জেনে নিন করলার চাষাবাদ প্রক্রিয়া

করলার পুষ্টিমান অনেক বেশি ।করলায় রয়েছে  প্রচুর পরিমাণে আয়রণ, যেটি হিমোগ্লোবিন তৈরীতে সাহায্য করে। এতে আছে যথেষ্ঠ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ।  বাত, পেটের পীড়া, বমি ও অন্যান্য অসুখ দমনে সহায়ক । করলার তিতা স্বাদের জন্য অনেকের বেশী পছন্দ । সারা বছর ফলানো যায়, তবে খরিপ মৌসুমে ফলন ভালো হয় । পনি নিস্কাশন সুবিধাযুক্ত সব ধরনের উচু দোআঁশ মাটি বেশী উপযোগী ।
জমি তৈরীঃ ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে করলার জন্য জমি তৈরী করতে হবে।
বীজ বপন : জাত ভেদে-দু মিটার চওড়া বেড বা বীজতলা তৈরী করে নিয়ে প্রতি বেডে ১-২ মিটার দুরে দুরে ৪৫ সে:মি: চওড়া এবং ৩০ সে:মি: গভির গর্ত তৈরী করে নিয়ে তাতে সার মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে তৈরী প্রতি মাদায় ৪-৫ টি বীজ বুনতে হয় ।
সারের পরিমাণঃ করলা চাষের জন্য জমির উর্বরতা অনুসারে হেক্টর প্রতি ৫ টন পচা গোবর / কম্পোষ্ট, ১২৫-১৫০ কেজি ইউরিয়া, ১০০-১২৫ কেজি টিএসপি, ৭৫-১০ কেজি এমওপি, ৫ কেজি জিংক সালফেট এবং অম্লীয় মাটির জন্য ৫০-১০০ কেজি ডলোচুনের প্রয়োজন হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যাঃ করলা গাছ বড় না হওয়া পর্যন্ত আগাছা দমন করতে হবে। প্রতি মাদায় ২টি করে চারা রেখে  বাকি চারাগুলো তুলে ফেলতে হবে। করলার চারা ১০-১৫ সেমি লম্বা হলে গাছের গোড়ার কাছাকাছি মাটিতে বাঁশের কঞ্চি বা কাঠি পুঁতে একদিকে কাত করে বেঁধে দিতে  হবে । এরপর গাছ ৫০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হলে  ১.৫ মিটিার উঁচু করে মাচা তৈরী করে দিতে হবে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে মাটি কুপিয়ে আলগা করে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হবে এবং জমিতে আর্দ্রতা রক্ষায় করলা গাছের গোড়ায় জাবড়া দিতে হবে।
ফলনঃ বীজ বপনের ৫০-৬০ দিন পর গাছে ফল ধরে। ফল ধরার ১২-১৫ দিন পর করলা সংগ্রহ করতে হয়। ভালভাবে যত্ন নিলে হেক্টর প্রতি ১২-১৫ টন পর্যন্ত করলার ফলন পাওয়া যায়।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline