকে ফিল্মলেস ক্যামেরাও বলা হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা তে এক ধরনের অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করা হয়। অপটিক্যাল সেন্সর অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক সংবেদনশীল ডায়োড (ফটোসাইট) দিয়ে তৈরি। এই অপটিক্যাল সেন্সরের কাজ হল আমরা যেই বস্তুটির তুলব সেই বস্তু থেকে আসা আলোকে ইলেক্ট্রনিক চার্জে রূপান্তরিত করা।
ডিজিটাল ক্যামেরা এর মেগাপিক্সেল সম্পর্কে ধারনা
মেগাপিক্সেল এর মূলে রয়েছে পিক্সেল। পিক্সেল হচ্ছে ছোট এক বিন্দু তথ্য যেটি কিনা থাকে ডিজিটাল ছবি। এই রকম মিলিয়ন পিক্সেল মিলে তৈরি করে একটি ছবি। মেগা মানে হচ্ছে মিলিয়ন। যার অর্থ দারাচ্ছে ১০ মেগাপিক্সেলের একটা ছবি তে থাকে ১০ মিলিয়ন পিক্সেল। আর ১৪ মেগাপিক্সেল ছবিতে থাকে ১৪ মিলিয়ন পিক্সেল। মনে কর, একটি ছবি আছে আয়তকার আকৃতির। এবং ছবিটি যদি লান্ডস্কেপ হয়, তাহলে, ১০ মেগাপিক্সেল এর ছবিটির সাইজ হবেঃ দৈর্ঘ্যঃ ২৫৯২ পিক্সেল এবং প্রস্থঃ ৩৮৮৮ পিক্সেল। ১৪ মেগাপিক্সেল এর ছবিটির সাইজ হবেঃ দৈর্ঘ্যঃ ৩১০৪ পিক্সেল এবং প্রস্থঃ ৪৬৭২ পিক্সেল। এখন আপনি দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ গুন করলেই পেয়ে যাবেন ছবিটি কত পিক্সেলের।২৫৯৮*৩৮৮৮=১০,০৭৭,৬৯৬ পিক্সেল = ১০ মেগাপিক্সেল ৩১০৪*৪৬৭২=১৪,৫০১,৮৮৮ পিক্সেল = ১৪.৫ মেগাপিক্সেল এখন আপনি যদি 4 x 6 ইঞ্চি আকারে ছবি প্রিন্ট করতে চান তাহলে ২ মেগাপিক্সেল আর ১৪ মেগাপিক্সেল একি এ পিকাচার কুয়ালিটি দেবে। পিক্সেল বেশি হলেও ও ছবির কুয়ালিটি সমান থাকেবে। এইখানে কিছু কথা রয়ে যায় আর সেটা হচ্ছে এই পিক্সেল কি ডি এস এল আর ক্যামেরার নাকি পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরার? ডি এস এল আর এবং পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরার পিক্সেল একসাথে তুলনা করা যাবে না। এর প্রধান কারন হচ্ছে যে, পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার সেন্সর ডি এস এল আরের সেন্সর থেকে অনেক ছোট থাকে(এইটা প্রায় ২৫ গুন)। যার কারনে পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার পিক্সেল আকারে ছোট থাকে। অপরদিকে ডি এস এল আরের সেন্সর আকারে বড় হওয়ার দরুন অনেক বেশি ফোটন গ্রহন করতে পারে। পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরার ছোট পিক্সেল এর কারনে এইটা অনেক কম আই এস ও তে ছবি তুলে যার কারনে ছবি তে নইএস বেশি থাকে। এই ছোট সেন্সর এর জন্য পয়েন্ট অ্যান্ড শুট এর ইমেজ কুয়ালিটি ডি এস এল আরের চেয়ে খারাপ হয়ে যাই।
আরও পড়ুনঃ
কোন ধরনের ক্যামেরা আপনার বিশেষ প্রয়োজন
কম্পেক্ট ক্যামেরা এর সুবিধা ও অসুবিধা
1 responses on "ডিজিটাল ক্যামেরা এর আসল রহস্য"