
অনেক শিক্ষার্থী চায় দেশের বাহির থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে কিন্তু এই উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই হায়ারস্টাডির জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকে ফান্ড বা স্কলারশীপ ম্যানেজ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং এবং স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে সহজতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং এবং স্কলারশিপ কেবল আর্থিক সহায়তাই নয়,বরং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক।
১. ফান্ডিং (Funding):
সাধারণত স্নাতকোত্তর (Masters) বা পিএইচডি (PhD) প্রোগ্রামে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ফান্ডিং পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নেওয়ার পর টিউশন ফি,থাকা-খাওয়ার খরচ ম্যানেজ করা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য অসম্ভব। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ওয়েভার এর জন্য এপ্লাই করতে পারে। কিছু ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি পুরোটা মওকুফ করলেও অনেক ইউনিভার্সিটি পুরোটা মওকুফ করে না। তাই শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি বা থাকা-খাওয়ার খরচ ম্যানেজ করার জন্য প্রফেসরের কাছে ফান্ডিং এর জন্য এপ্লাই করতে পারে। তার জন্য কিছু ক্রায়টেরিয়া ফিলআপ করতে হয় যেমন- GRE, IELTS/TOEFL এর ভালো স্কোর এবং রিসার্চ বা পাবলিকেশন থাকলে ভালো হয়। প্রোফাইল ভালো হলেই প্রফেসরের অধীনে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (Teaching Assistantship), রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (Research Assistantship) বা ল্যাব ভিত্তিক কাজের বিনিময়ে ফান্ডিং পাওয়া যায়।এছাড়া অনেক সময় নিজের ডিপার্টমেন্ট থেকেও ফান্ডিং পাওয়া যেতে পারে। এই কাজের বিনিময়ে যে টাকা আপনি পাবেন সেটা দিয়ে টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়ার খরচ মোটামুটি চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।
২. স্কলারশিপ (Scholarship):
স্কলারশিপ হলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বা জীবনযাপনের খরচ মেটানোর জন্য দেওয়া আর্থিক সহায়তা। ফুল ফান্ড স্কলারশীপ স্নাতক (Undergraduate) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পায়। বিশ্ববিদ্যালয়,সরকার এবং কিছু এনজিও বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ দেয়।এর জন্য একাডেমিক পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার পাশাপাশি আরো অনেকগুলো ক্রায়টেরিয়া ফুলফিল করতে হয়। ফুল স্কলারশীপ পেলে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি,থাকা,খাওয়া,হেলথ ইনস্যুরেন্স সহ সব কিছুর খরচ একাউন্টে চলে আসবে।