বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি
আজ আলোচনা করব “”ওরা ১১ জন “” এর একজন নিয়ে। পল্লীকবি জসীম উদদীনকে নিয়েই আজকের আলোচনা।
:
জন্মঃ ০১ জানুয়ারি ১৯০৩,মাতুলালয়, তাম্বুলখানা গ্রাম,ফরিদপুর।
মৃত্যুঃ ১৩ মার্চ,১৯৭৬।
=> তিনি পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত। তিনি বাঙালি জাতিসত্ত্বা আন্দোলনের পৃষ্টপোষক ছিলেন।তাঁর রচিত একমাত্র উপন্যাস “”বোবা কাহিনী “”(১৯৬৪)। তিনি ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর ছদ্মনাম জমীর উদ্দিন মোল্লা।
:
এবার কোন কথা না বলে নিচের কাহিনীটা পড়ুন-নকশীকাঁথার মাঠের ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে রাখালী হলুদ বরণ সুচয়নীকে নিয়ে এক পয়সার বাঁশি বাজাতে বাজাতে সোজন বাদিয়ার ঘাটের নিকট আসিলে, ডালিম কুমার হাসুর মা জননী বালুচরে রুপবতী সখিনাকে কাফনের মিছিলে দেখে মাটির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।
:
মাত্র এক লাইনের কাহিনীটা আজকেই আপনি আপনার বন্ধু/ বান্ধবী বা রাতে মুঠোফোনে বিশেষ মানুষটিকে শুনিয়ে দিবেন। যদি ২/৩বার পড়ে ১ লাইনের কাহিনীটা বলে আপনার গার্লফ্রেন্ড -বয়ফ্রেন্ডের সাথে আলাপ শুরু করতে পারেন তাহলে বুঝবেন নিয়োগ পরীক্ষার জন্য জসীম উদ্দিনের ১২টা কাব্যগ্রন্থ মুখস্থ করে ফেলেছেন। পড়া কি আবার পড়ার বিষয়? গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিতে দিতে, বন্ধুদের সাথে টং এ বসে চা খেতে খেতে গল্প করতে করতেই বিসিএস এর পড়া শেষ। দেখুন এবার ঐ ১লাইনের ১৬টি কাব্য- নকশীকাঁথার মাঠ, ধানক্ষেত, রাখালী, হলুদ বরণ, সুচয়নী, এক পয়সার বাঁশি, সোজন বাদিয়ার ঘাট ,ডালিম কুমার, হাসু,মা, রুপবতী, সখিনা, কাফনের মিছিল, জননী, বালুচর, মাটির কান্না।
:
=> নকশী কাঁথার মাঠ এর ইংরেজী অনুবাদ field of the embroidery quilt, অনুবাদক E M milford ।
=> ডালিম কুমার হাসু, এক পয়সার বাঁশি -শিশুতোষ গ্রন্থ।
=> রাখালি তাঁর ১ম কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত।
=> তাঁর বহুল আলোচিত কবিতা কবর তিনি ছাত্রাবস্থায় লিখেন। এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যভুক্ত হয় এবং কবিতাটি কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটি ষান্মাসিক মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
:
এবার আরেকটি কাহিনী পড়ুন -পল্লীবধু মধুমালা গ্রামের মাথা পুষ্পধেনুকে নিয়ে পদ্মাপাড়ের বেদের মেয়ের জন্য দাঁড়িয়ে রইল।
:
এই কাহিনীটা আজ আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ড কে বলবেন,তবে বেদের মেয়ের জন্য আপনি দাঁড়িয়েছিলেন বলবেন না যেন। তাহলে কিন্তু খবর আছে। এই কাহিনীটা বলতে পারলেই আপনি জসীম উদ্দীনের সব নাটক শিখে ফেলেছেন।
নাটকগুলো হল-গ্রামের মাথা, পল্লীবধু, মধুমালা, পুষ্পধেনু,পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে।
:
ভ্রমনকাহিনীঃ চলে মুসাফির,হলদে পরীর দেশে, যে দেশে মানুষ বড়।
স্মৃতিকথাঃ জীবন কথা, ঠাকুরবাড়িরর আঙিনায়।
:
কি ভাই! পড়া হবে আড্ডায় আড্ডায়, আজ থেকে মুঠোফোনে তার রাগ ভাঙ্গাবো ২ লাইনের কাহিনী বলে বলে, আর গার্লফ্রেন্ড এর রাগ ভাঙলো মানেই আপনার বিসিএস এর পথ খুললো। পড়া চলবে এভাবেই।
বিঃদ্রঃ আমার লেখা বিগত কোন পর্ব মিস করলে ও এখন আর ম্যাসেজ দিয়ে টপিক জানতে হবেনা। আমার সব লেখার লিংক আমি প্রতিমাসে আমার প্রোফাইলের টাইমলাইনে দিয়ে দিব। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি আপনার মিস করা পর্বটি পেয়ে যাবেন।