সূর্যমুখী একটি উৎকৃষ্ট তেল জাতীয় ফসল । সূর্যমুখী ফুল হিসাবে অনেকে বাড়ীতে শোভাবর্ধনের জন্য চাষ করে থাকে । এটা ফুল ও তেল দুই কাজেই চাষ হয়ে থাকে । যাহোক আজ আপনাদের সূর্যমুখীর ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি দেখানো হবে ।
জমি তৈরী
সূর্য়মুখীর জমি গভীরভাবে চাষ দিতে হবে । জমি ৪-৫ বার আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে ।
বপনের সময়
সূর্যমুখী সারা বছর চাষ করা যায় । তবে অগ্রাহায়ন মাসে (মধ্য-নভেম্বর থেকে মধ্যে ডিসেম্বর) চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় । দেশের উত্তর ও দক্ষিন অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সে এর নিচে হলে ১০-১৫ দিন পরে বীজ বপন করা উচিৎ । খরিফ-১ মৌসুমে অর্থাৎ জৈষ্ঠ (মধ্য-এপ্রিল থেকে মধ্য-মে) মাসেও এর চাষ করা যায় ।
বপন পদ্ধতি ও বীজ হার
সূর্যমুখীর বীজ সারিতে বুনতে হয় । সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২৫ সেমি রাখতে হয় । এভাবে বীজ বপন করলে হেক্টরপ্রতি ৮-১০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয় ।
সারের পরিমান
সূর্যমুখীতে ইউরিয়া ১৮০-২০০ কেজি, টিএসপি ১৫০-২০০ কেজি, এমওপি ১২০-১৫০ কেজি, জিপসাম ১২০-১৭০ কেজি, জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি, বরিক এসিড ১০-১২ কেজি ও ম্যগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি পরিমানে প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় ।
সার প্রয়োগ পদ্ধতিি
ইউরিয়া সারের অর্ধেক এবং বাকি সব সার শেষ চাষের সময় জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে । বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ২ ভাগ করে প্রথম ভাগ চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং দ্বিতীয় ভাগ ৪০-৪৫ দিন পর বা ফুল ফোটার পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে ।
সেচ প্রয়োগ
সূর্যমুখী ফসলের ফলন বেশী পেতে হলে কয়েবার পানি সেচ দিতে হবে । প্রথম সেচ বীজ বপনের ৩০ দিন পর (গাছে ফুল আসার আগে), দ্বিতীয় সেচ বীজ বপনের ৫০ দিন পর (পুস্পস্তবক তৈরীর সময় ) এবং তৃতীয় সেচ বীজ বপনের ৭০ দিন পরে (বীজ পুষ্ট হবার আগে) দিতে হবে ।
ফসল সংগ্রহ
বপন থেকে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত ৯০-১১০ দিন সময় লাগে ।
0 responses on "জেনে নিন সূর্যমুখীর উৎপাদন প্রযক্তি"