
কতটি কলেজে আবেদন করা যাবে?
অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫০ টাকা এবং এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে প্রতি আবেদনের জন্য ১২০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। শুধু টেলিটক মোবাইলে এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
এবারে শিক্ষাবোর্ড থেকেই কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আপনার আবেদন করা কলেজ থেকে যেকোন একটি শিক্ষাবোর্ড আপনার জন্য নির্ধারণ করে দিবে এবং উক্ত কলেজে ভর্তি হতে হবে।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করানো হবে। আর দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইনে ভর্তি করানো হবে। শিক্ষার্থীর একই সাথে ১০টি কলেজের মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়মাবলি
২০১৭ সালে একাদশ শ্রেণীতে SMS ও অনলাইনে ভর্তির আবেদনের নিয়ম দেখুন এখানে
কত তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে?
আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করে প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর ক্লাস শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। বিলম্ব ফি দিয়ে আগামী ১-১০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি উত্তীর্ণরাও ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
কলেজে ভর্তি ফি কত টাকা?
ভর্তি নীতিমালায় বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বর্হিভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজী মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ রশিদ দিতে হবে।
দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের ব্যবস্থা নেবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব-স্ব বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করেই অবশিষ্ট শূন্য আসনে ভর্তি করাতে পারবে। তবে সকল ভর্তিই অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
কোঠা পদ্ধতিতে ভর্তির নিয়ম ও সংরক্ষিত আসন
বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্দের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
আর নতুন করে এবার শূন্য ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষালয় (বিকেএসপি) এবং অন্য ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
বিভাগ পরিবর্তন করে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ
মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজী, পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নিতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান জিপিএ নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজী, গণিত ও বাংলায় অর্জিত জিপিএ বিবেচনা করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজী, গণিত ও বাংলায় অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
কোনো কলেজে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
কলেজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
কলেজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না এবং ভর্তি করানো যাবে না। তবে সরকারি/ আদা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের বদলিজনিত কারণে তাদের সন্তানদের ছাড়পত্র ইস্যু বা ভর্তি করতে পূর্বানুমতি নিতে হবে না।
কলেজসমূহকে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ১-১০ আগস্টের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বোর্ডে জমা দিতে হবে ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে।
ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটলে বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিও বাতিল এবং সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন কলেজে কত পয়েন্টে চান্স?
ঢাকার স্বনামধন্য কলেজেগুলোতে প্রতিযোগীতা বেশি হওয়ায় এখানে জিপিএ তথা মার্কশীট এ যাদের ফলাফল ভালো, তারা চান্স পায়। ইশিখন.কম বিগত বছরের হিসেবে নিচে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কোন কলেজে বিগত বছরে কত পয়েন্ট এ চান্স হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে।
এই পোস্টে দেখে নিন, ঢাকার সেরা কলেজগুলোতে চান্স পেতে কত পয়েন্ট লাগবে।